৮% হা টা ২: ্ রি ১০১০১ ১:১৭ মীর হসন্ ক্লত। ..
এস
এবং রান রে রর অনুব দি হহয়!
বর্ধমান
সত্যপ্রকশ খুস্ত্রে যুক্ত রিনা বন্যোপ্ুষায় দ্বারা
প্রকরণ -*
গ্রন্থকর্তীর ৫ লেখকের মঙ্গলাচরণ
পয়গন্থরগণের জ্ুতি *' অস্নবি পুন্তকের প্রশংস।
গ্রস্থকর্তার পারিতোধিক প্রার্তির বিষয়
গ্রন্থক্কর্তীর জীবন-বৃত্তান্ত -.*
মীর হসন্কুত মস্নবির মঙ্গলাচরণ
মহন্মদের তব -
আলির স্তব ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থন।
কবিতার প্রশংসা
শাহ্ আলম্ বাদশাহের রর
মন্ত্রী আন্ফদ্দওলার প্রশংস
আন্ফদ্দওলার নিকটে লী
গ্রন্থার্ন্ত
রাজপুজ্র বেনজিরের জমান
উদ্যান-নিম্মাণ-বিবরণ
কচ উ কি
সী ও
৯৯
«গতি
১৩ ৯৩. ১৪
২১ ও ৯১০৯০
৪১
%/ 0 সুচীপত্র
গ্রকরণ 2 22 তত ৩5১ চিত ৩55০৮, প্ষ্ঠ বেনজিরের পাল্কী বরন ৮৮: ০০০৫5 বেনজির নানাগারে আসান করেন, তাঁহার বর্গন *** ৫১
রাজপুক্র অটালিকার উপরে শয়ন করিলে, এক পরী তাহাকে উড়াইয়া লইয় যায়, তাহার প্রসঙ্গ *.. ৬২ রাজপুজ অদৃশ্য হওয়ায় তাহার শোকে ভীহার
। পিতামাতার ছঃখের কথা ১৮ ঠা তত 5০ ৬৫ বেনজিরক্কে পরেক্তানে লইয়] যাওয়ার বর্ণনা ০৭ ৭ই কলের ঘোটকের প্রশংসা 52525525255 ৮০ |
বদ্রেমুণিরের উদ্যানে বেনজিরের গমন এবং বদ্রে-
মুনির তাহার প্রতি আসক্ত হয়' তাহার প্রসঙ্গ ৮২ বদুরেমুনিরের প্রশংসা 1 হি তি শি তত ৮৮ বদ্রেসুনিরের বিনান কেশের প্রশংস] 1 হা ১০০
বদ্রেমুনিরের সহিত বেনজিরের, প্রথম মিলন *'* ১০৬ বেনজির দ্বিতীয় বার আসিয়। বদ্রেমুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তাহার বর্ণন *.* ** ৮ ০১১৮ মাহরোখ্পরী বেনজিরের গুপ্ত প্রেমের'সংবাদ জ্ঞাত হয়, তাহার বৃভাস্ত তি, 5:88. ১২৪ বদ্রেদুনির বিরহে ব্যাকুল! হইয়া হসন্, বাই আহ্বান করে, ভাহার বৃত্তান্ত ++ ** ৮ 2 ১৩৬
বেনজিরের বিরহে টি যেরূপ ব্যাকুলিতা হয়, তাহার বর্ণন 4878-85-44 48 ১৪৮"
সুচীপত্র।
পকরণ 5৪৪ ৪7৪ ০০৮ 255 কঠিন তর 222 22৮ বেনজিরের অদর্শনে বদ্রেমুনির ব্যাকুল! হয়, এবং নজ্মুন্েসা তাহাকে প্রবোধ দেয়, তাহার বর্ণন কুপস্থিত বেনজিরকে বদ্রেমুনির স্বপ্পে দর্শন করে এবং নজ্মুন্নেসা যোগিনী হয়, তাহার বৃত্তান্ত *** জেনের রাজপুজ্র ফিরোজ্শাহ্ যোগিনীর প্রতি আসক্ত হয়, তাহার কথা ৮২ ০ তত তাই ফিরোজ্শাহ। সভার আয়োজন করিয়! যোগিনীকে আহ্বান করে, তাহার প্রসঙ্গ *"' ৮** কফিরোজ্শাহ্ মাহরোখ পরীকে সংবাদ প্রেরণ করে, তাহার বর্ণন ১. ৮ বেনজির কুপ হুইতে বহির্গত হয়েন, তাহার 'বর্ণন বেনজিয়ের দহিত বদরেমুনিবের মিলন এবং বদ্রে- মুনিরের পিতাকে বিবাহ-বিষয়ক পত্র লিখন -** বেনজিরের সহিত বদ্বেমুনিত্রের বিবাহ এবং তাহার ঘটার বর্ন ১, ১০ তত ৩৪ বরযাত্রদিগরকে মালা ও তান্বুল বন্টন করে, তাহার বর্ণন ... . বেনজির বদ্রেমুনিরকে আঁপন বাঁটীতে লইয়] যান
৪৬
৬/৬ প্ ১৫5 ১৫৫ ১৬৮
১৭৪
১৮৭. ১০)৩
২৪১ গং ১৫
২২৩
ও পিভৃশাতৃ-সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পুস্তক '
সম্পূর্ণ হয়, তাহার পরসঙ্গ ৪৬ ৪৮ ৬৪৩ ৪৪৪ পুশ্তক সমাপ্ত । ৪১৪ ৪৮ ₹65 ৪15 ৪28, 5
২২৭১ ২৩৫
রস্থকর্তার জীবন বৃত্তান্ত লেখকের মঙ্গলাচরণ |
টির
জগদীশ্বরের কিস্তব করিব! তাহার মহিমাই তঁ।ঘার স্তব প্রকাশ করিতেছে । তিনি আপন 'মহিম দ্বার! জল, অগ্নি” মৃত্তিকা ও বায়ু! পরম্পর বিরুদ্ধ-ভাবাপন্ন এই ভূত-চতুষটয় একত্রীকরণ পুর্ধ্বক সয়ুদায় জীব সৃষ্টি করিয়া তন্মধ্যে মনুষ্যকে অতি বুদ্ধিজীবী 'ও শ্রেষ্ঠ করি- য়াছেন। মনুষ্যের। তীহারই কৃপায় বাক শক্তি পাই- ঘাছে এবং কি রূহ কি ক্ষুদ্র সমস্ত পদার্ধেরই গুণজ্ঞ হইয়াছে । অধিককি কহিব, তাহারা শিক্ষা করিবার ও শিক্ষা দিবার জ্ঞান পর্য্যস্তও উত্তম ৰপে প্রাপ্ত হই- য়াছে। ঈশ্বর তাঁহীদিগকে নাঁন। ভাষা উচ্চারণের শক্তি প্রদান করিয়াছেন, এ জন্যই তাহার! অভিলবিত
(%5)
তাষ। শিক্ষ। করিতেছে ও অন্যকে শিক্ষা দিতেছে । অতএব তাহাঁদিগের উছিত যে, তাহার সর্বদাই জগদীশ্বরের জ্তৰব করে। ভূল না ভুল না তাকে ভুল না রে মনন" তোমার স্জনক্র্ত। নিত্য নিরপীন ॥ তাহাকে ম্মরণ কর হয়ে সাবধান । ইহ পর কালে হবে মঙ্গল বিধান ॥ তিনিই উদ্ধারকর্তা' জানিবে নিশ্চয় । তিনিই কেবল বন্ধু জানিবে হৃদয় ! ॥ যখন বিপদ কাল হইবে তোমার । তিনি ভিন্ন কার সাধ্য করিতে উদ্ধার । সংসারের প্রতি প্রেম করে। না রে ষনে। কেবল নিযুক্ত হও. তাহার স্মরণে । : যত দিন নিজ বশে এ রসনা রয়। যত দিন বাক শক্তি লোপ নাহি হয়॥ তত দিন সার স্তৰব কর বার বার । ইহা সিন খভ কর্ম কিছু নাহি আর ॥ আর কারে স্ব যদি করিবারে চাও। 'ফদুবে গহল্মদ- গ৭ ভক্তি ভাবে গাও ॥ ০০০০০
(৬০)
ছত স্পয়গঞ্ঘর "মীছেল, সকলেই জগদীশ্বরের প্রিয়- পাত্র; তাহাদিগের স্ততি ব্যক্তি মাত্রেরই কর্তব্য। বিশেষত, মহমদ ও আলির স্তব করা অত্যাবশ্যক, রারণ তাহারা উভয়েই পথভ্রাস্তিবিমোচন করিয়। আমাদিগকে স্থপথ দ্েখাইয়াছেন, তাহাতেই আমরা অনায়াসে ধর্দপথ প্রাপ্ত হইয়াছি, এবং আমাদিগের পর লোকে স্বর্গ প্রাঞ্জি বিষয়েও প্রত্যাশা আছে।
কিছুই ভরসা কারে। নাহি করি-আঁর।
তাদের ভরস! মাত্র করিয়াছি সার 1.
নবি আর আলি এই ছুই মহাজন |
করেছেন আমাদের নিরম স্থাপন ॥
তাঁহারাই আমাদের পথের দর্শক।
ভাহাঁরাই আমাদের ধর্দের রক্ষক ॥
ইহ পর লোকে করি তাহাদের আশ।
তাঁরাই আমার প্রভু আমি হুই দাস ॥
তাহ।দের স্তব আর কুলের বর্ণন।
সন্ধ্যা আর প্রাতে করি তাহাই কীর্তন ॥
| ঠাক |
এই মস্নৰি পুস্তকে বর্ণিত বিষয় সকল ইন্দ্রজালের
ন্যায় মোহকারী; ইহার প্রত্যেক কবিতাই বিজ্ঞ- ২ক
(12)
লোকের মমোহরণে সম্মোহন মন্ত্র হন্ধপণ উদ্ভম দ্রব্য যে বকলেরই মনোনীত হয়, এ কথা বখার্থ। ইহার প্রশংসা যত করা যাঁয়। তাহাই সম্ভব; যেহেতু ইহাতে যেন সুমি ভাবের নদী প্রবাহিত হইয়াছে | যদি ইহার কোন কবিতীয় ভ্রমশ্রম্দ বা রচনার কোঁন দোষ দু হয়, তাহা ধর্তব্য কি নিন্দা করিবার যোগ্য নহে; কারণ যাহাতে গুণের.আধিরঈ থাকে, তাহার অণ্প দোষ গণনীয় নহে; এই নিমিত্তে স্ুবিজ্ঞ মীমাংসকগণ তাহা অগ্রাহা করেন। কোন কবি কহিয়াছেন যে, যেমন কবিত। হৌক দোৌঁষহীন নয়। যে হেতু অঙ্গুলি সব সমান না হয়। সাত ্ নি পুস্তক শ্রবণ করিয়া নওয়াৰ্ আস্ফাদ্ওল! গ্রাঠরী হইতে ব্যবহারীয় দোশ্লীল! বাহির করাইয়। ্রন্থকর্তীকে পারিতোধিক দিয়াছিলেন, তাঁহাতে যদিও গ্রস্থকর্তীর সত্তম বৃদ্ধি হইয়াছিল বটে, কিন্তু মনোৌরথ পুর্ণ না হওয়াতে উল্লাস জন্মে নাই, ইহাতে তাহার অদৃষ্টেরই দোষ স্বীকার করিতে হইবে। তা- হার মস্নর্বি পুস্তক অতি উপাদেয় বস্ত এবং তদ্- গ্রহণ কর্তা নওয়াঁব্ আস্ফদ্দওলাও ম্বভাবত অতি-
(৮০)
শয় দাঁভা ও-খহৎ, তখাপি খ্রন্থকর্তা যে শপন আঁশা- মুৰপ পরিতৃপ্ত না হইয়ঃ ক্ষাতি ৰবৌধ করিলেন, ইহাতে তাহার ভাগ্যের দোষ ভিন্ন আর কি বলা যাইতে পারে। গ্রন্থকর্তীত জীবন বৃত্তান্ত । ০
এই মস্নবি রচয়িতার নাম মীর হসন্। ইনি সৈয়াদ বংশজাত, মীর গোলাম হোসেনের পুত্র, ইহার পুর্ধব পুরুধের! হেরা নগরে বাস করিতেন, পরে দুর্ভাগ্য বশত উক্ত নগর পরিত্যাগ পুর্বক পুরাতন দিল্লীতে আ- সিয় বা করিয়াছিলেন ৷ সেই স্থানে ইহার জগ্ হয়, এবং সেই স্থানেই ইনি বয়ঃপ্রাগ্ড হয়েন। শ্রুত হওয়। গিয়াছে, ইহার পিতামহ অত্যন্ত বিদ্বান ছিলেন ; কিন্ত ইহর পিতা তদ্রপ বিদ্বান ছিলেন'না; তিনি কেবল পারস্য ভাঁষ! উত্তম কূপে জাঁনিতেন 7 আমি তাহার সুখে পারস্য ভাষায় রচিত পদ্য-নকল শুনিয়াছি। উপ- হাস-বিষয়ক কবিতা রচনায় তীহার অত্যন্ত ইচ্ছা ছিল; তিনি গ্রজল্ রচনা "করা ত্যাগ করিয়াছিলেন ; এবং অত্যক্জ পরিহাসকারী' ছিলেন) তাহার ধর্ধপ্রৃত্তি অতিশয় বলবান্ ছিল; তিনি-শান্ত্র-বিরুগ্ধ কর্ম কদ:চ
৩ক
(1৮০)
করিতেন “মা 7. সর্ধাদাই হরিৎবর্ণ উদ্ধীঘ ও অস্প থেরের জামা পরিধান করিতেন; তাহার শ্মশ্র অতি দীর্ঘ কি অতি হ্রত্ব ছিল না; এবং ওষলোষের (গো পেন্ধ) অগ্রভাগ ছাটা থাকিত। তাহার অবয়ব মধ্য: মাক্কৃতি ও শ্যামবর্ণ ছিল। ,
মীর হসন্ শ্মাশ্রু ধারণ করিতেন না, তাঁহার জামা ও নিম তাহার পিতার জামা ও নিমার ন্যায় ছিল) তিনি হিন্ছুস্থানীদিগের ন্যায় উ্ধীষ বন্ধন করিতেন; উাহার আঁকার দীর্ঘ ও বর্ণ শ্যামল ছিল; তিনি অত্যন্ত আমোদী, মিউতাধী, ধীরপ্রক্কতি ও সকলের সহিত সৌহার্দকারী ছিলেন; তিনি উপহাস-ব্ষয়ক কবিত। রচনা করিতেন না। কেহ তাহার নিন্দা করিত ন! এবং ভীাহার প্রতি বিরক্তও হইত না। বাল্যাবধি তাঁহার কবিতা রচন! করিতে অত্যন্ত ইচ্ছা এবং অতি- শয় মেধা ছিল; তিনি বাল্যকালে দিল্লীতে খাজ। মীর দর্দের সমিধালে পদ্য রচনা শিক্ষা করিয়াছিলেন ।
দিলী-রাজ্য বিশৃঙ্ঘল হইলে পর, মীর হুসন্ অন্ু- পায় হইয়া আপন পিতার সঙ্গে” লক্ষষৌ গমন পূর্বক ফয়জীবাদে বাস করেন, এৰং থাকার নওয়াক্ সীলার্- জঙ্গ বহাঁছুরের সংসারে কর্ম স্বীকার পূর্বক মের্জা
(185)
মওয়াজেশ্ আলি খা'বাহাচুয় বয়দারজঙ্গের পারিষ্, হইলেন । মের্জ! নওরাজেশ্.আলি, সালাধৃজঙ্গের জ্যেষ্ঠ পুজ; তাহার কবিতায় বিশেষ অন্তুরাঁগ ও কবী- শ্বরদিগের সঙ্গে প্রণয় ছিল; তিনি মীর হমমূকে উপ* যুক্ত পাত্র দেখিরা আঁপন পারিষ্দ করিয়াছিলেন। মীর হমন্ আঁর্বিতে বিদ্বান্ছিলেন না, কেবল পারস্য ভাষায় পত্তিত ছিলেন, এবং কখন কখন এ তাধাঁয় উত্তম উত্তম কবিতা রচন! করিতেন, কিন্তু উর্দু ভাষায় কবিতা রচনা করিতে অত্যন্ত পটু ছিলেন। এ দেশে তিনি মীর জেয়াউদ্দিনের নিকটে কবিতা রচনার প্র- গালী শিক্ষা করিয়াছিলেন। মীর জেয়াউদ্দিন্, মের্জা রফিয়স্মওদ! ও মীর তকি, ইহীরা সকলে সমকালিক বিদ্বান ছিলেন। মীর হসন্ মীর জেয়াউদ্দিনের অ- জ্বাতসারে মের্জ। .রফিয়স্সওদার নিকটেও শিক্ষা করিতেন, ইহ! আমার নিকট স্বীকার করিয়াছি'লেন। ফলত মীর হসন্ এক জন উৎকৃষ গ্রন্থকর্তা ছিলেন; এবং গঞ্জল্, রোবাঁয়ী, মস্নবি, মর্সিয়! প্রভৃতি রচ- নায় অতি পারদর্শী ছিলেন; কঙদিদ! ভিন্ন আঁর আর সকলপ্রকার রচনাতৈই তাহার বিশেষ ক্ষমতা ছিল; যখার্থই তিনি পদ্য রচনার সার্থকত। লাভ করিয্নাছি-
(115) লেন ;ক্ঠাহাঁর রচনার রীতি অতিশয় উৎকৃ্ট। তাহার সহিত আমার আস্তরিক প্রণয় ছিল, কখনই আমা-. দিগের অপ্রণয় হয় লাই? কারণ এই যে, আমিও এ সংসারে" থাকিয়া উক্ত নওয়াব্পুজ্রের পারিষদ্ ছি: লাম এবং দশ বৎসর পর্য্যন্ত তাহার সহিত এক স্থানে কাল যাপন করিয়াছি । আমাদিগের সর্বদাই গজল্ রচনার আলোচনা ও পদ্য রচনার চর্চা হইত। আমি তাহার নিকটে কধিতা রচন। শিক্ষা করি নাই। কিন্তু নওয়াব আলি এব্রাহিম খা! আপন পুস্তকে যে এক ্রস্তাব লিখিয়াছেন, তাহাতে স্পঈ প্রকাশ আছে যে, আমি মীর হসনের নিকটে রচন। শিক্ষা করিয়াছি । কিন্ত তিনি তদন্ত না৷ জানেয়াই তাহ! লিখিয়াঁছেন। যদি তাহ। সত্য হইত, তবে তাহার এ ৰপ লেখায় কোন হানি ছিল না'। . আমি মীর হয়দর্ আলি হয়রানের ছাত্র। তিনি যে মীর হসন্ অপেক্ষা কবিতা রচনায় ৰি- দ্বান ছিলেন না, ইহ! আমি অবশ্য স্বীকার করি; কিন্ত আমি যখন আপন শিক্ষক অপেক্ষ। মীর হসে- নের কবিত্ব শক্তির প্রাধান্য স্বীকার করিতেছি, তখন আমি মীর হসনের ছাত্র হইলে অর্প্য তাহা স্বীকার করিতাম; রীতি এই-যে, মনুষ্য এক ব্যক্তির সন্নিধানে
(175)
শিক্ষা! করিয়া অন্য.ব্যক্তিকে তাহা শিক্ষা দেয়, ইহা আমি স্বীকার করি, কিন্ত মিথ্যা কথা স্বীকার করামায় না, আর সত্য কথাও অস্বীকার কর। যায় না| , অনন্তর গ্রহ-প্রযুক্ত মীর হসনের নিকষ হইতে আমাকে অন্তর হইতে হইল; আমি জগদীশ্বরের ইচ্ছায় হিজ্রি ১১৯৯সাঁলে মের্জা জওয়ীবখৃতের সং- সারে কর্মে নিযুক্ত হইয়া, পরে তাহার সঙ্গে বারা- ণসীতে আগমন করিলাম্ম। হিজরি ১২০০ সালে জেল্হেজ্জা মঞ্ঈসের শেষে সেই সুবিজ্ঞ মীর হসনের মৃত্যু রোগ উপস্থিত হইলে তিনি ১২০১ সালের আস্তে মহর্রমের প্রথম দিনে এই অনিত্য সংসার হইতে পর লোক গমন করিলেন। লঙ্ষৌ নগরে মুফ্তিগঞ্চের মধ্যে মের্জ' কাঁসেম আলি খা! বাহাছুরের উদ্যানের পশ্চাৎ দিকে তাহার মৃত দেহ মৃত্তিকামধ্যে প্রোথিত হইয়াছে। আমি প্রার্থনা করি জগদীশ্বর তাহাকে স্বর্গ প্রদান করুন|
যেজন সেখান হৈতে এসেছে হেখায়।
নিশ্চয় সে এক দিন যাইবে তথায় ॥ যেখানে থাকুক কিন্তু শেষের.বাসরে।
অবশ্য থাকিতে হবে মাটির ভিতরে 1
010৮5)
বিফলে দিও না জীব আপন জীবন ।
জেগে আর ফুঁমাও ন! হয়্য অচেতন ॥ :
কত দিন জন্য তুমি এসেছ এ ভবে।
কতক্গিন তৰ দেহে এ জীবন রবে ॥
যাহাতে ন্খ্যাতি রয় সংসার ভিতরে ।.
কর তুমি সেই কন্দ্দ এই অবসরে ॥
সুখ্যাতি এক অতি আশ্চর্য্য পদার্থ। এই সুখ্যাতি ছারা, পুস্তক দ্বারা এবং পুত্র দ্বারা সংসার মধ্যে মন্ু- ধ্যের নাম বিদ্যমান থাকে। সেই ভাগ্যবান মীর হসন্ং পুস্তক ও পুত্র এই ছুই রাখিয়া সংসার লীলা স্বরণ করিয়াছেন। পরমেশ্রের কপায় অদ্যাপি তাহার চারি পুত্র জীবিত রহিয়াছে; তন্মধ্যে তিন জন কবি, তাঁহারা ফয়জাবাদেই থাকিয়। দাসত্ব কর্ণ দ্বারা জীবিক। নির্বাহ করিতেছেন; কিন্ত তাঁহার প্রথম পুর মীর মস্তহসন্ খলিক্ ও দ্বিতীয় পুন্র মীর মহসন্ মহসন্ তখল্পস্ং আসৃফদ্দওলার জননী বউ বেগমের জামাতা মের্জা তকির পারিবদ্। এবং তাহার তৃতীয় পুজ্র মীর আহ্ষন্ খোল্ক তখলস্, নাজির দারাব্ আঁলি খায়ের নিকটে আছেন; ইনি আর এ তীস্রার প্রথম পুত্র খলিক্, ইহারা ছুই জনে
(115০)
পুস্তক রচন। করিকাছেন+ ইহীর! উভয়ে আপন পি- তার ন্যায় কবিতা রচনা! করিতে পারেন; কিন্তু মস্হফি নামক এক ব্যক্তি তাহার গুথম পুত্র খলি- কের কবিতা সংশোধন করেন। জগদীশ্বর' ইহাদি- গ্ের উত্তয়কে জীবিত রাখুন !
হিজরি ১২১৮ ইংরাজি ১৮৩ সালে লার্ড মাঁ্কুইস্ ওয়েলেস্লি গবর্ণর্ বাহাছ্ুরের কর্তৃত্ব-সময়ে হিন্দা বিদ্যালয়ের উর্দু ভাঁষা শিক্ষক জান্ গেল্গেরস্ত সাহেৰ রাহাছুরের আজ্ঞান্ুসারে অধীন বর্তৃক এই কয়েক পঙ্ক্তি লিখিত হুইয়। এই মস্নবির প্রথমে সন্গিবেশিত ছইল।
গীর হসন্কৃত মস্নবি।
০
মঙজলাচন।
লিখিতেছি ভগ্রে আমি ঈশ্বরের নাম। প্রথমে লেখনী ধাকে করিছে প্রণাম ॥ নত শিরে এ লেখনী বলে বাঁর বার। তোমার সমান প্রভু কেহ নাহি আর। পুনর্ধবার ভক্তি ভাবে বলিছে এখন। ওহে নাথ জগদীশ নিত্য নিরগ্ন ॥ তব সম হয় নাই হইবার নয়। এক মাত্র অদ্বিতীয় তুমি দয়াময় ॥ পুজনীয় বস্তু তুমি সাধনের ধন। ক্ষমাশীল নাই"আর তোমার মতন ॥ তোমার স্তবের পথে করিতে প্রবেশ, নত শিরে প্রণিপাতি করি পরমেশ |
খ
মীর হসন কত
ঈশ্বর পরম বস্ত অসার সংসারে | লেখনী তাহার স্তব'লিখিতে না পারে। সকলের ধর্ম তিনি নাহিক সংশয় | সকল দেছের প্রাণ তিনিই নিশ্চয় ॥ জীব ময় উপবূন এই ধরাতিল 1:
তাহার করুণ জলে স্বভাঁবে উজ্জ্বল ॥ যদিও যথার্থ বটে চিষ্কা নাহি ভার। কিন্ত আছে এ সংসার পাঁলনের ভার ॥ কাঁরে। প্রতি কেহ নাহি করে কপঞ্জান | তার কৃপা হৈলে হয় সবে কপাবান্ ॥ যদিও সংসার বটে রহু বস্তু ময়। -
কিন্ত দেখ তিনি ভিন্ন কেহ ক্লারে। নয় ॥ মরিলে সম্বন্ধ খাকে সাহার সহিত | সকলেই তার কাছে হবে উপস্থিত ॥ কেহ কিম্বা কারো কর্ম না রবে ভুবনে । সকলের কর্তী তিনি জীবন মরণে & আঠার হাজার জীব ভীহারি সকল। অন্তরে বাহিরে ভার তিনিই কেবল ॥
যে কিছু পদার্থ হয় নয়ন গোচর । নকলের পুর্ধব তিনি সৰ তার প্র ॥
অস্ননি |
চির কাল বিদ্যমান আছেন নিশ্চয় । চির কাল থাকিবেন, নাহি তার ক্ষয় ॥ নিশ্চয় তাহারি মক্কা! তারি দ্েবালর 1 রক কি সুর লোক গারি সমুদয় ॥ কারো স্বর্গ প্রাপ্তি হয় ঠাহার-ইচ্ছায়। 'ভাহার ইচ্ছার কেহ নরকেতে যায় ॥ ইহ আর পর লোকে তিনিই ঈশ্বর । সকলি তাহার রাজ্য বিশ্ব চরাচর ॥ দীন হয় ভাঞ্মবান্ তাহার কপায়। তাহার ক্কপায় দুঃখী মহানন্দ পায় ॥, তাহার ক্পায় সবে করে দরশন | সকলেই পালিতেছে তীহাঁর ক্চন ॥ 'মর্ধবত্র তাঁহার জ্যোতি শোভে মনোহর 1 সে জ্যোতির এক বিন্দু ইন্দু দিবাকর ॥ তাহা ভিন্ন কোন বস্ত নাই কোন স্থলে । কিন্তু তিনি বস্তু নন আছেন সকলে ॥ রত প্রস্তরেতে আছে ৰপ চমতকার 1 তাহাই ষে তার জ্যোতি নছে এণ্প্রকার ॥ কিন্তু দেখ য।বতীয়"ৰূপের উপরে ।. তাহার সুন্দর জ্যোতি অতি শোভ। করে ॥ খ
চি... মীর হষন্ কৃত
প্রকাশ্য বিষয়ে তিনি নন প্রকাশিত । প্রকাশ্য বিষয় নয় তাহার অতীত ॥ প্রণিধান করো্যে ঘদি দেখ এক বার) তিনিই সকল বস্তু কিছু নাই আর ॥ একই উদ্যানে তিনি অদ্বিতীয় ফুল। তাহাকে পাইতে ইচ্ছ! করে জীব কুল ॥ সে পুষ্পের গন্ধ যোগে গো লাবে সুবাস । নদীর উপরে বিশ্ব হতেছে প্রকাশ ॥ . ভাবের তরঙ্গ তায় উঠিতেছে কত ।, ভেসে বেন যেও না হে হয়্যে জ্ঞান হত ॥ বলিবার কথ ইহা! কোন মতে নয়। বুঝিবার কথ! ইহা'জাঁনিবে নিশ্চয় ॥ যদ্যপি লৈখনী ধরে সহজ রসন। 1 তবু না লিখিতে পঃরে সাহার বর্ণন। ॥ দেবতা গণের জিজ্বা অশক্ত বথায়।
কি করিবে লেখনীর রসনা তথায় ॥ কে পারে তাহার স্ততি করিতে বর্ণন | বিনতি প্রণতি মাণ্র কেবল লিখন ॥ তিনিই বিশ্বের কর্তা তারি ক্রিভুবন। ঝাঁক্য মাত্রে হইয়াছে সকল স্বজন ॥
আন্গৃদবি 1 আমাদের পুতি ছিনি হয়ো দয়াবান্। বুদ্ধি আর বিবেচনা করেছেজ দান ॥ আমাদের ছ্েহ ফেখ অতি সুশোভন । স্বত্তিকার যোগে ইহ করেন হুজন ॥ সেই বিভু আমাদের মঙ্গল কারণ। করেছেন পর্প্বরে এখানে প্রেরণ ॥ অসি আর এমাম্কে করিয়া হাজন |" করেছেন আমাদের ষঙ্গল সাধন ॥ তাহারা সংসার মধ্যে হইয়া উদয়। করেছেন পৃথিবীকে সুনিয়ম ময় ॥ আমাদের প্রতি ভারা হয়্যে কপাবাল্। দিয়াছেন সাংসারিক ভাঁল নদ জ্ঞান ॥* দেখাইয়াছেন ত্ান্ধা সরল স্ুপথ 1. সে পথে করিলে গতি সিদ্ধ মনোরথ ॥ নবির আদেশ হয় সরল উপায় । সে পথে করিলে গতি স্বর্গ পাওয়া যায় ॥
টিডীনিি নি
''মহম্মদের আব! ঈশ্বর প্রেরিত ভিনি নবি নার্ম ধার । পর্গযর-নদী মধ্যে তিন্নি কর্ণধার ॥। ৬ খ
৬. মীর হলন্ক্কৃত : ছেখ্যে বিদ্যা হীন হল্যে হৈত ক্সন্ুভব ২. কিন্তু ভূত ভবিষ্যৎ জানিতেন স্ব । বিন! লিপি যোগ্গে সার আছেশে কেবল। সংস।রের কার্য্য ঘত চলিত সকল ॥ ভার আজ্ঞ। প্রকাশিত হইলে বিশেষ । পুরাতন পাজি হলো পর্বের আদেশ ॥& প্রতিমুর্তি পুজা! করা উঠাইয়! দিয়! । প্রচলিত করিলেন যাবনিক ভরিয়া ॥ পয়্গস্বর পতি স্াকে করিয়া পরেশ । অদ্বিতীয় পর্গন্বর করিলেন শেষ ॥ করিয়াছিলেন তাঁকে যতনে নিষ্মাণ । ন্সেহ করিতেন সছা বন্ধুর সমান ॥ ভাহার মানের কথ বলিতে বিস্তর | দাড়াইয়। থাকে অচগ্র কত পর্গ্ধর & - *ঈশপ! পরয়্গন্ধর তার বস্সের ভবনে । করেন দর্জির কার্য্য অধিক যতনে ॥& ভুর্ নামে পর্বতের আলো চমৎকার । আলোকের কর্দ্দ সেই করিছে তাঁহার & এব্রাহিম নাগ ধারী পত্থগস্কর যেই । কুনুম কাননে ক্র সালাকার সেই ॥
মস্নবি ।
সোঁলেমান্ তুল্য কত সুদ্র। ধারী নর । তাহার নিকট আছে-হয়্যে অনুচর ॥ : খেজর হইয়া সদ! ভার অনুগত |
উদদক রক্ষার কর্ম করেন নিয়ত ॥
লৌহ ময় জাম! কারী দাউদের মত | উহার নিকটে তাঁরা আছে কত শত £ মহচ্মদ সমযোগ্য কেহ নাই আর ।, হয় নাই হইবে না তেমন প্রকার ॥ : ন। হয় তাহার ছায়। ভূমিতে প্রচার | ষে হেতু দ্বিতীয় তর কেহ নাহি আর ॥ এই জন্য ছাঁয়! শুন্য ভ(র কলেবর। সেই ছাঁয়। হইয়াছে কাবার চাদর & এ হেতু সেছায়াপাঁত না হয় ধরায়্ তেজে ময় হয়্যে তীর অঙ্গে শোভা! পায় ॥ সহজে তাহার ছায়। নির্মল এমন | কখনই নয়নের নহে দরশন ॥
সে পুষ্পের চারু ছায়া নহে অনুভব । কিন্তু জান এই কথ! সকলি সম্ভব ॥ তার দেহ দেহ নর় জাঁনিবে নির্ধাস।. ঈশ্বরের মহিমা পুষ্পের সুবাস ।
এ মীর হসন দ্কৃত
ছড্ডিতে না! চাহে ছণয়। ভার কলেবর | ভক্তি ভাঁবে পদূতলে আছে-নিরস্তর ॥ কি বলিব সেই ছায়। ষথায় তথায়। : আপনার ছায়া পাত করিতে না চায় ॥ দেখিতে পাহয়া ভার স্ুচারু চরণ | দেখিতে না চায় আর অন্যের বদন ॥ ভুতলে তাহার ছায়া হৰে কি প্রকাশ । ব্যাপিয়ে রয়েছে তাহ দকল আকাশ ॥ তার ছায়া না থাকার অপর প্রমাণ । উত্তম বুঝেছি আমি কর প্রণিধ।ন ॥ বাড়িবে নেত্রের জ্যোতি সে চারু ছারার। এই বিবেচনা করে লোক সমুদায় ॥ সেছাঁয়া পতিত হৈতে না দিয় ধরায়। যতনে রাখিল তাঁছ। নয্পন তারায় ॥
কৃষ্ণ বর্ণ হলো তাই যত তারা গণে। অদ্যাপি কিরিছে' ছায়া! নয়নে নয়নে ॥ নতুবা কোথায় ছিল এমন নয়ন ।
দে জ্যোতির জ্যোতিতেই উজ্জল ভূবন । না হইত সেই ছায়! নয়ন গো্টর |: ছিল তাহা কেরেস্ত।র হৃদ্র তিতর ॥
সস্নরি।
আলি ভিন্ন কেছ-আর তার তুল্য নাই । আলি তার প্রতি নিধি-প্রিয় পাত্র ভাই॥ নরিতেই পয়্গস্বরী একে বারে শেষ । আলিতেই সাঙ্গ হল্যো বিজ্ঞত। বিশেষ ॥ ০
আলির স্তব | ইহ পর.কালে আলি সকলের গতি প্রভুর ঘরের প্রভু সেই মহামতি ॥ নবি আর ঈশ্বরের গুপ্ত ভাব সব। আলিম সে সমুদয় আছে অনুভব ॥ গুগু কিন্ব। প্রকাশিত যতেক বিষক় বিদিত আছেন আলি তাহ! সমুদয় ॥ এই আলি. এক জন ঈশ্বরের গ্লাস ইনিইত তত্ত্ব পথ করেন প্রকাশ ॥ ইনিই মহম্মদের পিতৃব্য-সম্তান | বতুলের স্বামী ইনি শাহ্মর্দান্ ॥ শত্রুতা করিয়া বাহা বলুক অপর । আলির সমান কেছ.নাহি চরাচয়ে ॥ বচনে বলিব কত শক্তি নাহি হয়। নবিতে আলিতে জান অভেদ হৃদয় ॥
১০ মীর হসন্ কৃত
যে প্রকার লেখনীর ছুই জিহ্বা রয় ।
, নবি আলি ছই জনে তেমনি নিশ্চয় ॥ আলির যে শক্র সেই যাইবে রৌরবে। আলির বান্ধব সুখে স্বর্মবাসী হবে । নবি আলি ছুই আর কতেম। হসন্:। অপর হৌসেন্ নাম! সেই পাঁচ জন ॥ ইহ পর কাঁলে ভারা মঙ্গল আধার । তাহারিগে বার বার করি নমস্কার ॥ পাপে মহাপাঁপে তার! বিরত হৃদয় । পর কালে কিছু নাই বিচারের ভয় । রসুলের সুমাহাত্ম্য প্রকাশ ধরায়। শ্রেষ্ঠ হল্যে। তার কুল অন্য অপেক্ষায় ॥ নমস্কার করিতেছি ভার বন্ধু গণে। অভিশয় শ্রেষ্ঠ তারা অখিল ভুবনে । ত1দিগে ধার্শিক বল্যে জানেন ঈশ্বর | ইহ পর কালে তারা সুখের আকর ॥ প্রসন্ন তাঁদের প্রতি.পরম ঈশ্বর | রসুল তাদের প্রতি সন্তোষ অন্তর ॥ লদত প্রসন্ন আলি সাহাদের প্রতি । বতুল তাদের প্রতি স্ুসস্তোষ মতি ॥.
মস্মবি। ১১
তাহাদিগে ভক্তি কর? অবশ্য উচিত। যেহেতু নরির তাঁরা ভক্ত স্থনিশ্চিত ॥ “১8৩
ঈশ্বরের নিকটে প্রীর্থন! । হে ঈশ্বর রসুলের রাখিতে সম্মান । আলির গৌরবে তুমি হও কৃপাবান্॥ রসুলের বন্ধুদের গৌরব কারণ । বত্রুলের গৌরবের করিতে বর্ধন ॥ এ সব কারণে তাহা কর হে গ্রহণ । ভক্তি ভারে আমি যাহা করি নিবেদন ॥ এই দাস অতি দোষী খুন হেঈশ্বর। আপন দোষের ভারে হয়েছে কাতর ॥ ক্ষমা কর সেই দোষ অখিল্র ধাতা। তুমি নাথ ক্ষমাশীল অতিশয় দাঁত ॥ য়ত দিন কলেৰরে থাকে এই প্রাণ । তোমার প্রণয় মদ করি যেন পান॥ তোমার প্রণয় তিন্ন অন্য কিছু নয়। আর কিছু না থাকুক তাই যেন রয় ॥ যদ্প লইতে হয় চিন্তার স্বাশ্রয়। বির বংশ্নের চিন্তা মনে যেন হয় ॥
চহ মীর হসন্্-কৃত
দেখো দেখে। দেখো নাথ সেভিন্তা ব্যতীত | আর যেন কোন চিন্তা হয় না উদ্দিত ॥ হসনের অনুরোধে পরম ঈশ্বর | এই কর হই যেন সন্তোষ অন্তর ॥ পরিপুর্ণ কর মোর বাঞ্া সমুদয় । রারে। কাছে কিছু যেন চাহিতে না হয় ॥ সর্বদা অরোগী যেন থাকে কলেবর। সর্বদা আমকে সুখে রাখ হে ঈশ্বর ॥ , সন্তোৌঁবেতে থাকে যেন পরিবার সব। ন্তোবেতে থাকে যেন সকল বান্ধৰ ॥ যেই জন করিছেন আমাকে পালন। নিয়ত তাহারে দয়। কর নিরগ্রীন ॥ জীবন যাপন যেন মাঁনে মানে হয় 1 রন্ধুদের কাছে যেন সমাদর রয় ॥ . ইহ পর কালে যেন নাহি পাই ক্লেশ। নরির গৌরবে ইহ! কর পরমেশ ॥ ১০০০০
কবিতার প্রশংসা । রুবিতা মদিরা সাকি দাও হে আমায় রুৰিতার দ্বার যাতে মুক্ত হক্প্যে যায় ॥
সন্বি | ৯৩
কবিতা হইতে শ্রেষ্ঠ কিছু নাই আর । করি যেন কবিতার চিন্তা বার বার ॥ বিজ্ঞ জুনে কবিতার করে অন্বেনবণ ! কবিতার গুণে হয় নামের বর্ঘন ॥ উত্তম লোকেতে করে কবিতার মান। তাহাতেই তার নাম থাকে বিদ্যমান ॥ সুখ্যাতি সঞ্চয় প্রতি আছে যার মন। ক্ুবিতার সমাদর করে সেই জন ॥ পূর্বের লোকের যত বশ শুনা যায়। লেখনী সংযোগে তাহা আছে কবিতায় ॥ কোথাযরেস্তম আর গেও ৰা কোথায় । আকফ্রাসিরীব্ আর নাহিত ধরায় ॥ তাঁহাদের উপাখ্যান স্বপ্নের সমান । নানা কবিতায় তাহ। আছে বিদ্যমান ॥ বিজ্ঞ গণ হয়ে অতি প্রফুল্ল হৃদয় ! মুল্য দিয়া সেই রত্ব করিছেন ক্রয় ॥ পদ্য পুক্তকেতে সদ পূর্ণ এ বান্ধার। যাবতীয় কবি গণ গ্রাহক তাহার ॥ যত দিন তার চর্চ। থাকে হে ঈশ্বর | তত দিন থাকে যেন গুণবোদ্ধা নর ॥ গ
১৪ মীর হসন্ স্কৃত
শাহ আলম্ বাদশাছের *ুণকীর্তন। শীহ্ আলি গোহর্ যিনি প্রতাঁপে প্রখর ।' নমস্কার করে ধারে সুর্য শশখধর ॥ তাঁহার জ্যোতিতে সবে সহর্ষ অন্তর । এ সংসার মগ্ডলের তিনি দিবাকর ॥ চির জীবী হৌন তার পুজ জাইাদার । তাহার জ্যোতিতে জ্যোতি এ চন্দ্রে বিস্তার ॥ চন্দ্রের সমান ইনি তিনি দিরাঁকর | গ্রদীগু নক্ষত্র যেন আছে মন্ত্রিবর ॥ ০১০১০ মন্ত্রী আস্কদ্দওল্ার প্রশংসা । প্রবল গ্রতাঁপশালী নওয়ার্ প্রধান । আঁস্ফদ্দওল' মর আছে অভিধান ॥ নুমন্ত্রী স্ুবিচারক বিখ্যাত ভুরনে। রাজ্যের উন্নতি বাগ) সদ ভার মনে । সমুদায় অধিকার সুবিচার ময় |. দীন ভুঃখী সকলেই প্রফুল হৃদয় ॥ . পিপীলিকা দেখে হস্তী করে পলায়ন । শিট জনে করিতেছে ভুষ্টের দমন ॥
মস্নবি | ১৫
সকলের সুবিচার করেন নিশ্চয় । ভয়ে কেহ কারে! প্রতি আসক্ত না হয় ॥ : দি না থাকিত তর শানের ত্রাস। ব্যান্ঘ আর ছাগেতে কি হইত সম্ভাষ ॥ নিকর(ণ করিতে দীপ চোর যদি চায়। বায়ু তারে দণ্ডিবারে ধরো লয়্যে যায় ॥ প্রীগ্ত দীপ আজ্ঞা যদি না পায় ভাহার। পরতঙ্গে করিতে দগ্ধ সাধ্য নাই তার ॥ আপনি পতঙ্গ ঘদি আইসে তথায় । ফানুষের মধ্যে দীপ লুকাইতে চায় ॥ তবু পতঙ্গের পাখা হইলে দহন। কীাচি দিয়া করে তার মন্তক ছেদন ॥ ঈশ্বর ক্লুপাঁয় ভিনি বিচারে নিপুণ | অন্যে আর কে পাইবে সে প্রকার গুণ ॥ দৌরাত্য তাহার হাতে করিছে রোদন । সংসারের অত্যাচার করেছে শয়ন ॥ নিশ্চিন্ত হইয়া ঘরে সবে নিদ্রা! যায়। রেখদন করিছে শুয়ে চোর সমুদায় ॥ তাহার নামের রবে সংসার ভিতরে । অস্থিরতা নাই আর কাহারো অন্তরে ॥. ২গ
১৩ মীর হসন্ কত যদ্যপি করিতে চাই দানের বর্ণন। লেখনী কাগজে করে মুক্ত বরিষণ &. করুণ কটাক্ষ পাত.য্েদিকেতে হয়| সেদিকে কাহারে! আর দীনতা না রয় ॥ এক দিবসের ক্ষুদ্র দানের ব্যাখ্যান। করেছেন শাত শত দোশালা প্রদান ॥ ইহ! ভিন্ন আরো আছে এ প্রকার দান। শুনিলে বাহির হয় হাতেমের প্রাণ ॥ অমারৃষ্টি উপস্থিত হল্যে এক বার। দুর্ভিক্ষে করিল সেই দেশ অধিকার ॥ দরিদ্রদিগের প্রাণ হল্যো ওষ্ঠীণত। যাত্রা করিয়া ফেরে অযাচক যত ॥ তাহ নিরখিয়ে তিনি হয়ে কপাবান।
খন্ম পথে বহু ধন করিলেন দান ॥
নগরে বাজারে "আজ্ঞ! করেন প্রচার ।
সকলেতে এই চিস্কা কর পরিহার ॥
যে কোন প্রকারে হৌক বাডুক দংসার।
মনে মনে এ প্রকার করিয়া বিচার ॥
এক দিনে লক্ষ লক্ষ রৌপ্য সমুদ্র চয় 1
করিলেন সম্গ্রদান নিজ রাজা ময়॥
সস্ববি | ১৭
উপস্থিত হল্যে দেশে এই ছুঃঘটন। যত্ে করিলেন রক্ষা! প্রজার জীবন ॥ ককীরদিগের ভাগ্য হইল-এমন। একে একে ধনবান্ হল্যো সর্ব জন । দরিদ্রের দাও শক রহিল না আর। সকলের মনে হৈল আনন্দ অপার ॥
তাঁহার দানের জল না হৈলে মিলিত! স্বাতির সলিলে নহে মুক্তা সন্তা'বিত ॥ যে সকল কর্ম তিনি করেন প্রচার । তাহাতেই সংসারে হয় উপকার ॥ আঁকৃলাতুনের ন্যায় শিষ্পীর প্রধান আরল্তুর তুল্য তিনি সাধু বুদ্ধিম্ান্॥ এ সকল গুণে তৃষ্ট হয়্যে পরমেশ | দিয়াছেন তারে সেই এশ্বধ্য অশেষ ॥ তাহার প্রবল বল করিতে প্রচার । রোস্তমের তুল্য হয় লেখনী আমার ॥ স্বহস্ত তুলেন ক্রোধে যাহার উপরে ! বৃত্যু এসে তাঁর প্রাণ অবিলম্বে হরে ॥ বদ্যপি তাহার বল প্রকাশিত হয় + অনি বিদীর্ণ হয় লৌহের হদয় ॥
৩গ
১৮ মীর হষন্ কত
করবাল সঞ্চালিত হয় যদি রণে।
শত্রু সব মরে গেছে দেখে সর্ধব জনে ॥ যদি কোন শক্র তথা ছেড্ডে লজ্জা ভয়। সে সময় সে অস্ত্রের সন্মুখস্থ হয় ॥
ছিন্ন মুণ্ড হয়্যে তবে পড়ে এ প্রকার । সৃত্যুও তাহার দুঃখে কাদে বার বার ॥ করবালে আ'ঘাভিত হইলে পর্বত । ছেদিত হইয়। যায় সারুনের মত ॥
তার রাগ দেখ্যে রাগ ভয়ে কম্পবান্। তার দর্পে সাহসের ভীত ভয় প্রাণ ॥ ছেন বল সন্ত তার ধৈর্য্য শোভা পায়। বিনয়ের নদী যেন বভিতেছে তায় ॥ শিল্প আদি যত বিদ্যা বিশ্বে দৃশ্য হয়। বিদিত আছেন তিনি তাভা সমুদয় ॥ মিষ্ট ভাবী মন্ত্রীশ্রেন্ঠ জুকৰি বিদ্বান্। পৃথিবীর মধ্যে নাই তীহার সমান ॥ রচনার রীতি তিনি জানেন এষন। 'অন্যে বুঝা ভার তার সহজ বচন ॥ সমস্ত বিষয়ে ক্তিনি সাধু বিচক্ষণ । কহেন সকল কথা স্ুতন নুতন ॥
' মস্মবি। ৯৯)
কৌতুক করিতে আর করিতে ভ্রমণ । নিয়তই হয় তার প্রফুল্লিত মন ॥ মৃগয়ার বাগ কেম না হইবে মনে। বীরের কর্মাই ইহা জানে সর্ব জনে ॥ বীরের সহিত কর্ণ বীরেরু বিছিত। ব্যাস্ভরের বীরত্ব ষেন'ব্যান্ত্রে সহিত ॥ রাজার মুগয়। করা সদত সম্ভব | রাজলক্ষ্য হৈতে বাগ্ণ করে পশু সব ॥ স্বাধীন রয়েছে বটে বনে পশু গণ । নওয়।বের প্রেমে তারা বদ্ধ অনুক্ষণ ॥ অতি বলবান্ আর দাতা যেই জন । সে জন রাখিবে হাতে অস্ত্র আর ধন ॥ অতিশয় দাতা তিনি অতি বলাবান্ | তার হাতে এই ছ্বুই আছে বিদ্যমান । মৃগয়া. করিতে ইচ্ছ! না হইলে তার। হিংজ্র জন্ত হৈতে রক্ষা হইত বা কার। ছোট বড় কেহ আর বাচিত না তবে। ব্যাস আর তরক্ষুর ভক্ষা হৈভ সবে। মনুষ্যের প্রতি তিনি অতি কৃপাৰন্। নির্ভরে রয়েছে তাই কলের প্রাণ ।
২০ মীর হন কত
মগয়ার স্থল যথা করেন স্থাপন ।
সন্ধ্যায় প্রভাতে তথা এসে পশু গণ ॥ তার প্রেমে পরিপুর্ণ মুগ সমুদায় । শীকারের থলি মধ্যে শীস্র যেতে চায় ॥ শীকার করিতে যদি চান জলচরে |: আপনি প্রবেশে মীন জালের ভিতরে ॥ জেনে শুনে দেয় প্রাণ যতেক মকর! যেহেতু আসিয়া পড়ে চড়ার উপর ॥ শুশুক নদীর জলে হয় যে বাহির। তাহাতে অপর কিছু না করি স্থির ॥ রাজলক্ষ্য হইবার বাঞ্ুণ করি মনে | আহ্লাদেতে লন্ দিয় উঠে ক্ষণে ক্ষনে ॥ ভুচর খেচর যত আছে এই ভবে ॥
তাঁর হাতে লক্ষ্য হৈতে বাঞ্ু। করে সবে ॥ এই চিন্তা সর্বদাই করে ব্যান্ত্র গণ | আমাদিগে তিনি যেন করেন বন্ধন ॥ মহিষেরা দড়াইয়! হয় উর্ধশ্ির
প্রাণ দিব বলো সৰে সহজে অস্থির ॥ ভাহার সংবাদ শুনে চলে মা গগ্ডার | ধীরে ধীরে হস্তী করে চরণ সঞ্চার ॥
সস্নবি। ২১
গণ্খারের হয় যদি অপর মনন।
তার অগ্রে ঢাল ফেলে করে পলায়ন ॥
অধীনতা৷ ছেড়ে যদি করী চল্যে যাঁয়।
, ডখনি সে অন্ধ হয় দেখিতে ন। পায়॥
অধীনতা৷ করিতেছে হস্তী সমুদয় । -
প্রণয়ের মদে মত্ত তাদের হৃদয় ॥
উারি জন্য হয়ে আছে পর্বত মতন।
ধীরে ধীরে ফেলিতেছে আপন চরণ ॥
পৃষ্ঠেতে আন্মারি লয় করিয়া বহন ।
কতার্থ হইব বল্যে করিছে মনন ।
ঠার জন্য পশুঙ্গের এই ব্যবহার ।
মনুষ্যের কথা তবে কি বলিৰ আর ॥
তার সহ সহবাসে ইচ্ছা নাই ক্লার।
কি করিবে সেই জন ভাগ্যে নাহি ধার ॥
৮০৪৬৯০
আঁস্ফদ্দওলার নিকটে প্রার্থনা ।
কেরেন্ত।র তুল্য তৃমি মান্য এ ভুবনে ।
বঞ্চিত রয়েছি আমি তোমার চরণে ॥
বুদ্ধি কিন্বা প্রযস্ত্ের ত্র নাই তায় ।
ভাগ্যেতে পুথক কর্যে রেখেছে আমায় ॥
২২ মীর হসন্ কত
এক্ষণে আমার বুদ্ধি খুলে দিল কাগ। তোমার কৃপায় হল্যো এ প্রকার জ্ঞান ॥ অভিনব গণ্প এক করিয়া রচন। ভাব ৰপ মণি তীয় করেছি গ্রন্থন ॥ এনেছি নিকটে আমি দিতে উপহার । গ্রহণে সার্থক কর প্রার্থনা আমার ॥ আলির মর্ষ্যাদা হেডু হইয়! সদয়। আমার যতেক দৌঘ ক্ষম সমুদয় ॥ তোমার মর্যাদা আর অঙ্ভুল্য সম্ম(ন। নবির কৃপায় সদা থাকুক সমান । স্থখেতে থাকুন বত তোমার বান্ধব। ত্রঞষ্ত হয়্যে দুঃখে যেন মে শত্রু সব ॥ অতঃপর হইতেছে গণ্পের বর্ণন। মনোযোগ করে তাহা কর হেশ্রবণ॥ পঞপাটিবিত .
মস্নবি।
গ্রন্থারস্ত।
কোন নগরেস্তে এক ছিলেন হুৃপ্রতি। ভূপাল প্রধান তিনি অতি মহামতি ॥ ন মান দর্প তার ছিল অতিশয় । কত সৈন্য ছিল তার সঙ্খ্যা নাহি হয় ॥ সদ থাকতেন তিনি প্রফুল্ল অন্তর ৷ অনেক ভূপতি ভারে অর্পিতেন কর ॥ খতা ও খতন্ নামে প্রধান নগর । মেখান হইতে তিনি লইতেন ঝর । যেজন দেখিত এসে তার সেনা গ্রণ। তখনি বলিত সেই এ ৰূপ বচন ॥ নৃপতির সেন! গণে পারিরে না কেউ। সেন। গণ ঠিরু যেন সমুদ্রের ঢেউ ॥ ভূপতির অশ্বশালা বর্ণন নাহয় । মকল অশ্ের খুর ছিল স্বর্ণময় ॥ নগরের চারি দিকে দু ছিল যত! রাজার চরণে তারা সবে অবনত ॥
২৪ মীর হুসন্ কৃত
'স্বচ্ছন সকল প্রজা সদা! শঙ্কা হীন। ন। ছিল চুরির ভয় নাহি ছিল'দীন | এ বূপ আশ্চধ্য ময় ছিল সে নগর । স্বর্গ তুল্য সর্ধ স্থান অতি মনোহর ॥ বিচিত্র নগর শোভাখকরো দরশন |. ঈশ্বরের স্্রমহিমা হইত স্মরণ ॥ জুবিমল সব্ৰ স্থান ইস্টক নিন্মিত | কোন কোন স্থান ছিল পস্তর মণ্ডিত ॥ নগরের ভূমি ছিল হরিত বরণ। সন্ধ্যায় প্রভাতে দেখো জুড়াত নয়ন ॥ হউজ্ নহরি বর স্থানে স্থানে কুপ । স্থনিশ্মল জল তায় অতি অপৰূপ ॥ স্থানে স্থানে অউ্রালিক। ছিল মনোহর । অতি পরিক্ষার আর অতি উচ্চতর ॥ দরশন কালে হত নয়নের তয়। দৃর্টিষোগে যদি ইহা মলা যুক্ত হয় ॥ এপ প্রকাণ্ড ছিল ন্টার তাহার । ভাঁর পরিমাণ আমি কি বর্ণিব আর ॥ এস্ফেহান্ নগরের তুল্য পরিমাণ | অর্ধেক পুথিবী যেন ছিল নেই স্থান ॥
মস্নবি। ২৫
দেব্বকানিরা শিপ্প কর্মে অতি বিচক্ষণ | নানা বিধ লোক তথা ছিল অগণন ॥ ছোট বড় পথ যত পরিক্ষার সব। ফুলের কেয়ারি যেন হত অনুভব ॥ চকের বাজ।র ছিল অতি স্গুশোতিত! দেখিলে অমনি হৈত মাদষ মোিত ॥ দোকানের ভিত দ্বার অতি সুশোভন। দরশনে অনিমিষ হইত নয়ন ॥ তাহার দুর্গের কথা বলিৰ বা কত। উচ্চ দেখে নত শির হয়েছে পর্বত ॥ সুদীপ্ত আলোক মর ভুপালের বাটা । সর্বদা আমোদ পুর্ণ অতি পরিপাটি ॥ ভূপালের কৃপা হেতু পরবাসী গু । করিতেছে নিজ নিজ আনন্দ বদ্ধন ॥ উপবনে গতায়াত সদ। রজ রাগ । লালাফুল ভিন্ন কারে হৃদে নাই দাগ । নগরে দরিদ্র এস্সে হৈত ধনরান্। দানশীল রাজ! আর চমত্কার স্থান ॥ কেহ কভু দেখে নাছ দীন হীন জনে । সকলেই ধনরান্ নৃগতির ধনে ॥
ঘ
৬ ্ মীর হসগ্ কৃত
এম্বর্ষের কথা ভার বল। নাহি যায়। দেখে তার রাজধানী স্বর্গ লজ্জা পায় ॥ বিছ্বানের সঙ্গে তার ছিল সহবাস সর্ববদ। সুজন লয়্যে হইত উল্লাস ॥
সহজ সহজ দাস সুন্দর আকার |
সেব। করিবার জনা ছিল সেরাজার॥ কটি বদ্ধ হয়ে সেই দাস সমুদাষ় |
নিয়ত নিযুক্ত ছিল তাহার সেবায় ॥ কোন বিষয়ের চিন্তা ছিল না তাহার ।, ফেবল ভাঁবন! ছিল হল্যো না কুমার ॥ এই মাত্র দুঃখ ছিল তাহার অন্তরে । কুলের প্রদীপ পুন্ত্র জন্মিল না ঘরে । একি তার মন্দভ্ভাগ্য আশ্চর্য ব্যাপার। তেমন আলোক মধ্যে ছিল অন্ধকার । এক দিন মহীপাল ডাকি মন্ত্রী গণে। কহেন মনের ছুঃখ অধিক যতনে ॥ রাজ্য ধন লয়্যে আমি কিকরিব আর । সন্গ্যাসী হইতে ইচ্ছা হত্যেছে আমার। সন্গ্যাসী না হয়ে এবে উপাঞকিআর | সিংহাসন অধিকারী হল্যো মা আমার ॥
মস্নবি | ২৭ আমার যৌবন কাঁল ক্রমে হল্যো হাস । প্রাচীন সময় আসি হইল প্রকাশ ॥ বিফলে হইল গত যৌবন সময | যৌবনের যাওয়া নয় আমু হল্যে। ক্ষয় ॥ করেছি অনেক অম রাজোর কারণ । নংগার চিন্তায় কত করোছি যতন ॥ হায় একি মন্দ বুদ্ধি রৃথ! সমুদয় । পর কাল ভূলিলাম সংসার চিন্তায় ॥ ইহ] শুনি নিবেদন করে মন্ত্রী সবে। মহারাজ তব ছুঃখ কখন না রবে ॥ সংসারে থাকিয়া কর সন্গযাসীর ধর্ম । রিক্ত হস্তে ভথা যাওয়। নহে ভাল কর্ম ॥ রাজ্য ভোগ কর আর ধর্শে হঞ্জরত।. ইহ পর কালে হবে সুখ্যাতি সদত ॥ বুদ্ধিমান জন সদা করে এই ভয়। আমাকে সকলে যেন এ ৰপ ন1 কষ & “ভূমিতলে ভাল কর্ম করেছ বা কত। আকাশে যাইতে তুমি হয়েছ উদ্যত ॥৮ সে পারত্রিকের ফেত্র হয় এ সংসার । সন্ন্যাসী হইয়া তাহা কর্যো না! সংভার ॥
২ঘঘ
২৮ ' মীর হসন্ কৃত
এ ক্ষেত্রে পেচন কর তপস্যার জল ।
প'র কালে সেখানেতে পাবে তার কল॥ এই এক কথ! তুমি স্মরণ রাখিকে।
দন আর সুবিচার সর্বদা করিবে ॥
এ ৰূপ উত্তম কর্ম হল্যে সমাধধন |
পর কালে তাহাতেই পাবে পরিত্র।ণ ॥ সন্তানের জন্য চিস্া আছে যে তোমার । আমরা করিব সবে উপায় তাহার । অবশ্য হইবে তব জুন্দর তনয় ।
বৃথা স্তসময় কেন করিতেছ ক্ষয় ॥ নিরাশার কথ। আর বল্যো না এমন । কোরাণে লিখিত আছে ঈশ্বর বচন ॥
“ নিশ্চয় জানিক্ষে ইহা! লে।ক সমুদয় । নিরাশ হবে না কেহ আমার কপায় ॥% আমরা জ্যোতিষদিগে ডাকাই এখনি । কপালে ঝ্কিআছে তাঁহ। দেখ হুপমণি ॥ এ ন্ধপ আশ্বাস বাক্য বল্যে নরবরে | জ্যোতিষদিগকে পত্র পাঠায় সত্বরে ॥ রম্ম।ল জ্যোতিষ আর পণ্ডিভ ব্রাহ্মণ | জ্যে(তিষ বিদ্যায় ধারা অতি বিচক্ষণ ॥
মস্নবি 1. ২৯
তাহাদিগে ডাকাইয়া সঙ্গে লয়ে পরে । মন্ত্রী গণ গেল সবে ভূপাঁল গোচরে ॥ রাজভাগ্য স্থুপ্রসন্ন হউক বলিয়ে | আশিস্ করেন তারা ছু হাত তুলিয়ে ॥ আশীব্ৰাদ প্রণিপাত হল্যে সমাপন । ভূপাতি তাদের প্রতি বললে তখন ॥ জ্যোতিষ পণ্ডিত গণ শুন হে বচন । তোমাদের নিকটেতে আছে প্রয়োজন । নিজ নিজ গ্রন্থ সবে প্রকাশ্তি কর। প্রশ্ন এক করিতেছি লেখ হে উত্তর ॥ দেখ দেখি ভাগ্যে মম আছে কি বিধান! হবে চি না হবে কোন রাণীর সন্তান । রন্মালেরা এই কথ করিয়া অর্ধ | ভূমিতলে অঙ্কপাত করিল তখন ॥ হবে কি না হবে পুভ্ত্র ইহা ভাবি মনে । তক্তার উপরে পাশ। ফে(লল ষতনে ॥. দেখিল পাশায় শুভ ফলের উদয়। তাহা দেখ্যে হল্যো তারা সন্তোষ হৃদয় ॥ এক্য বাক্য হয্যে সবে বলিল তখন । হইবে তের পুত্র শুন ছে রাজন্॥ ৩
২০ মীর হসন্ কৃত
বহুবিধ তর্ক কর্যে দেখিলাম সবে । হর্ষের সহিত তব বাগ্ণ পুরণ হবে ॥ রন্মালের পুঁথি খুল্যে দেখিলাম সার্ ! প্রত্যেক অক্ষরে হয় হর্ষের ব্যাপার ॥ আমাদের এই কথা জানিবে নিশ্চয় ! তোর হইবে এক সুন্দর তনয় ॥ তোমাদের দম্পতির ভাগ্য কলবান্। মিলনের মদ্য তুমি সুখে কর পান ॥ উত্তর করিল পরে জ্যোতিৰ সকল । আমরাও নিজ গ্রন্থে দেখিলাম ফল ॥ মন্দ দিন গত হয়ে গেছে সমুদয় । শনির কু অধিকার হইয়াছে ক্ষয় ॥ ভাগ্য বলে শুভ গ্রহ হয়ে)ছে উদয়। কিছু দিন মধ্যে হবে হর্ষের সময় ॥ পণ্ডিত গণেতে পরে করেন বিচার । অঙ্ুলির মধ্যদেশ গণি বার বার ॥ ভূপাতির জন্ম পত্রী করি দরশন | বৃশ্চিক তুলাকে দেখি বলেন তখন ॥ রামজীর দয়া আছে তোমার উপরে । চন্দ্রের সমান গুজ্র হবে তব ঘরে ॥
অস্বি ।
উপ তব বাঁঞ্ণ পুর্ণ হইবে সন্থর |. পঞ্চমেতে এসেছেন গ্রহ দিবাকর ॥ প্রকাশ হত্যেছে এবে হর্ষের বচন ।
না হয় সন্তোষ তবে ন। হই ব্রাঙ্গণ ॥ প্রসন্ন হয়েছে এবে কপাল তোমার । সগ্মৈতে হইয়াছে গুরুর দঞ্চার ॥ অবশ্য জন্মিবে তব সুন্দর কুমার । * আমাদের গ্রন্থে দেয় এই সমাচার ॥ কিন্ত আছে ঈশ্বরের অন্য অভিপ্রায় । অমঙ্গল দেখি কিছু শুভ ঘটনায় ॥ সন্তান হইবে কিন্ত কি বলিব আর। দ্বাদম্ম বর্ষেতে আছে ভয়ের ব্যাপার । শিশু যেন নাহি উঠে হন্দ্্যের উপর | উচ্চতর স্থানে আছে আশঙ্কা বিস্তর ॥ দেখ্যো কেন বারে বর্ষ বাহির না হয় । ' ঘরের ভিতরে যেন সেই চন্দ্র রয় ॥ এই কথা শুনে রাজ1 বলিলেন পরে।
শহ্ক। আছে কিন! বল প্রাণের উপরে ॥
বলিলেন বিজ্ঞ গ্রণ"গ্রাণে নাই ভয় । বিদেশ রী উ/র ঘটিবে নিশ্চয় ॥
৬০৯
৩২ মীর হন কত
কোন পরী প্রেমাষক্তা হবে তার প্রতি । অপর নারীর প্রতি হবে সভার মতি ॥ আমাদের গ্রন্থে দেয় এই সমাচার । কাহারে। কারণে ক্লেশ ঘটিবে তাহার ॥ কিছু সুখ কিছু ছুঃখ হইল রাজার! এ সংসার সুখ ছুঃখছুয়ের ব্যাপার ॥ রাজী বলিলেন তাহে সাধ্য কিছু নাই। ঈশ্বরের ইচ্ছা! বাহ! হইবে ভাহাই । "এই ৰল্যে অন্তঃপুরে গেলেন ভূপতি। পণ্ডিত গর্ণেও পরে করিলেন গতি ॥ ঈশ্বরের প্রতি ছিল রাজার বিশ্বাস। চাহিতেন ভার কাছে নিজ অভিলাব॥ মস্জিদে নিজে দীপ দ্দিতেন ভূপতি ূ সদ। করিভেন তিনি ঈশ্বরে প্রণতি ॥ অভীক সিঞ্ধির পথ করিয়ে সন্ধান । - তারে ধ্যান কর্যে পরে পেলেন সন্তান ॥ ঈশ্বরের কপামেঘ বর্ধিল যখন । রাজার বাঞ্চার ক্ষেত্র ফলিল তখন ॥ সেই বর্ষে শুন এক কৌতুক ব্যাপার । রাঁজমহিষীর হলো? গর্তের সঞ্চার ॥
' মস্নবি। ৩৩
রাজার মনেতেন্ছিল ছুঃখ শোক যাহা । হর্ষের সহিত হল্যো পরিবর্ত তাহা ॥ _অহে সাকি! মদ্যপান করাও যতনে । ' বেহাল! সেতার দেখ বাজেওকৌন্ ক্ষণে ॥ আর্ত করিব আমি আহ্কাদের গান।
উত্তম নক্ষত্র এক হবে অধিষ্ঠান ॥ ৯6০৬৮ | র'জপুজ্র বেনজিরের জন্ম বৃত্ত স্য।
পরে যবে গত হয়্যে গেল নয় মাস! রাজ ঘরে হল্যো এক সন্তান প্রকাশ ॥ জন্মিল রাজার পুন্র পরম সুন্দর । ধাঁকে দেখ্যে চন্দ্র সুষ্য হয়েম কাতর ॥ কি কব ৰপের শোভ্1 অতি স্বিমল। সে শোভা দেখিলে হয় নয়ন বিহ্বল ॥ অতিশয় মনোহর শিশুর শরীর । ঈরাজ। রাখিলেন তাঁর নাম বেনজির ॥ দাস আর খোজা গণ আসিয়। তখন । উপহার দিয়! হুপে বলিল বচন ॥ মহারাজ হল্যো তব আহ্লাদ সঞ্চার । সিংহাদন অধিকারী জন্সিল তোমার ॥
৩৪. মীর হসন্ কৃত
সেকন্দর্ তুল্য দেখি শিশুর লক্ষণ । প্রবল প্রতাপ-হবে দারার মতন ॥ হইবে ইহার সব দেশ অধিকার। চীনের ভূপাল হবে সবক ইহার ॥ এই কথা শুনে রাজ হয়্যে হর্ষ মন। পাতিলেন নমাজের বিচিত্র আসন ॥ লক্ষ লক্ষ প্রণিপাত করিয়া ঈশ্বরে ।
এ প্রকার স্তৃতি বাক্য বলিলেন পরে ॥ অনায়াসে তুমি কপা কর কূপাময়। তোমার নিকটে কেহ নিরাশ না হয়। এই ৰপে ঈশ্বরের করি উপাসন1। করিতে হর্ষের সভা হইল বাসনা ॥ দাস আর খোজাদৈর লয়ে উপহার ! তাদিকে জরীর বস্ত দেন পুরফার॥
এ ৰূপ বচন রাজ! বলিলেন পরে । তোমরা সকলে তবে যাও হে সত্বরে ॥ ভৃত্যদিগে বল গিয়ে এ ৰ₹প বচন । আহ্লাদের সমাজের করে আয়োজন । নকীবদিগকৈ ডাকি বলিলেন সুপ নওবৎখা নাম গিয়ে বল এই ষপ॥
মস্নবি।
আহ্মাদের নওবৎ সকলে বাজায়।
এ সংবাদে সুখী হৌক লোক সমুদায় ।, নওবৎওয়ালার। পেয়ে সমাচার ।
স্থানে স্থানে করে সবে শোভার বিস্তার ॥ জরীর কাপড় যত শোত। যার নীন1। তাহা দিয়ে সাঁজাইল নওবৎখানা ॥ নিজ নিজ নওবৎ সুড়িয়া রনাতে। তাহাতে উত্তাপ দিয়ে লাগিল বাজতে ॥ বাজিতে লাগিল বাদ্য অতি মনোহর । সেই শব চারি দিক্ ব্যাপিল সত্বর ॥ সেখানে হর্ষের বাদ্য বাজিল যখন । নগরের লোক সৰ আইল তখন | শানাইওয়াল! সবে বসি দলে দলে ।
নিজ নিজ যন্ত্র লয়ো সাজায় সকলে ॥ পুরষ্কার বস্ত্র লয়্যে বাধি শিরে পাঁগ। বাঁজায় মঙ্গল গীত করোয অনুরাগ ॥ ধরিল শানাই অতি সুমধুর সুর |
সুন্দর আড়ান। বাজে শুনিতে মধুর ॥ টিকোরার বাদ্যে আর শানায়ের ধুনে। মোহিত হইল সব শ্রোতা গণ শুনে ॥
কে চা
৬৬ মীর হসন্ কত
তুরি আর কর্ণ! ছুয়ে বাজিল মধুর । জিস্ আর খরজেতে প্রকাশিল সুর ॥ করতাল তাহাদের সুবাদ্য শুনিয়! | করতালি দিয়ে যেন উঠিল বাজিয়। ॥ রাঁজার হইল পুন্র শুনিয়। অবণে । নূতন আহ্লাদ যুক্ত হল্যে সর্ব জনে ॥ পুরীর ভিতর হৈতে বিচার আলয়। এক বারে হয়্যে গেল লোকারণ্য ময় ॥ উপহার লর্যে গেল যতেক উজীর । পাইল টাকার তোড়া অনের ফকীর ॥ মহীপাল বাড়াইতে সন্তমের লাম। দিলেন ধার্মিকদিগে বন্ছবিধ গ্রাম ॥ ধনীদিগে ভুমি দেন করিয়া নিষ্কর ! সৈন্যদিগে ধন্রত্ব ছিলেন বিস্তর ॥ মাণিক্য হীরক রত দেন মন্ত্রী গথে। পরিধান বক্কর দেন নিজ দাস জনে । খোঁজা গণ বস্ত্র দান পায় মনোমত। পাইল ঘোটক দান পদাতিক যত ॥ মহীপ।ল মনোমধ্যে হয়ে আঙ্জাদিত । করিলেন বিতরণ ধন যথোচিত ॥
মস্নবি। ৩৪
এক টাকা পাইবার যোগ্য ষেই জন । তাঁহাকে সহত্র টাকা দিলেন তখন । ভীড় আর ভিক্ষুকের! হয়ো উপস্থিত । আশীর্বাদ করে সবে হর্ষের সহিত ॥ 'গায়ক গায়িকা এলো দেশে ছিল যত । নর্তক নর্ভকীদের নাম লিখি কত ॥ উত্তম গাঁরক আর ভাল বাদ্যকর। সরুলে একত্র হল্যে যত গুণী নর ॥ দেশের এ কপ লোক মিলে দলে দলে । গীন বাদ্য নৃত্য সবে করে কুভূহলে ॥ কানুন রোবাৰ বীণ বাজিল সুস্বরে । আমে দের ঝর্ণ যেন বহিল নগরে । বাজিল মৃদক্র বাদ্য মনোহর ধনি। চঙ্গের সুন্দর শব্ষ উঠিল অমনি ॥ কামচা। সারঙ্গ বাদ্য করি জঙ্গোভন। বাদ্যকরে করে তার সুরের মিলন ॥ মুরচক্ষ যন্ত্র লয়্যে মোম্ দিল তারে । তানপুর! মিলাইল যত্বু সহকারে ॥ সেতারাকে পরিস্কার করিয়া সত্বর | বাজাতে লাগিল বাদ্য অতি মনোহর ॥ ঙ
৬৮ মীর হষন্ কৃত
বীথাঁর বাদ্যের ধনি উঠিল গগণে।
শ্ুন্যে তাঁর প্রতি ধনি হল্যে! ক্ষণে ক্ষণে ॥ আহ্লাদের শয্যা পাতা ছিল সেই স্থলে ! নাচিতে লাগিল তথ। নর্তকী সকলে ॥ পরিধান করি সবে জরীর বসন ।
যুগল চরণে দিয়ে ঘুঙ্কুর ভূষণ ॥
ক্ষণে আগে ক্ষণে পিছে বেচে নেচে যায় । হৃদয়েতে হস্ত ছিয়ে ভঙ্গি করে তায় ॥ কাঁণে শোভে কাণবাল। অতি পরিষ্কার । নাচিতে নাকের নথ দোলে বার বার ॥ করিয়া নর্তকীগণ চরণ চাঁলন।
মানুষের মন যেন করিল মর্দন ॥
কখন বিস্তার করি যুগল নয়ন ।
সকল লোকের গ্রতি করে নিরীক্ষণ ॥ কখন আপন ছৰি ন্মচিয়। দেখায় । কখন.কীচলি ঢেকে গুপ্ত করে কায ॥ নবরতু বাঁজু কীরো। করে ঝলমল ৷
নথে শোভা পায় কারে বদন মণ্ডল ॥ তাঁহখদের মুখ জ্যোতি অতি ুশোৌতভন । রক্তবর্ণ ওষ্ঠাধর দশনে মঞ্জন ॥
মস্নবি | ২১৯
দন্তে আর ওষ্ঠে কিবা শোভা দুষ্ট হয় । সন্ধ্যা আর উবা যেন হয়্যেছে উদয় ॥ দ্ষ্যের সমান দীগু তাদের বদন। তাহা দেখ্যে স্বতাবত স্থির নহে মন ॥ পরিষ্কার গলদেশ শোতা অতিশয় । শিরার শৌভাঁয় মন মুগ্ধ হয়ো রর ॥ কখন পশ্চাৎ দিকে ফিরায় বদন। গোপনে গোপনে কভু করে দরশন ॥ কখন চাদরে ঢাঁকে বদন মণ্ডল । যেহেতু ন! দেখ্যে মন হইবে চঞ্চল ॥ নিপুণ কোন নারী সজীত বিদ্যায় । পরমলু নাচে আর ব্রন্মযোগ গায় ॥ ডেরগৎ নেচে কেহ চালায়্যে চরণ। মর্দন করিছে যেন যুবকের মন ॥ প্কেহ কেহ দয়েরায় পরন্ বাজায় । ডিম্ভিমি লয়্যে কেহ ক্ষমতা দেখায় ॥ কিন্ত তার নানাৰপে হরোযে লয় মন। নকলে মোহিত করে নুতন সুতন ॥ কখন রাখিয়। তাল আপন চরণে। আঘাত করিছে যেন সমুদায় জনে ॥ ৬
৪৬ মীর হসন্ কত
কোন স্থানে ধুরপত কোথাও সঙ্কীত। কোথাও খেয়াল টপৃপা হয় যথোচিত ॥ কোন স্থানে ভাড় ঘত করে কত কাচ। কোন স্থানে হইতেছে কাশ্মিরী নাচ ॥ কোন স্থানে দলে ছলে মান্দর। বাজায় । কোন স্থানে পখরাঁজ বাজায়্যে বেড়ায় ॥ কোন স্থানে দলে দলে গলে কাধি ছচোল। একত্রেতে নেচে নেচে করিতেছে গোল ॥ পুরীর মধ্যেও হল্যে৷ অত্যন্ত উৎসব ধন্যবাদ আশীর্বাদ এই মাত্র রব । সেখানেও আমেদের ঘটা যথোচিত। নর্ভকীগণের নিত্য হয় নৃত্য গীত ॥
ছয় দ্িনাবধি সবে আনন্দ অধীন ! শবরাৎ রাত্রি,ছিল য়ীদ ছিল দিন ॥ মেঘের মধ্যেতে থাকি চন্দ্র বাড়ে থা । অন্তঃপুরে থেক্যে শিশু বাঁড়িতেছে তথ ॥ বর্ষগতে বর্ষবুদ্ধি হইল যখন ।
আনন্দে প্রফুল হল্যেো সকলের মন ॥ যখন চতুর্থ বর্ষ হল্যে। বয়োমান ।
তখন হইল ত্যাগ স্তনুপ্ধ পান ॥
অস্নবি। ৪১
প্রথমেতে হয়েছিল ঘট! ষে প্রকার। সে দিনে তেমনি হল্যে হর্ষের ব্যাপার ॥ সেই সব বাই আর সেই রাগ রঙ্গ | বরঞ্চ দ্বিগুণ হল্যে। হর্ষের তরজ ॥ পা প। কর্যে হর্ষে শিশু, বেড়ায় যখন । তখন হল্যেন রাজা আহ্লাদিত মন ॥* পৃথিবীতে সন্তানের নামের কারণে । দিলেন বিমুক্ত কর্যে ক্রীত দাস গণে ॥ প্র কী
উদ্যান নির্মাণ বিবরণ | আমাকে করাও সাকি লাল মদ্য পান। করিবে আমার মন উদ্যান নিম্মীণ ॥ --এৰকপ উদ্যান রাজা ফরিলেন পরে ৷ যাহ! দেখ্যে লালাফুল হৃদে দাগ ধরে ॥ তায় শোভে অট্টালিকা পরিষ্কার দ্বার | চন্দ্রাতপ যোগে তার শোভা চমত্কার ॥ চিক আর যবনিক1! হেন শোতা পায় । শোভ। যেন যোড় হাতে রয়েছে তথায় ॥ কোথাও উপরে চিক ঝুলে নান মত। সোপান পর্যন্ত পড়ে যবনিক যত ॥
৩৬
৪ মীর হসন্ কৃত
যতেক জরীর ডুরি হেন শোভা পায় । চন্দ্রও তাহার শোভা দেখিবারে চায় ॥ নয়নের জাল যেন চিক ছিল দ্বারে । তাহাতে পড়লে দৃষ্টি ফিরিতে না পারে ॥ সুবর্ণ চিত্রিত ছিল ছা'ত সমুদয় ।
দ্বার আর ্তিত তার ছিল চিত্রময় ॥ স্ঞেভিতের চারি ভিতে দপণ দেওয়ায় । চতুর্ডণ শোভা যেন হয়্যেছল তায় ॥ মখ্মলের শব্যা ছিল এমন চিন্কণ। চলতে ভ্রাসিত হৈত লোভের চরণ ॥ দিবা নিশি গন্ধ দ্রব্য জ্বলিছে তথায় । নাসিকার অতিশয় তৃপ্তি হয় তায় ॥ রত্বময় খাট ছিল ভর্ম্যের শভতরে | সদত সুন্দরকপে ঝলমল করে ॥
ভূমে তার গ্রাতিবিন্ব হেন স্ুশোভন। নক্ষত্রগণের শোভা আকাশে যেমন ॥ ভূমির বর্ননা আমি কি করিব আর। চন্দনের খণ্ড ছিল ভূভাগ তাহার ॥ মর্মর্ স্তর মর জলের লহর ।
চারি দিকে জল তার ৰছিছে সুন্দর ॥
স্ীমস্নবি | ৪৩
ধারে ধারে ঝাউ গাছ শোভা চমৎকার | সেও আর বিহি বৃক্ষ দুরে দরে তার । আঙ্গুরের মঞ্চ শোভ' কি করি বণন। সেই দিকে চেয়ে থাকে মদ্যপায়ী গণ ॥ বায়ুযোগে পুষ্প সব লহ লহ করে । সহজেই সে উদ্যান চারু শোভা ধরে ॥ তৃণের সুন্দর বর্ণ পান্নার মতন । কেয়ারির ধার ছিল প্রস্তরে শোভন ॥
সে তৃণের প্রতিবিষ্বে তাহার পাষাণ। পান্নার সমান যেন হয় অনুমান ॥ পুঙ্গবনে পরিপুর্ণ ছিল উপবন। পুষ্পবনে পুষ্পপুণ সুন্দর শোতন ॥ কোন স্থানে নরগেস্ গেল[পেব্র কুল। কোন স্থানে ফুটে আছে যত বেল ফুল ॥ কোন স্থানে রার়বেল কোথাও মতিয়া । চামেলি মোগরা কুল রয়েছে ফুটিয়! ॥ রজনিগন্ধের শিখা যথায় তথায়। কোথাও মদনবাণ অতি শোভা. পায় ॥ কোন স্থানে গুল্ লালা আর লাল! যত | সময়ানুসাঁরে সবে শোহা পায় কত॥
৪৪ মীর হসন্ ব
কোথাও জাফরি মেঁদা ফুটেছে উদ্যানে । নিশিতে দাউদি ফুল শোভে কোন স্থানে ॥ জ্যোহৎসা যোগে পুষ্প সব বিচিত্র শোভন । কোন কোন শুক্র পুম্প চন্দ্রের মতন ॥ চল্পকের ঝাড় সব ঝাউ বৃক্ষ মত। দেখিলে বলিতে তৃমি সুগন্ধ পর্ধবত ॥ কোন স্থানে বেল আর পীত বর্ণ জাতি । তাহাতেই পুষ্প ঘন পীত বর্ণ ভাতি ॥ চারি দিগে লহরের জল বহিয়াছে। ডাকিছে কুমরি পাখী বস্যে ঝা গাছে ॥ লহরের ধারে বলে যত পুষ্প গণ। পরস্পরে করে যেন বদন চুম্বন ॥
ঝুকে ঝুকে পড়ে ফুল কেয়ারি উপরে । নেশার ব্যাপার যেন উদ্যান ভিতরে ॥ কৌঁদাঁল করিয়া হাতে মালিনী সকলে। উপবন দেখ্যে তার! ভ্রমে দলে দলে ॥ কোন কোন স্থানে করে বীজের বপন । কোথাও চীণের চাপ। করিছে স্থাপন | পরস্পর পরম্পরে আশ্জয় করিয়! ।
যতেক হৃক্ষের শাখা আছে দড়াইয়া ।
গআস্নবি। 5৫
মদ্যপায়ী গণ তথা মদেতে মতিয়া । পরম্পরে থকে সবে কাধে হাত দিয়া ॥ লহরের জলে দেখ্যে আপন শরীর । ঝাউ বৃক্ষ ছুলিতেছে হইয়া অস্থির ॥ উদ্যানের চারি দ্বিকে ভ্রমে সমীরণ। নাসিকার মধ্যে করে সুগন্ধ প্রেরণ ॥ কর্কর কাজ পাখী লহরের জলে । রয়্যেছে সঙ্গেতে লয়্যে মুর্গাবির দলে ॥ হংস আর কর্করা সুখে শব্দ করে । শিখী আর ৰক ভাঁকে প্রাচীর উপরে ॥ গুম্পের অনলে যেন স্বলে গুষ্পবন। উদ্যান সুগন্ধ ময় বায়ুর কারণ । বকুলের কদুলীর ছায়া এ প্রকার ।
নাম নিলে হয় নেত্রে নিদ্রার সঞ্চার ॥ যখন তথায় হয় বায়ুর গমন ।
চারি দিকে হয় কত পুষ্পের পতন ॥ বুল্বুলি পাখী বস্যে পুষ্পের উপরে । প্রেমের আলাপ করে খে পরম্পরে ॥ রুক্ষ গণ পত্র ৰপ নিজ পত্রদলে। শুকের পাঠের জন্য খুলেছে সকলে ॥
৪৬ মীর হমন্ ক্কত
দাসী আর মগ্লানীরা পরিয়া ভূষণ! চারি দিকে শৌভ। করো্যে করিছে জমণ ॥ দসী আর সখীদের জনতা! অশেষ ।
পুরি মধ্যে পরিহাস হতেছে বিশেষ ॥ সর্বদা উত্তম বস্ত্র কর্যে পরিধান । রাজার পুত্রের কাছে করে অবস্থান ॥ চন্ত্রমুখী দাসী যত মনোহর দেহ। কাহারে! চামেলি নাম রাঁয়বেল কেহ ॥ শণ্ডফ। কাহারো নাম কেহ কামবপ। চিৎলগন্ কেহ আর কেহ সাম্বপ॥ কেহ বা কেতকী আর কেহ বা গোলাব্। কেই মহর্তন্ আর কেহ মহতাঁব্॥ কেহ বাঁ সেউতী আর কেহ হাসমুখ ॥ কেহ দেল্লগন আর কেহ বা তন্সুখ ॥ এ দিকে ও দ্রকে করি গমনাগমন | যৌবনের গর্ধে সবে করিছে ভ্রমণ ॥ কোথাও অঙ্গুল নি আর করতালি । কোথাও হাস্যের রব আর গালাগালি ॥ কোথাও সাঁজাঁয়্যে দল বস্যে আছে সবে। কোন স্থানে কহে কথা ওরে হেঁরে রবে।
মস্নবি। ৪৭
চরণের মল কেহ ৰাজায়্যে বেড়ায়। আহ! আহা অরে বোল্যে কোন দাসী ধায় ॥ গোখরু দেখায় কেহ গোটা'র উপরে | সুত্রে বুটি কোট্যে কেহ তার তোড় করে ॥ হুক্কা লয়ে বস্যে কেহ করে ধূম্ পান। প্রমালাপ করি কেহ করে অবস্থান ॥ স্নান করিবারে রেহ হউজেতে যার। লহরের ধারে কেহ চরণ দোলায় ॥
কেহ করে আপনার শুকের রক্ষণ ৷ মযৃনার প্রতি কেহ করে নিরীক্ষণ ॥
কেহ করে করাঘাত কাহারে মাথায় । প্রাণের সহিত কেহ প্রণয় জানায় ॥,. আপন অগ্রেতে কেহ রেখ্যেছে মুকুর | কেহ ব! চিরুণী লয়্যে ঝাড়িছে চিকুর ॥ কেছ ব1 মঞ্জন দেয় দন্তের উপরে। দিতেছে মঞ্জন বেহ আপন অধরে ॥ ইহাতে দ্বিগুণ শেোত। উদ্যাঁনে প্রচার ।
এ আরামে থাকিতেন রাঁজার কুমার ॥ উহার সুখের জন্য দাস দাসী বত। নিযোজিত হয়্যে তাঁরা থাকিত সত ॥
৪৮ মার হসন্ কৃত
অতিশয় সমাদরে যত্বের সহিত 1. পিতৃ মাতৃ ন্নেহে তিনি হলোন পালিত ॥ পাঠাগারে নিযোজিত হল্যেন যখন । আমোদ আহ্জ।দ হল্যে। পুর্ধবের মতন ॥ আতালিক্ মুহ্গী আদি বিবিধ বিদ্বান । করিতে লাগিল সবে তাকে শিক্ষা দান ॥ বিদ্যারস্ত করাইল যথ! রীতি মত।, পড়াতে লাগিল সবে বিদ্য। ছিল ঘত ॥ হেন বুদ্ধি ছিল তার ঈশ্বর কপার । পড়িলেন অণ্প দিনে বিদ্য। সমুদায় ॥ সন্তক বয়ান বিদ্যা মানি কি আদব। মন্কুল মাঁবু্ন আদি পড়িলেন সব ॥ বিদ্বান হল্যেন তিনি চিকিৎস! বিদ্যায় । রীতি অনুসারে পাঠ হল্যে। সমুদায় ॥ হুইএৎ জ্যোতিৰ অঙ্ক হল্যো অধ্যয়ন | র্যাপিল বিদ্যার বশ আকাশ ভুবন ॥ সমস্ত বিদ্যায় যত অক্ষর প্রকাশ । তাহার প্রত্যেক বর্ণ হইল অভ্যাঁস। লিখিতে আরস্ত তিনি করেন ঘখন |
নয় প্রকারের লেখা শিখেন তখন ॥
মস্নবি | পরেতে লেখনী করে করিয়া ধারণ | লেখেন গোবার্ নস্ধ রয়হান্ লিখন ॥ অরুসল খৎ সুলস খর্তেশোয়া আর। নস্তালিক রোকা আর শেকন্ত। গুল্জার ॥ তদন্তর বেনজির লয়্যে ধনুর্ধবান। চলিশ দিবসে তায় হল্যেন বিদ্বান্ ॥ মনোযোগ রুরি পরে লকৃড় খেলায় । হস্ত গত করিলেন তাহার উপায় ॥ গান শিখিবার ইচ্ছ। মনে করি পরে ৷ তাল রাগ সমুদয় শিখেন সত্বরে ॥ চিত্র-পট লিখিবারে হইলে মনন! সে বিষয়ে স্ভুনিপুণ হল্যেন তখন ॥ শিখিলেন করদিনে বন্দুক ছুড়িতে। ফিরিঙ্গিরা তাহ! দেখ্যে স্তন্ধ হল্যে! চিতে ॥ ইহা ভিন্ন আর বত লৌকিক নিয়ম । তাহাতেও সুনিপুণ হল্যেন উত্তম ॥ অসৎ নীচের প্রতি ঘ্ৃণ! ছিল তর কেবল বিদ্বান্ সঙ্গে হৈত ব্যবহার & বেনজির হইলেন নবম অনুযায়। অর্থাৎ অতুল্য তিনি হল্যেন বিদ্যায় ॥
চ
৫০ মীর হসন্ কৃত
' বেনজিরের পাঁলকী আরোহণ বিবরণ ।
করাও আমাকে সাঁকি ! কিছু মদ্য পাঁন। এখন বসন্ত কাল হল্যো অধিন্ঠান । একত্রে যে বন্ধুগণে করি কল ক্ষয়। ইহাই অত্যন্ত লভ্য জাঁনিবে নিশ্চয় ॥ দেখ দেখ উদ্যানের পুষ্প সমুদয় । কিছু নয় কিছু নয় পাঁচ দিন রয় ॥ যদি পার সুখ্যাতির ফল লও তবে । যে কিছু করিতে পার শীঘ্র কর ভবে ॥& গুষ্পের শৌভার প্রতি বিশ্বাস কি আছো, হেমন্ত বসন্ত ভাঁর কিরে কাছে কাছে ॥ _বারো বৎসরের শিশু হইল ঘখন। দাঁরুণ বিপদ্দ ফুল ফুটিল তখন ॥ তদন্তর এক দিন সন্ধ্যা কালে ভূপ। নকীবদিগকে ডাকি বলেন এ ৰপ ॥ ছোট বড় ভৃত্য যত আছে নিষোজিত । রুল্য পরাতে সবে যেন হয় উপস্থিত ॥ সমারোহে নরযান বাহির হইবে । আব্শ্যক দ্রব্য সব প্রস্তুত করিবে ॥
মস্নবি। ৫১
যত্ত করি সাজাইবে নগর এমন |
ঘান যেন হয় তাতে দ্বিগুণ শোভন ॥
ছোট বড় প্রজা! সব হবে হর্ষ মন।
বেনজির করিবেন নগর জরমণ ॥
এই কথা বলি পরে পৃথিবীর পতি ।
নিজ অন্তঃপুর মধ্যে করিলেন গতি ॥
নকীবেরা এ আদেশ করিয়। শ্রবণ।
আপন আপন পথ ধরিল তখন ॥
রজনীর আগমন হল্যো তদন্তর |
মদের পিয়াল! বেন নিল নিশাকর ॥
ঈশ্বরের উপাসনা করণ কারণ ।
স্ুর্য্য যেন করিলেন সত্বরে গমন ॥
সুখের রজনী শেষ হইল ত্বরিত।
অগ্রেতে প্রভাত কাল হল্যে উপস্থিত ॥
নিজ পুভ্রে হুপবর বলেন তখন ।
ন্প[ন করোযে ধৌত হয়্যে থাক হে নন্দন। বেনজির স্নানাগারে স্নান করেন
তাহার বর্ণন। মনে! মলা ধৌত কর্যে দাও হে আমার । তোমার বোতল সাঁকি ! কর পরিক্ষার ॥ ২চ
৫২ মীর হঙ্গন্ কৃত
আমার মনের সুখ ছি মন চায় | [দিও না মদির। তবে ক্ষুদ্র পিয়ালায় ॥ যেই হেতু বেনজির গিয়ে সানাগারে । করো্যেছেন অভিলাষ ন্নাঁন করিবারে ॥ --ন্নানাগারে বেনজির গেলেন যখন । ঘন্ম যুক্ত কলেবর হইল তখন ॥ কোমল শরীরে ঘাম হইল বাহির ।
” পুষ্পের উপরে ঘেন পড়িল শিশির ॥ কটি বদ্ধ হয়্যে তথ! যতেক কিন্করে । স্বর্ণ পাত্রে রৌপ্য পাত্রে জল লয়ে পরে ॥ সে পুজ্প-গাত্রের গাত্র করিল মর্দন । জলে যেন পরিষ্কার হল্যো পুপবন ॥ জলের সেচনে দেহ হেন দীপ্তি পাঁয়। বর্ষণ সময়ে সেন বিহ্যৎ খেলায় ॥ ওষ্ঠের উপরে জল পড়িল বখন । পুষ্পপত্রে জল যেন হল্যো দরশন ॥ হউজেতে বেনজির করিলে গমন । জলে যেন চন্দ্র ছ্যুতি হইল পতন ॥ গৌর গাত্র, কুঞ্চবর্ণ কেশ ছিল'তীর । কেশ হতে জলবিন্ডু পড়ে বার বার ॥
মস্নবি | ৫৩
দেখিলে বলিতে হয় এ কপ বচন । শ্রাবণের সন্ধ্যা উা একত্র যেমন ॥ পানার প্রস্তর লয়্যে বত ভৃত্য গণ । যখন*করিল ভার চরণ মর্দন ॥
'খল খল করোযে তিনি হাসিয়া তখন । টানিয়া নিলেন শীঘ্র আপন চরণ ॥ হাস্য করিলেন তিনি এমন সুন্দর । হাসিয়। উঠিল তাঁয় যাবতীয় নর ॥ ছোট বন্ড যত জন ছিল উপস্থিত । আনন্দিত হল্যে। সবে প্রাণের সহিত ॥ হর্ষে আশীর্বাদ করি বলে যত নর । তোমাকে রাখুন সুখে পরম ঈশ্বর ॥ যে হেতু তোমার সুখে সুখী হই সবে। দিব! রাত্রি সুখ ভোগ কর তুমি ভবে॥ ছুঃখ যেন তব মনে নাহ পায় স্থান। নক্ষত্র সমান তুমি হও দীপ্তিমান ॥
শুদ্ধ ৰপে স্নান কাধ্য হল্যে পর শেব। ধরাধরি কর্যে আনে গায়ে দিয়। খেস্ ॥ মেঘ হৈতে চন্দ্র হয় ৰহির্গত যথা । নেয়ে ধুয়ে সেই পুষ্প বহির্থত তথা ॥
২৩ ৮
৫৪ মীর হসন্ কৃত
ভূত্যের! রাজার পুন্রে করাইয়া স্বান। করাইল রাজবেশ বস্ত্র পরিধান ॥ পরাইয়! সমুদায় রত্বের ভূঘণ। রত্বের সমুদ্র যেন করিল হজন ॥ লড়ি কন্পী নবরত্ব আর লট্কন.। এক হৈতে অন্যে করে শরীর শোভন ॥ রত্রপাগ সলিলের তরঙ্গ সমান | এ প্রকার পরিষ্কার যেন তানুমান্॥ শত শত শোভা পায় রত্বের মালায় । মন প্রাণ উভয়ের হর্ষ হয় তায় ॥ কুমারের অঙ্গে কত রত্ব শোভমান্। এক এক রত্র যেন কোহ্তুর সমান ॥ এ পে সজ্জিত হয়্যে নৃপতি-নন্দন । গৃহ হৈতে বাহিরেতে করেন গমন ॥ গৃহের বাহিরে এস্যে কুমার যখন। পালকীতে করিলেন সুখে আরোহণ ॥ এক খাঞ্চ। রত্বু লয়ে বরণ করিয়া । ভৃত্য গণ সেই রত দিল ছড়া ইয়া ॥ 'ৰাহিরেতে সমারোহ দেখিতে উজ্জ্বল । ডস্ক'র শব্দেতে আরো হল্যো কোলাহল ॥.
মস্নবি ! ৫৫
সারি সারি অশ্বারোহী অতি চমগকার । সারি হয়্যে আছে হস্তী হাজার হাজার ॥ স্বর্ণের রৌপ্যের ছিল হস্তীর আমারি। রাত্রি আর দিন যেন ছিল সারি সারি ॥ অতিশয় শোভাপায় জরীর নিশান । সারি সারি অশ্বারোহী দ্রিকে দিকে বান । নরযান চলিয়াছে হাজার হাজার।
যত নালকীর শৌভ1 অতি চমতকার ॥ জরীর-সুচারু কুর্তি বাহকের গায়। তাসের সুন্দর পাঁগ দিয়েছে মাথায় ॥ নিঃশব্দ চরণে দ্রুত করিছে গমন | দেখিলে অমনি হয় অস্থির নয়ন ॥ স্বর্ণের মোটা বাল! হাতে শোভাপায়। প্রতি পদে তাঁর ছটা পড়িতেছে পায়॥ মাহিমরাতেব আর তক্তরয়ী কত। নওবৎ বাজিতেছে শব্দ নানা মত? অতিশয় মনোহর শানাঁয়ের সুর ৷ নওবৎ বাদ্য তায় বাজিছে মধুর ॥
ডস্ক! বাদ্যকারী কদ্ধরয অশ্বে আরে।হণ। বাজাইয়। ধীরে ধীরে করিছে গমন ॥
৫৬ মীর হসন্ কত
এই ৰূপে বাদ্য লয়্যে সন্তোষে বাঁজায়। স্থশৌভিত হয়্যে সবে দলে দলে যায় ॥ অশ্বারোহী পদাতিক আঁর মন্ত্রী গণ । ভাগ্যবান পারিষদ ছোট বড় জন ॥ একত্র হইয়া তাঁরা অত্যন্ত শোভায়। রাজার পুজ্রের সঙ্গে সকলেতে যায় ॥ উপহার দিতে ইচ্ছা ছিল যার যার । র।জা আর রাজপুজ্রে দিল উপহার ॥ পরে রাজাজ্ঞায় করো যান আরোহণ । একত্র হইয়! সৰে করিল গমন ॥
সকলে জরীর বস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ।
দলে দলে যাইতেছে ছুই দিক্ দিয়া ॥ কোতলের ঘোড়া ছিল রত্বেতে সজ্জিত | ৰ্ি কহিব তার শেবভা অতি মনোনীত ॥ মনোহর কলেবর হস্তী সমুদয়। মেঘডুম্বরের সাজ শৌভা অতিশয় ॥ জরীযুক্ত চন্দ্রাতপ অতি শোৌভ। পায়! তক্তরয়। কাছে কাছে এ সকল যায় ॥ ন্ুবর্ণের আসা সৌট। লযব্যে ভৃত্য গণ । পালকীর অগ্রে যায় হইয়া শোভন ॥
মস্নবি। . ৫৭
চোৌবদাঁর জেলোঁদাঁর নকীব কিঙ্কর | পরস্পর বলিতেছে করো উচ্চস্বর ॥ রীতিমতে চল সবে বিবিধ বিধানে | “ছুদিকে চালাও অশ্ব অতি সাবধানে ॥ অগ্রে অগ্রে চল সবে মৃদ্ধু যৃছু পদে । কুমারের আয়ু বৃদ্ধি ঘৌঁক পদে পদে ॥ পথ মধ্যে নরযান যায় এ প্রকার। তাহাতে অত্যন্ত শোভা হইল প্রচার ॥ কৌতুক দর্শীর গোল পুথক্ ব্যাপার । দিকে দিকে বহু লৌক অশেষ প্রকার ॥ ছুর্গ হৈতে নগরের সীমানার শেষ । দোকান জরীতে মোড়া শোভ। সবিশেষ ॥ স্থসজ্জিত করেছিল সমস্ত নগর।
চক শোভা চারি গুণ অতি মনোহর ॥ তামামি-কাপড়ে মোড়া ঘার আর তিত। সমজ্ত নগর যেন স্ুুবর্ণে নির্মিত ॥
সৈন্য আর প্রজাদের গোল এ প্রকাঁর। চারি দিকে দৃষ্টি রোধ হয় বার বার ॥ উঠিল হর্দ্যের ছান্ডে স্্রীপুরুষ যত ।
এক এক ছাত শোঁভে পুষ্পবন মত ॥
৫৮ মীর হসন্ কৃত
শুন সবে ঈশ্বরের মহিমার কথ! । গুর্ধবিণীও সে কৌতুক দেখে এসে তথা ॥ প্রাচীন আ্ববধি আর ক্ষীণ খঞ্জ জন। কৌতুক দেখিতে সৰে করে আগম্ন ॥ অবাধেতে পণ্ড পক্ষী জন্ত সমুদয় । বাসস্থান ছেড়্যে সবে বহির্গত হয় ॥
“ দিক্ দরশন শল। ৮ পক্ষী-তুল্য প্রায় । আসিতে সে পারে নই তখন তথায় ॥ এই জন্য নিজ স্থানে থেক্যে ছুঃখ মনে । সহজেই ছট্ ফট্ করে ক্ষণে ক্ষণে ॥ অত্যন্ত স্থনর দেহ রাজার নন্দন । ভাকে দেখ্যে মুগ্ধ হল্যো সকলের মন ॥ সেই পুর্ণচন্দ্রে যারা দেখিল নয়নে ।
নত শিরে প্রণিপাত করিল যতনে ॥ আশীর্বাদ করি পরে বলে হে ঈশ্বর । এই সুর্য, চন্দ্র যেন থাকে নিরন্তর ॥ সন্তোবে থাকুন রাজ! এই চন্দ্র লয়! নগর. থাকিবে যাতে দীগুমান হয়্যে ॥ নগর বাহিরে ছিল রাজ উপৰন।
সেই উপবনে রাজ করিয়া গমন ॥
মস্নবি। ৫৯
সুখে তথ চারি দণ্ড করিয়। ভ্রমণ । প্রজা গণে দেখা ল্যেন আপন নন্দন ॥. পরে যান আরোহণ করিয়া ভূপতি | সৈন্য সঙ্গে করিলেন নগরেতে গতি ॥ পুক্র সঙ্গে রাজ এলে বাটার ভিতরে । নিজ নিজ স্থানে গেল সৈনা গণ পরে ॥ পুরীর যতেক দাসী হয়্যে আনন্দিত। অন্তঃপুর দ্বারে আসি হল্যো উপস্থিত ॥ অগ্রসর হয়্যে সবে অতি সমাদরে । রাঁজঞ্জুজ্রে লয়ে গেল পুরীর ভিতরে ॥ অন্তঃপুরে রা'জপুল্র গেলেন যখন ।
নাচ গান মহোৎসব হইল তখন ॥
সেই বেশে রাজপুভ্র তাহাদের সঙ্গে । এক বাম রাত্রি তথা থাকিলেন রঙ্গে ॥ সে দিন পুর্ণিমা-রাঁতি ঈশ্বর ইচ্ছায় চক্রের কিরণে শোতে দিক সমুদায় ॥ চন্দ্রের আশ্চর্য্য দ্যুতি দেখিতে হে যদি; বলিতে বহিছে ষেন পাঁরদের নদী ॥ দেখিয়া জোতমার শোভা রাজার নন্দন । একেবারে হইলেন আহ্লাদিত মন ।
৬* মীর হসন্ ক্কুভ
হইয়। মনের বশ বলিলেন পরে ॥ শয়নের খাট পাতে। ছাঁতের উপরে ॥ রাজার নিকটে পরে গিয়ে দাসী গণ। সকলে করিল তার। এই নিবেদন ॥ ছাতের উপরে সুখে করিতে শয়ন | রাজকুমারের অদ্য হইয়াছে মন ॥ বলিলেন মহীপাল দাঁসীদের প্রতি | দ্বাদশ বৎসর কাল গিয়েছে সম্প্রতি ॥ কুমারের মন যদি হয়্যেছে এমন । কোন হাঁনি নাই তাঁয় ররুন শয়ন ॥ কিন্তু সবে সাবধানে রাখিবে তাহায় । দেখ যেন প্রহরীর নিদ্রা নাহি যায় ॥ হর্মোযাপরে নিদ্রাগ্তত হইলে কুমার । শুরেছুর পাঠ রুরো্যে দিবে ফুৎ্কার ॥ তোমরা সকলে তথ সন্তেবে রহিবে | তাহা হল্যে এই গুহ উজ্জ্বল থাকিবে ॥ দাসী গণ বলে বাক্য অতি অকপটে । আমর প্রার্থনা করি ঈশ্বর নিকটে ॥ সর্ববদ! কুমার যেন থাকেন মঙ্গলে । তাহা হল্যে সুখে থাক্কি আমর! সকলে ॥
মল্নবি । ৩5
রাজার আদেশ লয়্যে কিরে এস্যে পরে । পাতিল শয়ন শষ্য! ছাঁতের উপরে ॥ পুর্বে যাহা বল্যেছেন ঘত বিজ্ঞ গণ । দ্বাদশ বৎসরে হবে অশুভ ঘটন ॥ গত না হুইয়। সেই দ্বাদশ বৎসর । ঈশ্বর ইচ্ছায় ছিল শেষের বাসর ॥ ভ্রান্তি ক্রমে হয়েছিল জ্ঞান এ প্রকার । গত হইয়াছে দিন ভয় নাই আর ॥ পণ্ডিতের কথ। সভ্য চির কাল আছে। বিজ্ঞের বিজ্ঞতা যায় অদৃষ্টের কাছে। নিজ নিজ সুখে সবে করে অধিষ্ঠান । সংসারের ভাল মন্দ নাহি হলো! জ্ঞান ॥ থাকিবে সুখের দিন ভাবিল কেবল। রুঝিতেও পারিল না সংসাঁর-কৌশল । সংসারের নৰ নব তার অপবপ। ক্ষণে ক্ষণে ধরে বপ এই রহৰপ ॥ কাহাকে এমন স্থথ দিয়েছে সংসার । যাহার পশ্চাতে নাই দুঃখের সঞ্চার ॥ সংসারের ছলে তুমি হৈও না বিস্ময় |. ক্ণমধ্যে সুখতোগ ক্ষণে ছুঃখ হয় ॥
ছ্
৬২ মীর হসন্ ক্কত
রীজপুল্র অক্টালিকার উপরে শয়ন করিলে এক পরী স্তাহাকে উড়াইয়। লইয়া যায়, তাহার প্রসঙ্গ ।
সতর্ক হইয়া সাঁকি উঠ হে ষত্বরে । নিশাকর চারি দিকে চারু শোভা করে ॥ বেলয়ারি পাত্র আন মদ্যে পুর্ণ করি । যে হেতু এস্যেছে চন্দ্র মস্তক উপরি ॥ কোথায় যুবত্ব আর কোথা এ বয়স্। সাক্ষী তার জ্যোৎস্সা রয় ছু চারি দিবস ॥ মদ্য দিতে কালব্যাজ কর বদি আর । তবে জেন্যে। পুনর্ববার হবে অন্ধকার ॥ --সেই যে পধ্যঙ্ক ছিল সুবর্ণ জড়িত । হুপুরুব সুয়ে যায় হইত গর্ব্বিত ॥ শব্নম্ কাপড়ের নির্মীল চাদর । সুন্দর পাঁতিত ছিল তাঁহার উপর ॥ সে চাদর এ প্রকার ছিল পরিক্ষার । জ্যোঁৎস্সা যেন আবরণ হয়্যেছিল তার ॥ উপাঁধান ছিল তায় অত্যন্ত'কোমল । সাহা দেখ্যে লঙ্জা যুক্ত হয় মখ্মল্॥
পে নে
মসনবি। তাহার স্ন্দর শোভা কেহ নাহি পায়। বাহাকে দেখিব। মাত্র নয়ন জুড়ায় ॥ জরী দিয়ে বঁ(ধ! ছিল শ্ব্যা সমুদয় । মনোহর খোপা তাঁর বহু রত্ব ময় ॥ জরী যুক্ত আবরণে শোভিত এমন । করিত তাহার হিংসা নির্মল দর্পণ ॥ গালের বালিশ তাঁর ছিল চমত্কার । বিধি মতে ছিল তায় শোভার ব্যাপার ॥ যখন হইত তার নিদ্রা আকর্ষণ । সে বালিশে গাল দিয়ে হইত শয়ন ॥ বিৰপ না হৈত কিছু তার আচ্ছাদনে । দেখিলে বলিতে শশী রয়্যেছে বদনে ॥ হয়েছিল কুমারের নিদ্র। উপস্থিত । শয্যায় শয়ন মাত্র হল্যেন নিদ্রিত ॥ এই ৰপে বেনজির হল্যে নিদ্রাগত | শশাঙ্ক রহিল যেন প্রহরীর মত ॥ উহার শয়নে শশী আসক্ত হইয়!। ঠিক যেন তীর প্রতি রহিল চাহিয়। ॥ বেষউটন করিয়। হর্্ম চন্দ্র শোভা পায় । তাহাতে দ্বিগুণ শৌভ। হইল তথায় ॥
২ছ
৬৪ মীর হসন্ কৃত
পুষ্পের সুগন্ধ তায় খাট পরিক্ষার । যুবত্ব কালের নিদ্রা কি বলিৰ আর ॥ প্রহরীর কর্মে ছিল প্রহরীর যত । বায়ু যোগে সকলেই হলো! নিদ্রাগত ॥ ফলে নিদ্রাগত তথা হল্যে! সর্ব জন। কেবল শশাঙ্ক একা করে জাগরণ ॥ সেই দিকে এক পরী করোযেছিল গতি । পড়িল তাঁহার দৃষ্টি কুমারের প্রতি ॥ কুমারের দেহ কান্তি করি দরশন। প্রেমীগ্সিতে তাঁর দেহ হইল দাহন ॥ বৰপ দেখ্যে প্রেমাসক্ত হল্যো তার মন। শ্বন্য হৈতে নামাইল নিজ সিংহাসন ॥ সে চন্দ্রবদন হৈতে চাদর খুলিয়া । চুন করিল মুখ গালে গাল দিয়া ॥ যদিও হইল তার অপর মনন ।
লজ্জা! তারে নিবারণ করিল তখন ॥ পরম মদে মত্ত হয়্যে ভাবিল অন্তরে ৷ খাট শুদ্ধ এই জনে লয়্যে যাই ঘরে ॥ প্রেম করিবার ইচ্ছা হল্যে তর মনে । তাঁহাকে লইয়! সুখে উড়িল গগণে ॥
.আস্নবি। ৬৫
গণণেতে নীত হল্যে রাজার নন্দন। "অতি অপৰূপ শোভা হইল তখন ॥ . অগ্নির শিখার. তুল্য তার কলেরব। তারা অপেক্ষায় হল্যে। দ্বিগুণ সুন্দর ॥ ক্ষণকাল মধ্যে পরী উড্ভিয়া গগণে । পরেম্তানে লয়ে গেল রাজার নন্দনে ॥ স্পশিও (8০8-৮ রাজপুত্র অদৃশ্য হওয়ায় তাহার শোকে তাহার পিতা মাতার দুঃখের কথা । অহে স।কি মদ্য দাও হয়্যে তরান্বিত । এ সংবাদ শুনে মন হযেছে দুঃখিত ॥ ন্গণে ভাল ক্ষণে মন্দ সংসারের গতি । ্ষণে সুখী ক্ষণে ছুঃখি হয় তাই মতি । এই স্থানে এই কথা করি সমাপন । কিঞ্চিৎ আবণ কর শোকের বর্ণন ॥ কুমারের বিরহেতে যাহারা কাতর । কি ৰূপ দুঃখিত হল্যো তাদের অন্তর ॥ কত শোক কত তাপ হল্যে! উপস্থিত । ক্রমে ক্রমে সে সকল হইবে লিখিত &. ৬ ছু.
৬৬ মীর হলন্ কৃত
তথাকার এক দ্বাসী নিদ্রা ত্যজি পরে। দেখে রাঁজপুজ্র নাই ছাতের উপরে ॥ নাই সেই খাট আর নাই কপবান্।
নাই সেই পুখ্প আর নাই সেই ভ্ত্রাণ ॥
এ প্রকার দেখ্যে পরে হইয়া কাতর । বলে এ কি হল্যো হায় পরম ঈশ্বর ॥ কোন দাসী এ প্রকার করো দরশন। করিতে লাগিল শোকে অত্যন্ত রোদন ॥ এমন দুঃখিত কেহ হল্যে। ভাবনায় । আপনার প্র।ণ যেন হারালো তথায় ॥ বিলাপ করিয়া কেহ ভ্রমিয়া বেড়ায় । নিস্তেজ হইয়। কেহ পড়িল ধরায় ॥ মনো দুঃখে থাকে কেহ শিরে হাত দিয়! | কেহ ঝা চিত্রের ন্যায় রহিল বসিয়া ॥ গালে হাত দিয়ে কেহ থাকে ছুঃখ মনে । দাড়ায় রহিল কেহ স্ুস্থির নয়নে ॥ দস্তেতে অন্ুলি কাটি কেহ করে খেদ। কেহ বলে এই ঘর হইল উচ্ছেদ ।
কেনহু নিজ কেশ খুলি হইয়' দুঃখিত ! করাধাতে নিজ গাল করিল লোহিত ॥
মস্নবি। ৬৭
অপর উপায় আর ন দেখিয়ে পরে। বৃতীত্ত বলিল গিয়ে রাজার গোচরে ॥ মহীপাল এ সংবাদ করিয়া শ্রব্ণ।
হা পুত্র ! বলিয়া ভূমে পড়েন তখন ॥ পুস্পের কলির ন্যায় বিকনসিত মুখে । জননী হৃদয় ধরি রহিলেন দুখে ॥ অদৃশ্য হওয়ার গোল হইল যখন। একত্র হইল তথা ভৃত্য যত জন। মহীপাল বলিলেন এ বপ ৰচন। এক্ষণে আমার কথা শুন ভূত্যগণ ॥ বে স্থান হইতে গেছে আমার সন্তান । আমাকে দেখায়্যে দাও শীঘ্র সেই স্থান ॥ এ কথা বলিলে পর যতেক কিন্কুরে। মহীপালে ন্রয্র্যে গেল হন্ম্যের উপরে ॥ দেখাইয়! সেই স্থান বলে তার পর। এই স্থুনে নিদ্রাগত ছিলেন সুন্দর ॥ যেস্থান হইতে তিনি করেন প্রস্থান । দেখ দেখ মহীপাল সেই এই স্থান ॥ 'মহীপতি বলিলেন*বিলাপ ৰচন।
এ স্থান হইতে তুমি গেছ হে নন্দন ॥
৬৮ মীর হন কৃত
ভুমি যুবা আমি বৃদ্ধ ধাইব কোথায় । দেখিলে না বেনজির এখন আমায় ॥ দারুণ শোকের নদে ভুবাঁল্যে এখন । ফলত আমার প্রাণ করিলে হরণ ॥
সে শোকের আমি আর.কি করি ৰণন। বাড়িতে লাগিল ক্রমে বিলাপ ক্রন্দন ॥ ছাতে নিয়ে এত লোক উঠিল সত্বরে । বোঁধ হল্যো। ভূমি যেন উঠেছে উপরে ॥ সেনিশীতে হল্যে সবে শোকের অধীন । সেই নিশী নিশী নয় প্রলয়ের দিন ॥ রজনী প্রভাত হল্যে যাবতীয় নরে। উড়াঁতে লাগিল ধুল। মস্তক উপরে ॥ নগরেতে কলরব উঠ্ভিল এমন।
অদৃশ্য হয়্যেছে অদ্য রাজার ননান ॥ . শোকে পরিপুর্ণ হল্যো সকলের প্রাণ। হইল শোকের বাটা সমস্ত উদ্যান ॥ উদ্য।ন হইতে তিনি করিলে গমন | শোভা শুন্য দৃশ্য হল্যো। যত পুশ্পগণ ॥ ভুলে গেল ঝাউগাছ নিজ ব্যবস্কীর। পুর্ব্বের মতন শোত। ন। করে প্রচার ॥
মস্ন্বি | ৬৯
যাবতীয় কুম্রী পাখী ছুঃখিত অন্তরে | নিক্ষেপ করিল ধুলি মস্তক উপরে ॥ তখন তাদের রব যে করে শ্রবণ।
তার মন কু কুরবে হয় জ্বালাতন ॥ পীতবণ হয়্যে শুষ্ক হল্যে বৃক্ষ যত । ফল পত্র শুক্ক হয়্যে হল্যো ভূমিগত ॥ বুল্রুলী সকল তথ! মৌন হয়োযে রয়। ভুঃখেতে বিদীর্ণ হল্যো পুষ্পের হৃদয় । পুষ্পের কলিকা সব হাস্য ভুলে গিয়া । শোকের শোঁণিত পানে রহিল ফুলিয়। ॥ হউজের ধারে উড়ে ধুলি সমুদয় আশরফি কুল যত পীতবর্ণ হয় ॥ নয়নের জ্যোতি হীন হইল নরগেস্ | শেশকের রজনী হল্যে৷ সন্বুলের কেশ ॥ লালার হৃদয়ে যেন জ্বলে হুতাশন | সুখের পিয়াঁল। তায় করিল ক্ষেপন ॥ অতিশয় শোক যুক্ত হল্যো উপবন। শৌকেতে ব্যাকুল হল্যো৷ যত রৃক্ষগণ ॥ আঙ্গুর পড়িল শোক হয়্যে অচেতন । ছায়। যেন কুষ্বন্্র-করিল ধারণ ॥
৭০ মীর হসন্ কৃত
পরস্পর ছুলে ছুলে বৃক্ষপত্র গণ ।
. খেদে যেন করতল করিছে মর্দন ॥ স্কানে স্থানে ছিল যত জলের লহর। জলপ্ুর্ণ নেত্রে ষেন হইল কাতির ॥ শোকেতে কাতর তার ফোয়ান্না সকল। তাহা হৈতে বহির্গত নাহি হয় জল ॥ শে।কেতে ঝর্ণার ভাব হল্যে। এ প্রকার । জল যেন কৃষ্ণবর্ণ বস্ত্র হল্যে৷ তার ॥ কোথায় রহিল তার কুপ সমুদয় জলের সুন্দর ঘাট রহিল কোথায় ॥ ভ্রন্দন করিছে কেহ নিজ মনে মনে । চিত্কার করিয়। কেহ কাদে ন্ণে ক্ষণে ॥ নাই সেই কর্করা বক নাই আর। তৃণ আর জলঙ্ঞণী নহে চমৎকার ॥ ময়ূর নাচিত ঘথ। প্রাচীর উপরে ! সেই স্থানে কাক সব বস্যে শব্দ করে ॥ পুর্বে ষে সকল ছায়। ছিল মনোনীত । এক্ষণে তাহাতে মন না হয় মোহিত ॥ বিচিত্র চিত্রিত হন্দ্য ছিল যেসকল । রক্ত অশ্রপাত ঘেন করিছে কেবল ॥
মস্নবি | ৭১
পুষ্পের মতন ছিল প্রফুল্লিত মন। ছুঃখেতে কাতর তারা হইল এখন ॥
না রহিল পুষ্প কঙ্গিআর উপবন। বিরহ কন্টকে শুদ্ধ বৃদ্ধ হল্যো মন । তদন্তর দেখিলেনন্সন্ত্রী সমুদয় |
নৃপতির ছুরবস্থা হল্যে! অতিশয় ॥ মহীপালে বুঝা ইয়া বলিলেন পরে । তোমার চন্দ্রকে তুমি দেখিবে সত্বরে ॥ যদিও অসহা বটে বিরহ তাহার ।
ঈশ্বর ঈপ্সিত কর্ধে নাই প্রতীকার ॥ এক তারে.চির দিন না হয় অতীত | কেহই মরে না দেখ মৃতের সহিত ॥
এ ৰূপ কাতর হওয়া উচিত না হয়। ভাগ্য বলে শীন্্র ভুমি পাবে সে তনয় ॥ ঈশ্বর জানেন এতে আছে কি কারণ। লোকে বলে আঁশ! থাকে থাকিলে জীবন ॥ ঈশ্বর যে কর্যেছেন এ ৰপ ব্যাপার ।
না জানি কি তাৰ আছে তিতরে ইহার ॥ অপার মহিমাবান্ পরম ঈশ্বর ।
কিছু অসম্তব নয় তাহার গোচর॥
৭২ মীর হসন্ কত
এক ভাবে নাহি থাকে ভবে কোন নর । এক ভাবে এক মাত্র থাকেন ঈশ্বর & এইবপ বুঝাইয়া যত মন্ত্রীগন্ধণ | হৃপতিকে বসাইল রাজ-সিংহাসনে ॥ বুঝাইয়া পরস্পরে বিবিধ বচন” একত্রে থাকিয়। করে সময় যাপন ॥ অতিশয় ধন ব্যয় করি বার বার । না পেলেন মহীপাল ভার সমাচার ॥ --হে সাকি আমাকে তুমি করো মদ্য দাঁন। পথদশী হয়্যে কর তাহার সন্ধান ॥ এখানেতে সে পুষ্পের না পাইয়া ভ্রু(ণ। এই ক্ষণে পরেন্তানে করিব সন্ধান ॥ স্ঠ৩1৩৮ বেনজিরকে পরেস্তানে লইয়। যাওয়ার বণন।
তাহাকে লইয়। পরী আকাশে উড়িয়া । পরে তাকে নামাইল পরেস্তানে গিয়া ॥ সে খানেতে ছিল তার ভ্রমণের"“বন । যাহার পুষ্পের ভ্রাণে হর্ষ হয় মন ॥
'মন্নবি | ৭
সেই স্থানে ছিল পুষ্প অনেক প্রকার । সমুদয় ছিল-তার যাছুর ব্বাপার ॥ বাছুর শ্িশ্মিত ছিল ভিত আর দ্বার অষ্রালিকা ছিল সব স্ৃতন প্ররার ॥ 'স্বর্ণে চিত্রিত চিত্র“জালী সমুদয়। কি আশ্চর্য তরু তায় রৌদ্র নাহি হয় ॥ অগ্নিতয় নাই আর নাই জলভয়। গ্রীষ্মভয় শীততয় তাতে নাহি হয় ॥ বন্ছ সঙ্থ্য বাটা ছিল কলের নির্মিত । পৃথক পুথক্ কিন্ত এরত্রে স্থাপিক্ত ॥ যাকে যথা লর্ব্যে যেতে হৈত তার মন | সেই স্থানে তাহ। লয়্যে করিত স্থাপন ॥ যে ৰূপ দপের টাটি হয় মলোহরু।
সে ৰূপ উজ্জ্রল ছিল হর্দেযের উপর ॥ রত্বেতে চিত্রিত ছিল ভূমি সমুদায়। শুন্যে থেক্যে পুপ্পৰন শ্ুন্যে শোভা পায়। যে দ্রব্যের আবশ্যক হইত যখন। তাকের উপরে তাহ। দেখিত ছ্কখন & মুক্তাদি নির্টিত ষত্পশ্ড পক্ষী গণে দরে দুরে শ্বোভা করো ভরমিত প্রাঙ্জনে ॥
জ
; মীর হসন্ কৃত
দিবসেতে পশু হককে ভ্রমে আরা সব । নিশীতে করিত কর্ম হইয়া মানর ॥ আলয়ের চারি দিক মাণিক্যে মণ্তিত। দীপ হয়্যে রাত্রে তার হৈত প্রস্বলিত ॥ রুক্ষ যোগে সেই স্থান হেন আচ্ছাদন । জালের সমান যেন ছিল রূক্ষ গণ কন্ুম কুন্থুমকলি হেন শৌভ। পায় । অন্তুমানে ভূল্য তাঁর নাহি দেখা বায় ॥ কোথাও ঘড়ীর শব্দ হৈতেছে আপনি। কোন স্থানে করভাঁলি নর্তনের ধনি ॥ সে স্থানেতে ছিল বটে কুঠরী বিস্তর | তাহাদের দ্বার মুক্ত করো দিলে পর ॥ সমস্ত পৃথিবী মধ্যে বাদ্য আছে যত। তাহা হৈতে ভার শব্ধ হইত সদত ॥ এক বারে যদি তার দ্বার বঞ্ধ করে। র্গন্থু যন্ত্রের তুল্য বু রাগ ধরে॥ মখ্মলের শষ্য যুক্ত সমস্ত আলয়। চিত্রকর্্মে শোভ& পায় শয্যা হযুদয় ॥ যবনিক। চিক সন্ত ঘাছুর ঝাঁপার । ছা মন্ডে উঠে পাড়ে কিবা শোভা তার ॥
মস্নৰি ।
বপবতী সহচরী যত পরীগণ | সে পরীর সঙ্গে সবে করিত ভ্রমণ ॥ . লহরের ধারে ছিল টাদনি এমন 1 রত্বের সমান জ্যোতি অতি স্গশোৌভন ॥ সেই পরী সেই গৃহে যাইয়া স্বরায়। রাজকুমারের খাট লামায় তথায় ॥ তাহার সুন্দর ৰূপে সে গৃহের ৰপ। হুইল উজ্জ্বল কিবা অভি অপদ্ধপ ॥ হঠাৎ তাহার নিদ্রা ভঙ্গ হলে পর। দেখিতে না পাইলেন আপন নগর ॥ নিজ লোক নিজ বাটা তথা ন। দেখিয়া । বিন্ময় হইয়। তিনি রহেন চাহিয়া ॥ বিচিত্র ঘটনা এই দেখিয়া তথায় ।. বলিলেন ছে ঈশ্বর এলাম কোথায় ॥ বালক স্বভাবে কিছু হইলেন ভীত । কিছু চিন্তা কিছু ধৈধ্য হল্যো। উপস্থিত ॥ দেখেন মধ্থার দিকে বৃহিয়াছে পরী । পুর্ণিমার চন্দ্র তুল্য অত্যন্ত সুন্দরী ॥ বলিলেন তুমি কেব। কার এ ভবন | কে আমাকে এখানেতে আনিল এখন ॥ ২জ
৫.
৭৬ মীর হসন্ কৃত
সুখ কিরা ইয়া লয়্যে দির অভব্বণ । হাস্য কর্যে বলে পরী এ ৰপ বচন ॥ তুমি কেবা আমি কেবা জানেন ঈশ্বর । আশ্চর্য হয়্যেছি আমি কি দিব উত্তর ॥ কিন্ত হে অতিথি তুমি আমার ভবনে । ঈশ্বরের ইচ্ছা মতে এস্যেছ এক্ষণে ॥ যদিও আমার ঘর তোমার এ নয় । এক্ষণে তোমার ইছ। জানিবে নিশ্চয় ॥ তব প্রেমে পাগলিনী করেছে আমারে। হরোযেছে তোমার চিস্তা হ্দয় মাঝারে ॥ সেই হেতু তব দেশ হইতে হেথায়। এই অপরাধী দাসী এন্যেছে তোমায় ॥ আমি হই পরী জাতি এই পরেস্তান | এই স্থাঁনে পরী সব করে অবস্থান ॥ কোথায় মনুষ্য জাতি কোথা পরীগণ্। অত্যন্ত কঠিন এই উত্তয়ে মিলন ॥ -আহ্লাছিতা হল্যে। পরী প্লুমার চিন্তিত হায় একি অন্ুপায় হল্যে। উপস্থিত ॥ কঞ% এমন রীতি এ সংসারে হয় । ই আসক্তার বশীভূত রয় ॥
মস্নৰি । ৭
অগত্যা তথায় বাস হইল তাঁহার । পরী যাহা বল্যে তাই করেন স্বীকার ॥ - কিন্ত তার বুদ্ধি জ্ঞান সব হল্যে। হত। উঁদাস্যেতে থাকিলেন বন্য পশু মত ॥ বাম্পজলে পরিপুর্ণ কখন নয়ন। হায় বল্যে শ্বাস ত্যাগ করেন কখন ॥ আপন বাটার শোভ। আর পরিহাস । সর্বদা তাহার মনে হইত প্রকাশ ॥ মাতার পিতার স্নেহ করিয়। স্মরণ ৷ রাত্রি যোগে করিতেন এ ৰূপ রোদন ॥ অতিশর খেদ যুক্ত নয়নের জলে। নদী যেন প্রবাহিত হইত ভূতলে ॥ কখন একাকী থেক্যে হয়ে ভীত মতি । মন্ত্র পড়্যে ফুঁ দিতেন আপনার গতি ॥ নিজ সুখভোগ মনে হইত যখন। স্ণে ক্ষণে করিতেন গোপনে রোদন ॥ শয়নেতে থাকিতেন কৃর্যে সদা ছল। কেহ না থাকিলে হৈত ভ্রন্দন কেবল ॥ ' এ ৰূপ কাতর তিনি ছিলেন অন্তরে । পক্ষী.যথা জালে. পড়্যে ছট্ফট্ করে॥' ৩জ
৭৮. সীর হসন্ কৃত
মীহরোখ্ নামে খ্যাত ছিল সেই পরী । পিতার অজ্ঞাঁতে ইহ। করে সে সুন্দরী ॥ কখন থাকিত ঘরে কখন তথায় । যেহেতু সে সব কথা৷ প্রকাশ ন। পায় ॥ পরী মধ্যে সে পরীর বুদ্ধি অতিশয় । এন্যে দিত নব নব দ্রব্য সমুদয় ॥ পরেস্তানে ছিল যত দ্রব্য অসম্ভব । প্রতি রাত্রে এস্যে তারে দেখাইত সৰ ॥ নব নব খাদ্য দ্রব্য নানা জাতি ফল । সুখের সামগ্রী তথ প্রস্তত সকল ॥ প্রতি দিন পরিধেয় নুতন বসন । কুমারের তোষামোদে করিত বতন ॥& তাহার ভুঃখিত চিত্ত করিতে মোহিত । করিত রহস্য আর শ্ুনাইত গীত ॥ মদের বোতল আর চাট মনোহর । সেই স্থানে তোল। ছিল তাকের উপর ॥ মাদক রোচক দ্রব্য ছিল এ প্রকার । সংসার ভিতরে নাই সদৃশ তাহার ॥ মদিদ্ধা, ভর্তি মাংস, ছিল সময় | নিকটে প্রিক্সী তায় বসন্ত সময় ॥
মস্নবি। ৭৯)
একেত যুবত্ব কাল তাহাতে মত্ততা। আলিঙ্ন প্রেমীল।প প্রিয়ার মমতা ।
সে স্থানেতে চিন্তা কিছু নাহি ছিল আর। আত্মীয় বিচ্ছেদ মাত্র দুঃখ ছিল ভার এ চিন্তার মৃত প্রায় হত অবস্থান। করিতেন শ্বাস ত্যাগ শিখার সমান ॥ পরী যে তাহার প্রতি আসক্তা হইয়া । তারে চুরি করো এন্যে ছিল ষে বসিয়া ॥ কিন্তু পরী বুদ্ধিমতী ছিল অতিশয় । উহার দুংখেতে হৈল দুঃখিত হৃদয় ॥ বলিল সে বেনজির কর ছে শ্রবণ । আমার কাদেতে ভুমি পড়্যেছ এখন ॥ এই এক কর্ম তুমি কর সম্পাদন । প্রত্যহ প্রহর কাল কর হে ভ্রমণ ॥ মনের মানস রোধ কর্যো না কখন। দেখ্যো যেন প্রাণ নাহি হয় জ্বালাতন ॥ সন্ধ্যা হল্যে যাই আমি পিতৃ সন্গিধানে। একাকী উদ্দাস্যে তুমি থাক হে এখানে ॥ কলের ঘোটক এই দিতেছি এখন।
কিন্তু তুমি অঙ্গীকার কর হে এমন 1
৮০ মীর হসন্. কত
নগর ভ্রমণে তুমি করিয়ে গমন | কারে সঙ্গে কর ঘছি প্রণর স্থাপন ॥ তাহা হল্যে দোষীদের যেই দণ্ড হয়। অহ্ছে শ্রিয় সেই দণ্ড পাইবে নিশ্চয় ॥&. বেনজির বলিলেন এ বষপ বচন । তোমাতে ভুলিৰ আমি কিসের কারণ & প্রিয়জ্গি আমারে তুমি বলিলে ছে যাহ । অবশ্য স্বীকার অমি করিলাম তাহ & মাহরোখ্ পরী পরে বলিল তখন । অহে প্তিয় তব ভাগ্য প্রসন্ন এমন ॥ এই যে দিলাম আমি ঘোটক উত্তম । শুন্যে যায় সৌলেমানী-সিংহাঁসন সম ॥& এপ করিবে কল নামিবে ষখন। উঠিবার কালে কল করিবে এমন ॥ ভূমি হৈতে শ্ুন্যে শুন্য যথা তৰ মন। সেই স্থানে সুখে তুমি করিও গমন ॥ এ কলের ঘোটকের প্রশংসা! 1 কি আর করিব আমি অশ্বের বর্ণন |
মস্নবি। ৮১
পক্ষীরাও গুন্যে যেত্যে পারে না তেমন ॥ কিঞিৎ টিপিলে কল শুন্যে শুন্যে ধায় । বল যদি ইহাকেই অশ্ব বল! যায় ॥ আহার ন। করে আর শয়নে ন। রয়। পদাঘাত নাহি করে রোগী নাহি হয় ॥ হশ্রি নয় কম্রি নয় নহে শব্কোর | সাঁপেন্ নাগেন্ নয় নহে সুখজোর ॥ সেতার গ্লেশীনি নয় নাই ভৌরিতয় । অন্য কোন রোগ তার ছিল না নিশ্চয় ॥ খণ্ড নয় স্বভ[বত সুন্দর আকার । সহজেই কোন দোষ ছিল না তাহার ॥ পরীর প্রদত্ত অশ্ব বহু গুণ ধাম। কফলকৃশয়ের অশ্ব ছিল তার নাম ॥ সন্ধ্যা কালে বেনজির হয়ে সম্তোধিত । সেই অশ্ব আরোহণে হইয়া শোভিত ॥ পরীর আদেশ মত প্রহর সময় । ভ্রমিতেন প্রাতি দিন চারি দিকৃ ময় ॥৪ প্রত্যাগত হইতেন বাজিলে প্রহর । নতুবা হইত পরীকুপিত অন্তর ॥ সরি
৮২ মীর হসন্ কৃত
বদ্রেমুনিকের উদ্যানে বেনজিরের গম এবং বদরেযুনির ভাহার শ্রতি আসক্ত হয়ঃ ভাহার প্রসঙ্গ ৷
কোথা তুমি আছ সাঁকি এস হে সত্বর । তব জন্য বস্যে বস্যে হয়্যেছি কাতর ॥
' উত্তম মদির! পান করাও আমায় ॥ নতুবা আমার বুদ্ধি লোপ হয়্য যায় ॥, মানস অশ্বের ভুমি কর পক্ষ দান। সেআমাকে শুন্যে লয়ে করুক প্রস্থান ॥ --এক দিবসের কথা কর হে শ্রবণ । এক রাত্রে বেনজির করেন ভ্রমণ ॥ হঠাৎ গেলেন তিনি কোন এক স্থান 1 দেখিতে পেলেন এক উত্তম উদ্যান ॥ হর্ম্য এক দেখিলেন প্রসন্ত নিম্মীল | জ্যোৎন্া! হৈতে ছিল তাহ দ্বিগুণ উজ্জল ॥ জ্যোৎন্সার সুন্দর কান্তি চতুর্দিক ময়। সুশ্শীতল বায়ু বহে শীতল সময় ॥ এ প্রকার শোভ ভিনি করো দয়শন । অট্রালিক। উপরেতে এলেন তখন ॥
মস্নবি | ৮৩
এই তেবোছ্জচারি দিকে করেন ঈক্ষণ ! দেখি হেথ। আছে কি না অন্য কোন জন & দেখিলেন এ একার বিচিন্ব ব্যাপার ।
দুর হয়ে গেল তার মনের বিকার । আপন মনের প্রাতি বলিলেন পরে ।
যাহা! হৌক তাহা! হৌক তোমার উপরে । কিঞ্চিৎ অগ্রেতে তুমি করিয়া গমন । বিচিত্র ব্যাপার এই কর দরশন ॥
এই বল্যে নিজ ছায়! করিয়। গোপন । ধীরে ধীরে করিলেন নিশ্বে আগমন ॥ ধীরে ধীরে সে স্থানের কপাট খুলিয়া । চলিলেন পাদপের অন্তরাল দিয় ॥
এ প্রকার ঘন ঘন ছিল বৃক্ষ গণ।
প্রিয়া সঙ্গে প্রিয় যথা করে আলিঙ্গন ॥ গোপনে গোপনে করি নয়ন বিস্তার । দেখেন সকল শোভা অতি চমত্কার ॥ আশ্চর্য্য ব্যাপার সব দেখেন তথায় | বিচিত্র চন্দ্রের কর চারু শোভা পায় ॥ যতেক রমণী সক সুন্দর আকার । মুনোহর অউ্রীলিকা। অতি পরিষ্কার ॥
৮৪ মীর হন্ কৃত
রমণীগণের ৰপ করো দরশন |
এক রারে বিমোহিত হল্যো তার মন ॥ স্বজাতির ম্ত্রান তথা প্রাপ্ত হয়ে পরে। দর্শন করেন তিনি আশ্চধ্য অন্তরে ॥ এমন উজ্ভুল ছিল চন্দ্রের কিরণ ।
দরশন কালে হয় চঞ্চল নয়ন ॥
শুভ্রবর্ণ অট্রালিক। সহজে সুন্দর |
দর্শন করিলে হয় পরফুল অন্তর ॥ তামামী-বস্ত্রের শযা। পাতিত ধরাতে | তাহার নুন্দর জ্যোতি ব্যাপিয়াছে ছাতে ॥ এ ৰূপ হইত জ্ঞান হলো দৃষ্টিপ্রাত। রৌপ্য ময় ভূমি যেন স্বর্ণ ময় ছাঁত ॥ বেলোর খণ্ডেতে চাপা শষ্যা সমুদায়। তাহার স্থন্দ্র বর্ণে শধ্যা শোভা পায় & দুষিপাঁত করিলেন গৃহের তিতর | চন্দ্রমুখি নারী হল্যে। দৃষ্টির গোঁচর ॥ অতিশয় মনোহর ছিল সে আলয় । দূর্পণে গঠিত যেন এই জ্বান হয় ॥
সে শেভ! দেখিলে পর বূলে বিজ্ঞ নরে। পরীকে ব্রেগধ্যছে যেন দর্পণ ভিতরে ॥
মস্নবি | ৮৫
অনেক আলোক ছিল চারি দিক ময় । রুহ দর্পণ যুক্ত ছিল সে অলয়॥ জরী যুক্ত ছিল তথা। বৃক্ষ অগ্রণন | ভুমি যেন রাজটুপী কর্যেছে ধারণ ॥ বায়ুর পক্ষেতে ষেই পাদপ সকলে । রাঁজ-পিংহাঁসন তুল্য ছিল সেই স্থলে ॥ জলে পরিপুর্ণ ছিল লহরী সকল। পড়্যেছে চন্দ্রের জ্যোতি কাপিতেছে জল ॥ দেখিলে তাহার তীর হয় এই জ্ঞান । বেলোর নির্মিত যেন এ সকল স্থান ॥ ফোয়ারার জল তায় পড়ে বার বার । বাঁযু যোগে রত্রহ্ল্য জলবিক্ডু তার ॥ খণ্ড খণ্ড জরী সব অতি শোৌভ1 পায় । চন্দ্র যেন খণ্ড খণ্ড হয়েছে তথায় ॥ ছোট বড় লে'ক যত ছিল সেই স্থলে । খণ্ড খণ্ড জরী সব লইয়া অঞ্চলে ॥ উদ্ধে সে জরীর খণ্ড ক্ষেপ কর্যে তার! | সন্তোঁবে উড়ায় যেন চন্দ্র আর তারা ॥ এত চক্র এত তার! পড়্যে ছিল তায় । ভূমি যেন হয়্যেছিল আকাশের ন্যায় ॥ ঝ
৬ মীর হুসন্ কৃত
বাঝু যোগে জরী সব ঝল্মল্ করে 1- 'খদ্যেত কীটের ন্যায় চারু শোভ' ধরে ॥ তাহার সুন্দর শোভা এ কপ চিন্ধণ। জ্যেৎ্সস।কে করিছে যেন চরণে মর্দন ॥ অন্য অন্য দ্রব্য যোগ না! হইলে পরে । শুদ্ধ কি চন্দ্রের জ্যোতি হেন শোভা ধরে ॥ স্বর্ণ মর হল্যো যেন সমস্ত ভূতল। অফকশি পধ্যন্ত হল্যো অত্যন্ত উজ্জ্বল । শরিধান পরিপাটি জরীর বসন ।
ক্গদ্দরী কামিনী সব করিছে ভ্রমণ ॥ তাঁহাদের সেকপের জ্যোতি অতিশয় । তাহ দেখ্যে চন্দ্র সুর্ধ্য মুর্াগত হয় ॥ জরী যুক্ত চন্দ্রাতপ তথায় লম্বিত ।
সকল ঝালর তার রত্বেতে শোভিত ॥ হীরক জ:ডুত খুঁটি অতি চমৎকার ।
এক ছ'চে ঢালা সব সমান আকার ॥ রঝালরের্ শোভা আমি কি করি বর্ণন | চারি ধারে থাকে থা স্ুধ্ধ্যের কিরণ ॥ ধারেতে জরীর ডুরি শোতভে'এ প্রকার । চাঁরি দিকে আছে যেন কুন্ুমের হার ॥
মস্নবি | ৮৭
জরী যুক্ত শহ্যা তথা উজ্জ্বল এমন । ভার পদে পড়্যে যেন চন্দ্রের কিরণ ॥ শু প্রকার উপাধান ছিল সে শষ্যায়। পরিপুণ হয়্যে বেন রয়েছে শোভায়। বেলোরের পাত্র আর শ্রন্দর বোতল | তাহার উপ্রে থেকো শোভিছে বিমল ॥ সেসব সুন্দর শোভা করো দরশন । অমনি মোহিত হয় চক্ষু আর মন ॥ আলো ময় ছিল তথা ভূতল আকাশ । চারি দিকে হয়েছিল আলোক প্রকাশ ॥ দউদি পুষ্পেতে পুর্ণ ছিল পুষ্পবন | রজনীগন্ধের তরু অতি সজুশোভন ॥ এমনি উজ্জল ছিল চক্রের কিরণ । দ্বিগুণ উজ্জল তায় হৈত তারা গণ ॥ তথাকার ছায়। দেখ্যে হৈত এই জ্ঞান । শম্পী বাকুষ্যের কর যেন বিদ্যমান ॥ দৃক্িপাত করা বায় যেই দিক্ ময় । আলোক ব্যতিত কিছু দৃষ্টি নাহি হয় ॥ ৰকপের প্রশংসা নয়ে করিবে বাকার। সকলেই ঈশ্বরের মহিলা প্রচার ॥
বং
৮৮ “মীর হসন্ কৃত্ত
নিকট কি দুর ঘথ। কর দরশন। সর্ধবত্রেই সেই এক চন্দ্রের কিরণ ॥ এক মাত্র দেই বিভূ.আছেন সকলে । তার জ্যোতি প্রকাশিত আছে সর্ব স্থলে ॥ তাহা] ভিন্ন যে না করে অন্য দরশন। তাঁকে দেখিবার চক্ষু পায় সেই জন । বদরেষুনিরের প্রশংসা | সস [৩ মদের পিয়াঁল। সাকি আনিয়া সম্মৃথে। দেখাইয়া নিশাঁকরে দোল।ও হে সুখে ॥ যাঁহাকে দেখিলে হয় সন্তোধিত মন। চক্ষু করে দুরাঁদুর সব দরশন ॥ --বাঁটার কত্রীর পরে শুন বিবরণ | এক্ষণে করিৰ আমি তাহার বর্ণন ॥ অন্ুরীর বিবরণ হল্যে সমাপন । প্ররেতে করিতে হয় হীরক বর্ণন ॥ শয্যা এক পাত ছিল সুন্দর শোভন । শোভা বপ সরিতের তরঙ্গ যেমন ॥ পরে তিনি দেখিলেন “তাহার উপরে । নুন্দরী রমণী এক বস্যে শোভা করে ॥
মস্নবি | - ৮৯
পঞ্চদশ বর্ষ তার বয়সের মান। অতি ৰপবতী তাঁর না দেখি সমান ॥ আপন কুনগুই রাখি বালিশ উপরে । .লহরের ধারে থেক্যে অতি শৌভ' করে ॥ চারি দিকে দীড়াইয়া সহচরী গণ। তারা গণে করে যথা চন্দ্রকে বেষ্উন ॥ চন্দ্রের কিরণে করি মানস নিবেশ। বস্যে ছিল সে ৰপসী করিয়া জুবেশ ॥ গগণের উপরেভে বিরাজিত শশী । স্থৰপসী সেই শশী ভূমিতলে বসি ॥ সে ছুই চন্দ্রের ছায়া পড়িয়া লহরে। প্রত্যেক তরঙ্গে শশী বিলুষন করে ॥ এত চন্দ্র এক বারে হল্যো দরশন। পরম আশ্চধ্য যুক্ত হইল ভুবন । এমন তাহার ৰপ ছিল অনুপম | চন্দ্র যেন তার কাছে অত্যন্ত অধম ॥ নুতন উদ্যান একে শোঁত। অতিশর | তাহাতে তখন ছিল বসন্ত সময় ॥ তাহার বস্ত্রের কথা কি করি বর্ণন। আব্রয়ীর পেশ্ওয়।জ অতি সুশোভন ॥ ২৩ ঝি
৯০ মীর হসন্ কৃত
সমস্ত অঞ্চল তাঁর ছিল রত ময় । দেখিলে বলিতে যেন রত্ব সমুদয় ॥ উত্তরীয় বস্ত্র তার সমীরের ন্যায় । শিশির সে বক্র দেখ্যে মনে লজ্জা পায় ॥ পরিক্ষার জুচিক্ধণ অতি শোভা করি । মস্তক হইতে আছে ক্ন্ধের উপরি ॥ হীরকের ঘুশ্তি এক রয়্যছে গলায়। চন্দ্রের নিকটে যেন তারা শোৌভ। পায় ॥ সমুদর অঙ্গ তার স্বভাবে সুন্দর | কাঁচলি বন্ধন ছিল তাহার উপর ॥
রত্ব ময় কাঁচলির শোভ1 অতিশয় | * মনোহর কুরুতি তায় বহুরত্ব ময় ॥
প। জামার চারু ছবি দামন উপরে । বিছ্্যাতের ছট? ষেন দর্পণ ভিতরে ॥ পরিধান বস্ত্র তার ছিল এ গুকার। অতি মনোহর আর অতি পরিক্ষার ॥ নয়ন তাহীকে দেখ্যে করে এই ভয়। দৃষ্টি যোগে যদি ইহা মল যুক্ত হয় ॥ চন্দ্রের সমান তাঁর চারু কলেধর ।
নব রত্বু অলঙ্কার বাহুর উপর ॥
মস্নবি! ৯১
রত্ন যুক্ত কর্ণবাঁল৷ এমন উজ্জ্বল।
তাহ। দেখ্যে হিংস! করে চন্দ্রের মণ্ডল ॥ এমন মুক্ত।র মালা তাহার গলায় বিরহীর অশ্রুবিন্দ্ু যেন শোভ। পায়? প্রশস্ত নয়ন দ্বয় সুন্দর সদত।
চক্ষুর পাতার চুল ছিল উদ্ধগত ॥ কর্ণকুল কর্ণবাল! থাকিয়া শ্রবণে।
চারু শে[ভ। প্রকাশিয় দোলে ক্ষণে ক্ষণে ॥ মুক্তা ময় ছুই নরি মুক্তা ময় হার। অশ্রুবিন্দ্ু তুল্য শোভে অতি চমৎকার ॥ পঁঁচ নরি শাত নরি আদি অলঙ্কার । ধুফ্ধুকি অলঙ্কার গলে ছিল তার ॥ ট[পৃ্কলি ঝল্মল্ করে অতিশয়, ।
হীরক তাহাকে দেখ্যে ব্যাকুলিত হয় ॥ তর নীচে ধারে ধারে মুক্তা শোভে যত। গেলাব উপরে যেন শিশিরের মত ॥ জাইাগির ভূষণের কি করি বর্ণন। অতিশয় শোভ1 ময় ন। দেখি তেমন ॥ মিনাকারি হয়কল্*ভূষা মনোহর ।
কটি ছৈতে ছিল তার নিতম্ব উপর ॥
৯২ মীর হসন কৃত
শুদ্ধ রত্রময় ছিল পাজেব্ ভূষণ। পাইয়! তাহার পদ রত জুশোভন ॥ কার হস্তগত হবে. তেমন চরণ । যে চরণে পড়্যে আছে মুক্তা অগণন ॥ জিহ্বা যুক্ত হয় যদি দেহ সমুদয় । তরু তার সব কথা বর্ণন না হয় ॥ দেতহের ইক্ছ্রিয় সব স্বভাবে সুন্দর | আপন আপন কন্মে সকলে তৎপর ॥ সোঝা হল্যে যেই স্থান হয় শোভমান্। সহজেই ছিল তার সোঝা সেই স্থান ॥ বাকা হুল্যে শোভ। পায় ষে সকল স্থল সহজেই ছিল তাঁর বাঁক সে সকল ॥ এ প্রকার মনোহর ছিল তার মুখ । যাহকে দেখিলে হয় চন্দ্রের অঙ্ুখ ॥ তাহার সুন্দর মুর্তি নয়নে দেখিয়া । চিত্রপট আছে যেন অবাক হইয়। ॥ যে ৰপ স্থৰূপ চাই ছিল অবিকল । সেউতি পুম্পের মত শরীর কোমল ॥ সুধীর! কামিনী সেই সরল স্বভাব । কলে তার বিধি মতে ছিল নব ভাব ॥
মস্নবি। ৯৩
অপাঙ্গ বিস্তার করো সকল সময়। মানস হরিতে তার শক্তি অতিশয় ॥' লজ্জা! তঙ্গি নিলজ্জতা আর অহঙ্কার। সময়ানুসারে সব করিত প্রচার ॥ হাস্য দয়া অত্য চার বাক্য যথোচিত। সময়ে মময়ে তাহা হৈত প্রচারিত ॥ তাহার যুগল ভূর শোভার আকর। বক্র ভাবে শোভা পায় চক্ষুর উপর ॥ 'বিপদ্-কারক ছিল ভাহার নয়ন। দুটি যোগ মাত্রে হৈত আপদ্ ঘটন ॥ বেই দিকে দৃ্টিক্ষেপ করিত যখন । সেই দিকে অচেতন হৈত সর্ব জন। মুক্তা যুক্ত কর্ণ শোভা কর্যে দরশুন। মুক্তামর শুক্তি হয় সলজ্জিত মন ॥ নাসার তুলনা তাঁর নাহি যায় দেখা । ঈশ্বরের মহিমার যেন সোঝা রেখা ॥ অতি স্ুকোমল ছিল তার গণ্ডদেশ। তাহার কপের কথা কি কব বিশেষ ॥ কেহ যদি ইচ্ছা কর্বে করিতে চুম্বন । তাঁহীতে অমনি হয় লোহিত বরণ ॥
৫১৪ মীর হসন্ কৃত
সে দেহের ভাল মন্দ কিবাছিব আর। সমুদায় অঙ্গ তাঁর ছিল চমত্কার ॥ বাছ আর বাহুমুল সুন্দর গঠন। পরিষ্কার ছিল যেন হীরার মতন ॥ মেহদির রসে তার নখ রক্ত ময়। সুর্ষ্যেরী কিরণ যথা! উদিত সময় ॥ তাহার আকার ছিল নির্মল এমন । অতি মনোহর যেন সাক্ষাৎ দপণ ॥ এমনি স্ন্দর ছিল তার নাভি স্থল । চিবুকের প্রতিধিত্ব যেন অবিকল ॥
কি ৰূপে বলিব তার কটিদেশ নাই । কপালের দেব বদ দেখিতে না পাই ॥ যদি কোন সময়েতে জানুদেশ তার। | কোন ক্রমে হস্তগত হয় এক বার ॥ বিলাপ করিতে তবে হয় নিরম্ভর | করাঘাত কর্যে নিজ জানুর উপর ॥ তার পদতল ষার হয় দৃষ্টিগত।
নয়ন মনেতে তাঁর ভ্রমে সে নিয়ত ॥ এমনি আপদ্-ময় তাহার আক্ষ।র | প্রলয় তাহাকে দেখ্যে করে নমস্কার ॥
মস্নবি | ৯৫ তাক্গ ভাব যুক্ত তার এমনি চলন। চরণে মর্দন করে সকলের মন ॥
হংস যদি যত্ব করোযে মুভ চলো যায়। তাহার সুচারু গতি তথাপি না পায় ॥
) নি
নঃশব্দ চরণে করে এমন গমন । তাহার চরণ ভিন্ন না দেখি তেমন॥ চরণের পৃষ্টদেশ নির্মল শৌভন। চরণ তলের ছায়া হয় দরশন ॥ বহুবিধ রত্বু যুক্ত চারু পাছুকাঁয়। চরণ কি শোভা পাবে সেই শোঁত1 পায় ॥ এপ দেখিয়া তথা রাজার নন্দন । কারিলেন মনো সুখে ঈশ্বরে স্মরণ ॥ বৃক্ষের অন্তরে থেক্যে করেন ঈক্ষণ | কঠাঁৎ তাহাকে কেহ দেখিল তখন | এই কথা প্রকাশিত হল্যে পরক্ষণে | দেখিতে লাগিল তাকে নকলে যতনে ॥ দেখিল তাহার ৰপ এ ৰপ প্রকার | অগ্রির শিখার ম্যায় অতি চমৎকার ॥ কেহ বলে ইহ কিছু হবে ভয়ঙ্কর । কেহ বলে লুকাইয়া আছে.নিশাকর ॥
৯৬ মীর হসন্ কৃত
কেহ বলে পরী হবে.কেহ বলে জিন্। কেহ বলে ইহা বুঝি প্রলয়ের দিন ॥ করাধাত করে শিরে বলে কোন জন। হয়েছ্যে হয়েছ্যে বুঝি নক্ষত্র পতন ॥ কেহ বলে হল্যে। বুঝি প্রভাত সময় ।. রুক্ষের অন্তর হৈতে হয় সুর্য্যোদয় ॥ কেহ বলে দেখ দিদি স্বর হইয়া । স্পব্ট ইপ্পুক্তৰ এক আছে দীড়াইয়া ॥ কেছ বলে এই জন মানস-রগ্রন।
কেহ বলে আছে কিছু ইহাতে কারণ ॥ এই ৰূপ বাক্যাল।প করে পরস্পর ৷ হইতে লাগিল তথ! ইঙ্গিত বিস্তর ॥ এই কথা রাজকন্যা করিয়। শ্রবণ । . একবারে হইলেন-সবিস্মর মন ॥ বলিলেন চল আম দেখিব নয়নে | এই বল্যে উঠে পরে ভয় হল্যো মনে ॥ পরে সখিদের ক্ষন্ধে রাখি নিজ কর। ধীরে ধীরে চলিলেন হইয়ে তৎপর ॥ কিছু ক্ষিছু ভয়োদয় হয়্যেছিলঘ্মন । কাপিতে কাপিতে যান তাহারি কারণে
সমস্নকি ৯৭
মহামন্ত্র পাঠ করো ঘত সখিগণ 1 অগ্রসর হয়্যে তাত্না করিল গ্রমন ॥ যেখানে ছিলেন তিনি রৃক্ষে আচ্ছাদিত। সখিগণ তথা গিয়্যে হল্যো উপস্থিত ॥ ঝঁকে ঝুকে দরশন করে অবিরত | হঠাৎ সে বেনজির হল্যে দৃষ্টিগত ॥ নিবি হইয়। পরে দেখিল সকলে। সুন্দর যুবক এক দড়ায়্যে ভূতলে ॥ পোনের কি ষেল বর্ষ বয়েসের মান । যুবত্ব সময় একে তায় ৰপবান্ ॥ অন্প অন্প শ্মুশ্র সব হৈতেছে উদ্ভব । অতিশয় শো তায় হয় অন্তুতব & রক্তবর্ণ ওষ্ঠ যেন অনলের মত ! শ্মশ্র কপে ধূম যেন হৈতেছে নির্গত ॥ শব্নম্ বস্ত্রের নিমা শোতে অতিশয় । তাহা হৈতে অঙ্গ কান্তি বহির্গত হয় ॥ তামীমি বস্ত্রেতে শোভে সঞ্জীকৃ এমন । গতিশীল জলে বথা চন্দ্রের কিরণ ॥ শিরে শোভে চারু"পাগ মনোহর বেশ। তামামি বস্ত্রেতে বদ্ধ ছিল কটিদেশ ॥ এও
7১৮৮ মীর হস কৃত
পাঁকে পাকে সেই পাগ সুন্দর শোভন । প্রতোক পাকেন্তে ভার পাকে পড়ে হন & রত্বমর় ঘুঙ্ডি আছে গলার ভপরে। উধা বঙ্গলে তার ষথ! ঝল্মল্ করে & মুক্তা ময় থুপি আর মুক্ত! ময় হার । পাগের উপরে থেকে দোলে চমৎকার ॥ পরিষ্কার শোভা! যুক্ত চারু কলেবর । নব রত্ব শোৌভ। পায় বানর উপর ই অঙ্গুলীতে হীরফের অঙ্গুরী ভূষণ । মেহদিতে হস্ত পদ অতি সুশোভন ॥ সরল সুন্দর দেহ তেজী অভিশক্প | বিধিমতে প্রকাশিত ঘৌবন সময় & পরিক্ষার দেহ তার দর্পণের ন্যান্স। শোভা ৰূপ ৰনে যেন পুষ্প শোভ। পায় ॥ কুঞ্চিত চাচর কেশ শোভা পায় কত। কুষ্ত বর্ণ ছিল যেন যামিনীর মত ॥ স্থবুদ্ধি একাশ পায় জুন্দর আকারে । ত্রশস্ত কপাল শোভা ক্চমভা প্রচারে ॥ প্রণয়ের করবযালে আঘাতী হইয়। । কাহারে চিন্তায় যেন আছে দীড়াইয়া ॥
' 'অস্নবি । ৯১)
সমাগতা সখিগণ দেখিয়া এমন | মৃত প্রায় হয়ে ষেন হল্যে! অচেতন ৪ পরে তারা অবিলম্বে করিয়া গমন । স্থন্দরীর কাছে শিয়া! বলে বিবরণ ॥ শুরু রজনীর অন্য শোভ1 চমৎকার ! স্বপ্পেতেও দেখি নাই শোভা! এ প্রকার ॥ আমরা বলিলে পর ভুমি না! মানিবে। যখন দেখিবে চক্ষে তখনি জানিবে & এখনি গমন তুমি কর গো সত্বরে ৷ সেই শোভা দেখা যদি নাহি যায় পরে ॥ আর কিছু নয় তাহা নাহি কর ভয়! শীঘ্র শীঘ্র রুক্ষ তলে চল স্নিশ্চয় ॥ --যখন সেখানে গেল বদরেমুনির | যে সময় দেখিলেন তাকে বেনজির ॥ দৃষ্টি মাত্রে হয়্যেছিল এ কপ মিলন ! প্রাণে পাণে মনে মনে নয়নে নয়ন ॥ ফলে বেনজির আর বদ্রেস্থুনির | উভয়ে উভয় শ্রেমে হল্যেন অস্থির ॥ পড়িলেন ছুই জন্গে হয়্যে অচেতন 1 শরীরেতে কোন জ্ঞান না রহে তখন ॥ ২ এও
৩ মীর হষন্ কৃত
সুন্দরীর কাছে ছিল অক্ত্রীর ভুহিতা। . বুদ্ধিমৃতি কপবতী ভূষণে ভূষিত! ॥ নক্ষত্রের মত সেই ছিল সুশোভিত 1. নজ্মুন্নেস। তাঁকে সকলে বলিত ॥ শীঘ্র গিয়ে সে করিল গে(লাব্ সচন। তাহাতেই উভয়ের হইল চেভন ॥ ভূভল হইতে উঠে বছ্রেয়ুনির ॥ কাদিতে লাগিল তথা হইয়া অস্থির ॥ রাজার তনয় পরে আশক্ত হইয়া ! স্থির ৰপে খাকিলেন তথা দীড়াইয়া ॥ এক স্থানে পদচিত্র থাকে ষে পকার। সেই ৰপে থাঁকিলেন রাজার কুমার ॥ ভয় যুক্ত! হয়্যে সেই বপবৰতী পরে । কটি আর কেশ শোভ! দেখায় সত্বরে & তাহাকে করিয়া যেন অর্ধেক ছেদন । সম্মুখ হইতে গেল ফিরায়্ে বদন & বদ্্রেমুনিরের বিনান কেশের গ্রশংসা । সুগন্ধি মদিরা সাকি দাও হে এখন 1? যেহেতু করিৰ আমি কেশের বর্ণন ॥
"মস্নঘি। 5১
সন্ধ্যা হৈতে এত মছ্য দাও হে আমায়। চেতন হইলে যেন সুষ্য দেখা বায় ॥ --তাহার স্ন্দর কেশ কি বর্শিব আর 1 কোন রাত্রে দেখি নাই কাল সে প্রকার ॥ দেখিলে তাহার কেশ মন উচাটন ! কিন্ত সেই উচ্চাটন সন্ভোব-কাঁরণ ॥. বিনান অচড়া কেশ অতি পরিক্ষার । শেষেতে জরীর থুপি শোঁভে চমত্কার ॥ সে খুপিতে ছিল কিবা আশ্চর্য্য ঘটন । দিন আর রাত্রি যেন একজ্রে বন্ধন ॥ উত্তরীয় বস্ত্র তার শোভে অতিশয় ৷ বিদ্যুৎ চমকে যেন বর্ষণ সময় ॥ কেন ন। পাইবে শোভ সে বিন।ন কেশ ! যেহেতু উজ্জল থুপি আছে তার শেষ ॥ সেই খুপি পড়ে; থেক্যে পুষ্ঠের উপরে । প্রফুল পুম্পের ন্যায় চারু শোভা করে ॥ কিন্তু তাহ হস্ত গত সহজে না হয়। যেহেতু সর্পের মণি ছিল সে নিশ্চয় ॥ বুদ্ধিমান লোকে ভাহী ফিরে না দেখিত।. ধূমকেতু তাঁরা যেন ছিল প্রকাশিত ॥
৩ এ
১৩ মীর হজন্ কত
দর্পণের তুল্য তার পুষ্ঠ পরিক্ষার 1 বিনান চিকুর পড়ে উপরে তাহার 7 তাহার শোভাবর কথ। কি কৰক বিস্তর | কুষ্ণবণ মেঘ ঘেন নদীর উপর ॥ তাহার চুলের সিথি শোভিত এমন । সকলের মন যেন করিছে হরণ ॥ আশক্ত গণের চিস্ত হইয়ে মোহিত | এক বারে হযে ছিল তাহাতে পতিত ॥ যে রমণী করোযেছিল সে কেশ বন্ধন । আশক্তের প্রতি তার দয়াশীল মন ॥ কঠিন কপেতে যদি কাধা হৈভ কেশ । বাধ। পড়ে আশক্তের মন হেত শেষ ॥ তারি জন্য করেছিল শিথিল বন্ধন | বাসাতে ন' মরোয যায় আশক্তে'র মন & বপের স্বভাব তারহ্িল এ প্রকার । 'আশক্তের সুখ দুঃখ করিত প্রচার ॥
সে কেশের বিবরণ কি বর্ণিৰ আর । বর্ণিভে ন' পারি কেশ যেমন বিস্তার ॥ ষ্দ্যপিও করিলাম অনেক বর্ণন।
কিন্ত সবে গ্রন্থ কর এই নিবেদন ॥
মস্নবি £ ১৮১৩
এত যে অধিক আদি কর্যেছি ব্যাখ্যান | কি কহিব ইহা নহে সংক্ষেপের স্থান ॥ তথাপি হল্যো না ভার বর্ণন বিশেষ । এই ভাবনায় অমি পাইতেছি ক্রেশ ॥ এই জন্যে ত্যাগ কর্যে সেই অভিলাষ । করিতেছি অন্য কথ। পরেতে প্রকাশ ॥ __মুখ ফিরাইয়ে কেশ দেখায়্যে সে কালে । আবদ্ধ করিল যেন প্রণয়ের জালে ॥ সুমধুর হাস্য কর্যে লুকায়্যে বদন ।
হাব ভাব দেখাইয়া! করিল গমন ॥ প্রকাশ্যে বিরক্ত মুখ অভিলাষ মনে । প্রকাশ্যেতে উপহাস আক্ষেপ গোপনে ॥ উপহাস করে পরে বলিল কথায়।
এ যে কোন্ হতভাগা এসেছে হেথায় ॥ উপায় না দেখি আর কি করি এখন । কোথায় বাইব ছাড়ি আপন ভবন ॥
এই ৰূপ কথা তথা বলিয়। সত্রে । লুকাইল গিয়ে নিজ হন্ট্যের ভিতরে ॥ নিজ করে ঘবনিকা করিল ক্ষেপণ । মেঘেতে করিল যেন সুর্য আচ্ছাদন ॥
১০৪ মীর হসন-কত
ইতিমধ্যে মন্ত্রিকন্যা করো আগমন । অতিশয় মিষ্ট ৰাকা বলিল তখন &
* এক্ষণেতে এত ছলা ভাল নয় আর । কেন মিছে এত লজ্জা করিছ প্রচার ॥ আহ মরি চেয়ে তুমি দেখ না আমায়। মন চায় বটে কিন্ত মস্তক নড়ায় ॥ উহাকে আঘাত যদি কর্যেছ এমন । অগ্ধ ছেদ করো; ভবে ছেড় ন। এখন ৪ কিঞ্চিৎ সংসার-জুখে কর মনোযোগ । সুবত্ব কালের সুখ কর কিছু ভোগ ॥ প্রেম মদ পান কর জুখেতে এখন | ইহ পর কালে চিন্তা হবে বিস্মরণ ॥
এ নব যৌবন এই জুখের সময় ।
এ সময়ে ক্ষান্ত থাকা উচিত না হয় ॥ প্রেম মদ পান কর হইয়া, সত্বর |
ক্ষমা করিবেন ইহ। পরম ঈশ্বর ॥ কোথা রবে এ যৌবন কোথ। সুখ রবে। পুনর্ববার এ সকল স্মরণীয় হবে।
সর্বঘ1 সন্তোষ দান করে না সংসার £ যে সময় যাবে তাহ? না পাইবে আর ॥
মস্লবি | ১০৫
বহু বিধ কার্ধ্য আছে সংসারে প্রচার । প্রিয়জন সঙ্গে প্রেছ প্রধান তাহার ॥ উভয়ে একত্র হয়্যে যে সম্জ্জ রয়। তাহাঁকেই বল। বায় উত্তম সময় ॥ চক্র আর হুর্য্য যেন একত্রেতে স্থিত | অতিশয় শোত। তায় হয় প্রকাশিত ॥ উত্তম অতিথি তব এস্যেছে ভবনে । আশ্চর্য্য ঘটন। ইহা জানিবে এক্ষণে ॥ অবিলম্বে সমাজের কর আয়োজন । ইহাকে লইয়া কর ভবন শোভন ॥ মদ্য দাতা সাকিদিগে ডাকায়্যে আনাও । মনের সন্তোক ভুমি পিয়াল। ঘুরাও ॥ ইহাকে লইয়া সুখে করো অধিষ্ঠান ! দিব। রাত্রি অবিরত কর মন্য পান & মদের পিয়াল এত ঘ্ুরিবে ত্বরিতে | চন্দ্র সূর্য্য সে প্রকার ন! পাঁরে ঘুরিতে ॥ এই কথা শুনে হেঁসে বলিল সুন্দরী ! বেশ্ বেশ্ ভাল ভাল আহ! মরি মরি ॥ বুঝেছি তাহার প্রত্তি গেছে তব মন। আমার নিকটে ছল কর কি কারণ &
১৩৬ মীর হসম্"কৃত
হাস্য করি মন্ভ্রিকন্য! বলিল স্বরিত | আমিইত তাকে দেখ্যে হয়েছি সুঙ্ছিত ॥ তাচ্তেই গোলাব্ ভুষ্ফিলয়্যে নিজ করে। সেচন কর্যেছ বুঝি আমারি উপরে ॥ যাহ! হৌক সে কথায় নাই প্রয়োজন । আমারি নিমিত্ত তাঁকে ডাকাও এখন ॥ পরস্পরে বাক্যালাপ হল্যে মমাপিত । ডাকিতে বলিল তাকে করিয়। ইঙ্গিত ॥ পরে সেই মকস্ত্রিকন্য। যুবাকে ডাকিয়া । করিল গৃহের কর্ত! সন্তোষ হইয়। ॥ সমাদরে বসাইয়া বাটার ভিতরে | বাটীর সকল শৌভা দেখায় সত্বরে ৪ পরে সুন্দরীর হস্ত যতনে ধরিয়া । তাঁহার নিকটে তাকে দিল বসাইয়! ॥ স্পঞ্জ» বদ্রেসুনিরের সহিত বেনজিরের শ্রথম মিলন ।
আমোদের মদ্য সাকি দাও ছে বআমায়। পেয়েছি সুখের দিন ভাঙ্্যের কপার ॥
এমষ্মবি। ১০
-প্রিয়ার সহিত প্রির শোভে অতিশয় চন্দ্র আর স্কু্্য যেন হইল উদয় & . জোর করো ধরো তারে বয্লাল্যে বখন। তখন যেৰপ শোভা! ন! হয় বর্ণন ॥ আশ্চর্য্য ৰপেতে নারী বসিল তথায় । নঙ্কেচ করিয়। নিজ অঙ্গ সদায় ॥ লজ্জায় লজ্জিত হয়্যে বিনত বদনে । ঢকিল অ।পন মুখ অঞ্চল-বসনে ॥ সর্বাঙ্গেতে স্বেদবিন্ছু হল্যে। প্রকাশিত | শিশিরেতে বেলাফুল যেন সুশোভিত ॥ উভয়ে হইয়া তথ! লঙ্জিত-জ্ৃদয় । করিলেন বদ্যে বস্যে ছুই দণ্ড ক্ষয় ॥ তাহাদিগে সলজ্জিত করো দরশন । মন্ত্রীর তনয়। হল্যে৷ বিবাছিত মন ॥ সম্মুখে মদের পাত্র আনি তার পরে। পিয়ালুর মধ্যে মদ ঢালিল সত্বরে ॥ বাজার কন্যার প্রাতি বলিল বচন। একপেতে বস্যে ভুমি আছ কি কারণ ॥ মদের পিয়াল! তুঙ্ষি লইয়া! যতনে । সম্ভোবে করাও পান এই প্রি জনে £
১৪৮ মীর হসন্ কত
আমার এ অনুরোধ করিয়া গ্রহণ 1 ঈষৎ সহাস্য মুখে কর আলাপ ॥. লইলাম সমুদায় বালাই তোমার । তোমাকে আমার দিব্য জান বার বার ॥ কয়েক পিয়াল মদ লয়্যে ক্ষণে ক্ষণে । পান করাইয়া দাও এই প্রিয় জনে ॥ এ ৰপ বিনয় বাক্য করিয়া অআৰণ | করিল সুন্দরী সুখে পিয়ালা শরণ ॥ পশ্চাতে কিরায়্যে লয়ে আপন বদন । ঈষৎ হাসিয়া পরে বলিল বচন ॥ সেবন করুক সুরা ইচ্ছ। আছে যার। ভুবা করুক তাই যাহা ইচ্ছ। তাঁর ॥ হাস্য করি বলিলেন ভূপতি-সন্ভান। কারো অনুরোধে কেন করি জরা পান ॥ এ প্রকার আলাপন'হুল্যে পরম্পরে ৷ ছুই পাত্র সুরা পান করিলেন পরে ॥ * রাজপুজ্র স্থুরা পাত্র লয়্যে মন সুখে । বতনে দিলেন তাহা সুন্দরীর মুখে ॥ উভয়ে মদির! পান চলিল ষখন । পুষ্পকলি ভুল্য মন কুটিল তখন ॥
সস্নবি | ১০৯
পরস্পরে পরিচয় হল্যো প্রকাশিত । পরস্পরে লাঁক্যালাপ হল্যো বথোচিত ॥ রচনের দ্বার মুক্ত হইলে তখন ॥ বেনজির বলিলেন নিজ বিবরণ ॥ প্রথম অবধি যত ঘট্যেছে ঘটন । কুল শীল আদি তাহা করেন বর্ণন ॥ পরীর বৃত্তান্ত আর গোপন প্রণয় । একে একে কহিলেন তাহা সমুদয় ॥ বলিলেন এক যাম আছে অবসর । থাকিতে সমর্থ নই প্রহরের পর ॥ এই কথা শুনে হয়্যে সরাগ অন্তর বদ্রেমুনির দিল এ ধপ উত্তর ॥ মরুক সে পরী আর তুমি যাও মর্যে। দ্ুর হও হতভাগা কে রেখ্যেছে ধরোয ॥ এ ৰূপ অধম প্রেমে মন নাহি হয় । আমাকে লাগে না ভাঁল ভাগের প্রণয় ॥ নিশ্চয় জেল্যেছ" তুমি অত্যন্ত চতুর্ । আমার নিকট হৈতে শীঘ্র হও দুর ॥ বুথায় তোমার সঙ্কঙ্গ কে করে প্রণয়। কে পোড়বে আপনার সুস্থির হৃদয় ॥ ট্
১৯৬ মীর হসন্ক্কত
কে জ্বলিবে অকাঁরথে এদীপের ন্যায় । হিংসার আগুণে কেন গুঁড়িবে বৃথা । এই কথা শুনে পাঁরে পড়ে বেনজির । বলেন কি করি হায় বদ্রেষুনির ॥
কেহ বদি এক বারে সহজ অন্তরে । অত্যন্ত আমশাক্ত হয় আমার উপরে ॥ আমার কি প্রয়োজন তাঁহার সহিত। তোমার প্রণয়ে আমি হয়েছি মোহিত ॥ রাজকন্যা বলে পরে এ ৰূপ বচন ।
দুরে যাও আর কেন কর জ্বালাতন ॥ রেখ্যো না রেখ্যো না শির আমার চরণে । দক আছে কাহার মনে জানিব কেমনে ॥ এই কপে হল্যো। কত বাক্য আলাপন । হাসিতে হাসিতে শেষে করেন ভ্রন্দন ॥ মনের যতেক কথ! মনেন্তেই রয় ।
হইল প্রহর রাত্রি এমন সময় ॥
বজিল প্রহর শুনে উঠে বেনজির । বলেন এক্ষণে বাই বদ্রেমুনির ॥
যদ্দি তার কার! হৈতে মুক্তি লাভ হয় । এখানে আসিব কল্য এমনি সময় ॥
ছা ৬. ই
মন্ত্রনবি |
সন্তোষেতে আছি আমি ভেব না এমন । চ্কি করি আশ্চর্য্য ফাদে টে পতন । এখান হইতে মন উঠিতে না চ জেনেস্গুনে কেহ কু সাল নাযায়॥ চলিলাম মন রেখ্যে তোমার গোচরে। ক্িঞিৎ করুণ রেখ্যো আমার উপরে ॥ এই কথা বল্যে তিনি করেন প্রস্থান এ দিকে অস্থির হল্যে সুন্দরীর প্রাণ ॥ বেনজির বান তথা নিকপিত ক্ষণে । ছুই দিকে বদ্ধ হয়্যে রহিলেন 'মনে ॥ পরীর সহিত থেক্যে পরীর আগারে | যামিনী যাপন হল্যে ষে কোন প্রকারে ॥ আক্ষেপেতে করতল করিয়া মর্দদন | উষা কলে উঠিলেন হয়্যে ছুংখ-মন ॥ দেখিয়াছিলেন যাহা নিশিতে তথায় । নেত্র অগ্রে ছিল যেন সেই সমুদায় ॥ আমোদ প্রমোদ আর প্রেম জালাপনে | তথাঁকাঁর যত সুখ মব ছিল মনে । মিলনের স্বপ্ন দেখ্যেন্উঠে যেই নর । মিলন না হল্যে তাঁর ব্যাকুল অন্তর ॥
| ২ ট |
১১২ মীর হসন্ঞ্রত
নুতন প্রণরালাপ ভুলা নাহি যায় । প্রথম প্রণয় কর] হয় বড় দায় ॥ কত ক্ষণে যায় দিন. এই চিন্তা মনে ! তাহার মিলন লাভ হবে কত ক্ষণে ॥ কঞ্চবর্ণ কেশ তাঁর করির। সআরণ। করেন সন্ধ্যার পথ সদ অন্বেষণ ॥ অত্যন্ত বিপদ ময় বিরহের দিন। সেদিন যাপন কর। হইল কঠিন ॥ এ স্থানের যে সকল রৃস্তীস্ত বিশেষ । সংক্ষেপে বর্ণন তার করিলাম শেষ । এন্ষণেতে তখাকার শুন বিবরণ | " ক্রমে ক্রমে সমুদয় করিব বর্ণন ॥ বিরহেতে সুন্দরীর কষ্ট অতিশয় । বহু কষ্টে হলে! ক্ষয় ধামিনী সময় ॥ নয়নে আবদ্ধ ছিল বন্ধুর আকার । ভাঁবিতে ভাৰিতে হল্যো গ্রভাত সঞ্চার ॥ ক্ষণেতে নিরাশ ক্ষণে আশাযুক্ত মন। রদনেতে হাঁস কিন্ত মলিন বদন ॥ নেসা তাকে বুঝায়্যে বতনে । বলিল আমার এই ইচ্ছ! হয় মনে ॥
সস্নবি।
অদ্য তুমি বেশ ভূষা করো্যে সমুদায় | আপন ৰপের শোভ। দেখাও আমায় ॥ স্্রন্দরী তাহার কথা করি! শ্রবণ । বলে যাও কেন হও উন্মাদ এমন ॥ ম্বভাবত যে আকুতি সেই মনোহর । কি হইবে বেশ ভূষ!| করিয়। বিস্তর ॥ কার জন্য বেশ ভূষা! করিব এখন ॥ যাহাকে দেখাব বেশ সেবাকেোন্জন ॥ অত্যন্ত চতুর ছিল রাজার সন্ভতি। পুর্বেবেই এ কর্মে তার হয়্যেছিল মতি ॥ লনা ন কর্যে বেশ ভূবা করে অতিশয় । 'ল্ুসজ্জিত! কন্যা যথা বিবাহ সময় ॥ হইল তাহার মুখ অতি শোভা ময় । তাহা দেখ্যে রাকা শশী হয় সবিস্ময় ॥ রক্তবণ ওষ্ঠ তায় দশনে মঞ্জন। দেখিলে তাহার শোভ। মুগ্ধ হয় মন ॥ নয়ন যুগল তাঁর সহজে স্ন্দর।
বিচিত্র অঞ্জন তায় শোভে মনোহর ॥ পেশ্ওয়াজ্ বল্মল ক্রিছে এমন | তারাগণে যেন তাহ। করে দরশন ॥
৩ ট
৪
্
১১৪ মীর হসন্ কৃত
চাদর দিয়েছে দেহে অতি পরিস্কার । চান্দ্রিকা সদৃশ শোভা করিছে বিস্তার ॥ রত্বের কাচলি তার অতি শোভাকর । কেরেস্কাও তাহা দেখ্যে হয়েন কাতর ॥ কুর্তি যুক্ত কলেবর শোভিছে এপ । তাহাতে প্রকাশ পায় শরীরের কপ ॥ পাজামার মধ্যে আছে সেচারু চরণ । কানুষের মাঝে যেন বাতি আুশোভন ॥ জরীর বন্ধন ডুরি কটিতে বিস্তর !
'দল্গত্র হইতে তাহা দ্বিগুণ জুন্দর ॥ জহীর পাছুকা শোভ। অতি চমত্কার । ভুতলৈ পড়েছে এসে উজ্জ্বলতা তার ॥
[পদে মস্তকে তার রত্ব স্ুআঅকান্প | ত্র নদীতে ঘেন করিতেছে বা দহেজে ত্ুন্দর তার ছিল অবয়ব! তাভ'তে করেছে শোভা বেশ ভূুবা সব ॥ 'অতি চমত্কার তার সমস্ত আকার ! দেখিলে অন্তরে বায় অন্তর-বিকার ॥. ঈশ্বরের মহিমার উদ্যান ভিভরে । কণ্পতক্ু তুল্য তার দেহ শোভা করে।॥
এ
পি
মস্নাব। ১5৫
সিথিতে মুক্তার শ্রেণী শোভা অতিশয় । নক্ষত্রের শোভা যেন রজনী সময় ॥ তাহার কর্ণের বালা উজ্জ্বল এমন। চপলা বাহাকে দেখ্যে হয় অচেতন।॥ গলায় হারার ঘুণ্ডি এপ সুন্দর |
গলা যেন উষ। আর ঘুণ্তি দিবাকর । চারি দিকে ট(প্কলি শোতিছে এমন । বোধ হয় এই যেন সুষ্যের কিরণ ॥ হীরকের ধুকধুকি হৃদয় উপরে |
সুর্য্যও তাহার জ্যোতি দরশন করে । ঝালিছে মুক্তার মালা শৌভা আতিশয়। যাহাকে দেখি মন বিমোহিত হয় ॥ হীরকের হয়ুকল্ গলায় ভূবণ। . তাহার পের ভাবে মুগ্ধ হয় মন ॥ ভুজবন্ধ নবরত্্ বাহুর উপরে । প্রচ্ছটিত ফুলে যেন শাখা শেতা করে । মনোহর দস্তবন্ধ পভিচা ভূষণ।
পান্নায় নির্শিত তাহা সহজে শোতন ॥ শাখায় কুটিলে ফুলশ্যত শোভ1 করে । তা হৈতে দ্বিগুণ শোভা হয় তার করে ॥
১১৬ মীর হসন কৃত
পাজেব্ ভূষণ তার মাণিক্য রচিত ! তাহার স্রন্দর শোভ1 ন। হয় বণিত ॥ চরণের অঙ্কুলিতে অক্্ররী বিস্তর | তাহাকে দেখিলে হর ব্যখিত অন্তর ॥ চিকুর স্থগন্ধিময় ছিল অতিশয় । যুগনাতি তার বাসে সলজ্জিত হয় ॥ দেহের আস্াণে হয় ফুল অন্তর । আতরেতে ডুবে যেন ছিল কলেবর ॥ তাহাতে.স্গন্ধি ময় হয়্যেছে ভুবন । ল্গুবাসেতে পরিপুর্ণ হয়েছে গগণ ॥ এই ৰূপে বেশ ভুব। করিল বতনে । চন্দ্র সুষ্য মুগ্ধ হয় তাহ। দরশনে ॥ তাহার বেশের শোভ] ব্যাপিল গগণ। সে বেশকারিণী করে স্বহস্ত চুন ॥ দাসী গণে সুসজ্জিত করিল আলয় । তামামির ববনিক। দিল দ্বারময় ॥ সজ্জিত পধ্যস্ক সবে পরিষ্কার করি । জরীর চাদর দিল তাহার উপরি ॥ ন্থগন্ধি পুষ্পের গুচ্ছ তাকের উপর । অপর তেমন নাই ভূবন ভিতর ॥
মস্নবি। ১১৫
বিল'তীয় বু ফল গৃহে বিদ্যমান । সুগন্ধি পুম্পের তুল্য ছিল তার ভ্রাণ॥ অগ্নিযোগণে গন্ধদ্রব্য প্রকাশে সুবাস । সেই বাসে পরিপুর্ণ হয়্যেছে সে বাঁস। এক দিকে পুষ্পপাত্রে পুম্প বহুতর। অন্য দিকে বহুবিধ দ্রব্য মনোহর ॥ , খাটের উপরে এক শষ্যা শোভা পাঁয়। তামামির উপাধান পাতিত তাহায় ॥ কোন স্থানে চাঙ্জারিতে আছে পানদান। কোন স্থলে চাঙ্গারিতে হার আর পান ॥ অনেক আতিরদান ছিল রত্ুময়। গে'লপৃপাশের শোত। বর্ণন ন। হয়। (“রোদেশে ছিল এক গ্রন্থ সুশৌভন | ভভিশয মনোহর উত্তম বন্ধন ॥
জহ্গুরি নজিরি নামে গ্রন্থ মনোহর । এ দুয়ের সার ছিল তাহার ভিতর ॥ উত্তম কলম্দান অত্যন্ত শোভিত । খাটের নীচেতে তাহ! হয়েছে সজ্জিত ॥ অপর পুস্তক এক তথা শোত। পার । বিমোহিত হয় মন দেখিলে তাহায় ॥
১১৮ মীর হসন্ কৃত
মীর হসনের পদ্য আর সওদার । তাহার ভিতরে ছিল অনেক প্রকার ॥ আন্দর গঞ্জিক। তথা হয়েছে স্থাপন । অন্য দিকে পাশ। আছে অভি সুশোভন ॥ কাবাঁব্ঃ পিয়াল। আর মদের বোতল । চৌকীর উপরে সাকি রাখে এ সকল ॥ রেখ্যেছিল বটে মদ্য কর্যে সংগোপন। ন। হয় গোপন তাহা করিলে সেবন ॥ পাচক দিগকে বলে হও সাব্ধান। সমুদয় খাঁদ্য যেন থাকে বিদ্যমান ॥ এই ৰূপে দ্রব্য সব হল্যে আয়োজন । সুন্দরী সে স্থান হৈতে উঠিল তখন ॥ সন্ধ্যাক।লে রত্ব ছড়ি করিয়া ধারণ । কেয়ারির ধারে করে সন্তোবে জঅমণ ॥ সপন (৪৬২ বেনজির ছিতীয় বার আপিয় বদরেমুনি- রের সহিত সাক্ষাৎ করেন, তাহার বর্ণন।
মিলনের মদ্য সাকি দাও শীগ্রগতি | বিরহে হয়্যেছে দেখ বিশেষ ছুর্গভি-॥
মস্মবি ১১৭
--এ দিকেতে বেনজির ছিলেন কাতির। সন্ধ্যাকাঁল হল্যে তাঁর হল্যে। অবসর ॥ সে দিন তিনিও কিছু হল্যেন শোভিত। হরিত বর্ণেতে বস্ত্র করেন রঞ্ডিত ॥
যত্তে করো তামামির সঞ্জাক্ নির্মাণ | পরিশেষে করিলেন তাহ পরিধান ॥ স্ুবিমল নবরত্বু বাহুর উপর ।
তাহাতে হইল শৌভা অতি মনোহর ॥ কলের অশ্খের পৃষ্ঠে করি আরোহণ । আনন্দে আকাশ-পথে করেন গমন ॥ ভ্রমণ করিতেছিল সুন্দরী যথায়।
তথা গিয়ে উপস্থিত হল্যেন ত্বরায় ॥ বদ্রেমুনির তীরে কর্যে দরশন
রূক্ষের অন্তরে গিয়ে হইল গোপন ॥ দেখিল গেপন ভাবে করো প্রণিধান | স্গুবেশে এস্যেছে যুবা হয়্যে শৌভমান্ ॥ পরিধান ধানিযোড়া শৌভিছে সুন্দর | ভূণেতে লুকায়্যে যেন আছে শশধর ॥ সে কপ যদ্যপি তুমি করিতে ঈক্ষণ। তখনি বলিতে তবে এৰপ বচন ॥
১২৩ মীর' হনন্ কৃত
রজনীর পতি যেন রজনী সময় | ধানের ভূমিতে আসি হয়েছে উদয় ॥ বপ বেশ সে যৌবন সুন্দর এমন । পান্নায় শৌভিছে বেন স্ুধ্যের কিরণ ॥ হরিত বর্ণের বস্ত্র ছিল দেহ ময়। জুলিছে অগ্নির শিখা এই জ্ঞান হয় ॥ তাহ! দেখ্যে সুন্দরীর হচ্ছ হলো! মনে । শীঘ্র গিয়ে দগ্ধ হয় সেই ছুতাশনে ॥ তাহাঁর মনন বুঝে কোন এক দাসী। বলিল এ কথা! তার নিকটেতে আসি ॥ সন্প্রত্তি ইভীকে লয়্যে বল কোথা যাই । যে খানে আদেশ হয় সে খানে বসাই ॥ সুন্দরী বলিল পরে এপ বচন ূ সেই যে সজ্জিত আছে সুন্দর ভবন ॥ অবিলম্বে লয়্যে যাও গোপনে তথায় । দেখ্যে। দেখ্যো কেহ যেন দেখিতে না পায় ॥ আদেশ পাইয়া! দপৌ করিয়। গোপন। তাঁহাকে লইয়া তথা করিল গমন ॥ ঘরে গিয়ে উপস্থিত হল্যে বেনজির । স্বরায় আইল তথ ৰদ্রেমুনির ॥
মল্নৰি 1 ১২১
সুন্দরীর কপ বেশ করো দরশন | অমনি হল্যেন তিনি বিমোহিত মন ॥ এক বারে ধৈর্য্য হীন হইল অন্তর | লঙ্জার সহিত হল্যো প্রমের সমর ॥ প্রণয়ে প্রিয়ার হস্ত ধরো নিজ করে। সন্বরেতে টানিলেন শয্যার উপরে ॥ সুন্দরী বলিল কথা হইয়। সত্বর ৷ কি কর কি কর তুমি ছেড়ে দাও কর ॥ এ ৰপ প্রণয় আছে যাহার সহিত। এ ্ধপ করিয়া ভারে হইও মোহিত । বেনজির বলিলেন অতি অকপটে ॥ ক্চণ কাল বস্যো প্রিয়ে আমার নিকটে ॥ বহু ক্ষণ হৈতে মন আছে উচাটন। এক বার প্রিয় ভাবে কর আলিঙ্গন ॥ এই ৰূপে বছ বিধ বিনয়ের পরে । সুন্দরী বিল গিয়ে শব্যার উপরে ॥ আরন্ত হইলে পরে সুরার সেবন । অপর প্রকার রীতি হইল তখন ॥ উভয়ে প্রমস্ত হয়ে'সন্তোবিত মন। হইতে লাগিল কত কথোপকথন ॥
ঠ
১২২ মীরশহসন কত
সেকালে সে খানে ছিল যত দাসীগণ । কর্ম করিবার ছলে করিল গমন ॥ ক্রমে ত্রমে' মদে মত্ত হয়্যে ছুই জন । একত্রে পধ্যস্কে গিয়ে করেন শয়ন ॥ উভয়ে করেন সুখে প্রেম মদ্য পান । উভয়ের আশা বৃক্ষ হল্যো ফলবান্ ॥ সুখেতে মিলিল মুখ অধরে অধর । দেহে দেহ মিলে গেল অন্তরে অন্তর ॥ সন্তোষে মিলিত হল্যো নগ্নে নয়ন । দ্রুরে গেল উভয়ের মনের বেদন ॥ হৃদয়ে'হ্ৃদয় যোগে কত সুখ ভোগ । পরস্পর কলেবরে করতল যোগ ॥ ছিড়ে গেল স্রন্দরীর কাচলি বন্ধন । খুলে গেল যুবকের কুপ্চিত বসন । উভয়ের দুঃখ চিন্তা গেল সমুদয় ।
এক বারে উভয়ের প্রফুলল হৃদয় ॥ উভয়ে করিলে দেহ বস্ত্রে আচ্ছাদন । চন্দ্র সুর্য্য হল্যে যেন একত্রে গোপন ॥ ক্রমে ক্রমে লজ্জা! হীন হইলে উভয় | আনন্দের দ্বার মুক্ত হল্যো সে সময় ॥
সস্ননি.।
এই ৰূপে আঁশ! মন্দ পান করি পরে। শয্যা হৈতে ছুই জন উঠেন সন্থরে ॥ আরক্ত হইল কারে সুচারু বদন । . কারো মুখ শুক্র বর্ণ হইল তখন ॥ প্রণয়ের শ্বাস ত্যাগ করিতে করিতে । পর্য্যঙ্ক হইতে নিন্বে নামেন ত্বরিতে ॥ সুখের আস্বাদ মদে প্রমত্ত হইয়।। নিরবেতে থাকিলেন শয্যায় বসিয়। ॥ স্বেদে যেন স্ন্দরের ডুবিল শরীর । ও দিকে সুন্দরী আছে হয়্যে নতশির ॥ এ ৰৃূপে উভয়ে বস্যে সন্তোষ হৃদয় । হইল প্রহর রাত্রি এমন সময় ॥ উঠিলেন বেনজির বাজিলে প্রহর । বদ্রেমুনির হল্যো তাপিত অন্তর ॥ সে সময়ে কোন কথা বলিল না আর। করিল না এক বার অপাঙ্গ বিস্তার ॥ বেনজির বলিলেন করি অনুরাগ । দেখ্যে! হে প্রিয়সি যেন করিও না রাগ ॥ সময়ানুসারে আমি'আনসিব আবার । বদ্রেমুনির বলে যা ইচ্ছা তোমার ॥ ২ ঠ
১২৪ মীর হন ক্লুত
সুন্দরীর ক্রোধভাৰ কর্যে দরশন | কাদিতে কাদিতে যুবা করেন গমন ॥
ভয়ের প্রেমে বন্ধ উভয় অন্তর । উভয়ের বিরহেতে উভয়ে কাতর ॥ এই ৰপে মনস্থখে রাজার তনয় ৷ আদিতেন প্রতি দিন সন্ধ্যার সময় ॥ প্রহর রজনী তথা করিয়া বিহার । করিতেন বিমোক্ষণ প্রণয়ের ঘার ॥ কখন বিরহে মন হৈত জ্বালাতন । কখন মিলন সুখে সন্তোধিত মন ॥
| , এটা মাহরোখ্ পরী বেনজিরের গগু প্রেমের সংবাদ জ্ঞাত হয়, তাহার : . সুত্তান্ত।
অগোৌণে আমাকে সাকি এনে দাও মদ । বিরুদ্ধ হয়্যেছে গ্রহ ঘটিবৰে বিপদ ॥ সুখী নাহি হয় গ্রহ 'কাঁভারো মিলনে | রাখে না বন্ধুত্ব তাৰ উভয়ের মনে ॥ মিলনের শক্র এ যে সহজে স্বাধীন প্রেমের রাত্রকে করে বিরহের ছিন &
মস্নবি |
ইহাকে লাগিল ভাল তাদের বিরহ 1 : সহা নাহি হলো! প্রেম উভয়ের সহ ॥ _পরীর নিকটে গিয়ে দৈত্য এক জন | এ ৰূপ লংবাদ পরে করিল জ্ঞাপন ॥ তুমি যাকে প্রিয়জন ভাবিছ অন্তরে । আসক্ত হয়েছে সে ষে অন্যের উপরে ॥ এই কথা শুনে পরী ক্রোধে কম্পবান। জ্বলিতে লাগিল যেন অগ্নির সমান ॥ বলিতে লাগিল মুখে এ ৰপ বচন।
এ আবার কি হইল বিপদ ঘটন ॥ দিব্য করিলাম অদ্য ম্মর্যে সোলেমানে । অবিলম্বে আমি তারে বনাশিব্ প্রাণে ॥ পরেতে দৈত্যের প্রতি বলিল বচন। আমাকে বলিয়। দাও তার বিবরণ ॥ দৈত্য বলে কোন এক উদ্যান ভিতরে । তোমার বান্ধব ছিল প্রফুল অন্তরে ॥ তাহার নিকটে ছিল এক ৰপবতী। তার করে কর যোগে প্রফুলিত মতি ॥ হঠাৎ সে দিকে আঙ্ি উড়ে গেলে পর।
তাহার। উত্তয়ে হল্যো দৃষ্টির গোঁচর ॥ ৩ঠ
১২৬ মীর হুসনূ.কৃত
দৈত্য মুখে শুনে পরী এই সমাচার । ক্রোধে বলে যদি'আমি দেখা পাই তার & তবে সে দুষ্টাকে সদ্য করিব ভক্ষণ । সপত্বী হয়েছে, তার নাই কি মরণ ॥. আমার নিকটে অখ্রে আন্ুক ছুর্মাতি। খণ্ড খণ্ড কর্যে বন্দ করিব হুর্গতি ॥ কর্যেছিল ছুরাকআা, কি এই অঙ্গীকার । কেমন স্বভাব তার বুবিব এবার ॥
সত্য কথা বল্যেছেন পিভূুলোক গণ ॥ নর জাতি নাহি করে শ্রতিজ্ঞা পালন ॥ বসিয়া রভিল পরী সরাগ হৃদয় । আইলেন বেনজির এমন সময় ॥
তার ক্রেপে ভয় যুক্ত হল্যেন এমন। মৃত হইলেন যেন থাকিতে জীবন ॥ পরে পরী রাজগুজে করি নিরীক্ষণ । বিপদের ন্যায় ষেন করে আক্রমণ ॥ নিষ্ঠুর ভাবেতে তাঁকে বলে বার বার । অরে দুষ্ট শোন্ তুই-বচন আমার ॥ হায় হায় একি কন্মখা করিলি এখন । দিয়েছি ঘোটক তোকে করিতে ভ্রমণ ॥
মস্নৰি । ১২৭
সেই কুলটার সঙ্গে করিবে প্রণয় |:
এই জন্য ভোকে' আমি দিয়েছি কি হয় ॥ আমাকে ছাড়িয়া তুই করিস্ গমন | গোপনে গোপনে হয় প্রেম সম্পাদন ॥ পুর্বেতে কি কর্যেছিলে এই অঙ্গীকার অবশ্যই প্রতিফল পাইবে ইহার ॥ রজনীতে সুখে খত করোছ ভমণ |
বহু দিন সে সকল করিবে স্মরণ ॥
আপন প্রেমের কল দেখিবে সত্বরে। থাক থাক ফেলিতেছি কুপের ভিতরে ॥ জীবন বিনাশ করো ফল নাই তায়। আমি কি করিব তোর ভাগ্য এই চায় ॥ সর্ধদ! থাকিবে বদ্ধ বিপদের কুপে।
যে ৰপে হেঁসেছ অগ্রে, কাদিবে সে ৰপে ॥ এই কথ! বল্যে পরে অতি ক্রোধ মনে । অবিলম্বে ভাকাইল দৈত্য এক জনে ॥ বলিল তাহার প্রতি এ ৰপ বচন।
ইহ।র রোদন তুমি করোযো না শ্রবণ ॥ কষ্টের প্রান্তর ভূমি"রয়েছে যথায়। ইহাকে লইয়া তথা যাও হে ত্বরায় ॥
১২৮ মীর হসন কৃত
ক্েশের যে কুপ আছে তাহার ভিতরে । কয় মোন শীলা আছে তাহার উপরে ॥ ইহাকে করিয়ে বন্ধ তাহার ভিতরে । সেই শীল? দিয়ে দ্বার বদ্ধ করোযো পরে ॥ সন্ধ্যা কালে কিছু খাদ্য খাওয়াবে কেবল। পান করাইবে মাত্র এক পাত্র জল ॥ ইহা ভিন্ন বাছা চাবে তাহ নাহি দ্দবে। এই ৰূপ নির়মেতে প্রত্যহ রাখিৰে ॥ হঠাৎ হইলে এই বিপদ্ ঘটন |
ভয়ে যেন যুবকের উড়্যে গেল মন ॥
এই কথ শুনে দৈত্য নিকটে আনিয়া । ধরিয়া তাহার হস্ত চলিল উড়্িয়! ॥
এ বূপ ছুর্ভগ্য কাল কর্যে দরশন ॥ নিশ্বাস ছাড়িয়া তিনি করেন রোদন ॥ কাফ্ নামা পর্বতের পথ সন্নিধানে । বিপদের কুপ এক ছিল সেই স্থানে ॥ তাহাকে লইয়। দৈত্য যাইয়া তথায় । সেই কুপে বদ্ধ কর্যে রাখিল ত্বরায় ॥ কুপ মধ্যে বন্ধ হল্যে রাজার সন্ভান। অতিশয় বৃদ্ধি হল্যো সে কূপের মান ॥
“মস্নাবি। কুপের হইল যেন সৌভাগ্য বিশেষ !: পুর্ণচন্দ্র তায় যেন করিল-প্রবেশ 1 'কুপের অত্যন্ত শোভা হইল তখনি । হইলেন তিনি তার নয়নের মণি ॥ অন্ধকার কূপ হল্যে। চারু কান্তি ময়। ফণীশিরে মণি যেন রজনী সময় | তাহার চরণ স্পর্শ হল্যে মৃত্তিকায় | পরিপুণ হল্যো কুপ অত্যন্ত চিন্তায় ॥ যে কিছু সলিল ছিল কূপের ভিতরে | বিস্ময়েতে সমুদায় শুখায় ত্বরে ॥ প্রস্তরেতে বদ্ধ হল্যে সে কুপের বার । রহিল না তথা আর বায়ুর সঞ্চার ॥ ছট্ফট্ করে মন থাকিয়া থাকিয়া | ভয়েতে তাহার প্রাণ উঠিল কীপিয়া । কখন যে যায় নাই গৃহের বাহিরে । সেজন আবদ্ধ হল্যো এপ তিমিরে ॥ দেখিতে না পান পথ করিতে গমন । সমুদায় অন্ধকার দেখিজ নয়ন ॥. : বার বার উচ্চ স্বরে করিয়া ক্রন্দন. চারি দিকে শিরাঘাত করেন তখন &
ট,
১৩০ মীর হসন্ কত
ডাকিলেন বাঁকে তাকে হহ্ম! কাতর | . সেদিকেতে আসিল না কোন পান্থ নর ॥ বন্ধু কি আত্মীয় কেহ ছিল না তথায়। কেবল ঈশ্বর মাত্র ছিলেন সহায় ॥ অন্ধকার কুপ যেন হল্যো মিত্রবর | আত্মীয় হইল তথ ঘ্বারের প্রস্তর ॥ পবনের গতি নাই বদ্ধ আছে দ্বার। কি কপে হইবে তথ। শব্দের সঞ্চার ॥ কুপের ভিতরে শব্দ করিলেন যত । অন্যেতে কি বপে তাহ। হবে অবগত ॥ নিরন্তর সহযোগী হইল সে কুপ। যে প্রকার শব্দ শুনে বলে সেই কপ ॥ কুপের সঙ্গেতে যেন হয় আলাপন । অন্ধক।র ভিন্ন কিছু নহে দরশন ॥ ছুর্জানের মন তুল্য মন্দ অবিকল । নরক হইতে মন্দ ছিল সেই স্থল ॥ নিশির তিমির আর দিনের শ্রভাব। এ ছুয়ের ভাব সদা তথার অভাব ॥ ভুঃখবপ অন্ধকার হয়ে ঘোরতর 1. সেই স্থানে বিদ্যমান আছে ,নিরজ্তর ৪.
অস্নধি।
চিন্তা ছুঃখ প্রেম আদি করিয়া তক্ষণ। জীবিত থাকেন কুপে রাজার নন্দন ॥ “আপনার শরীরের শোণিত সফল |. পানের সময়ে যেন তাই হৈত জল ॥ হায় সে হুঃখের কথা কি করি বর্ণন। লেখনী মসির ছলে করিছে ক্রন্দন ॥ সেই কুপ কূপ নয় বিপদ্ সমান । দুঃখ শোক যাতনার সক্ষাৎ নিশান ॥ সংক্ষেপে হইল শেষ এ শোকের কথ। এই ৰূপে বেনজির থাঁকিলেন তথা ॥ সে কুপ হইতে তিনি পান পরিত্রাথ। এ ৰূপ উপায় কিছু নাহি হয় জ্ঞান ॥ পরম জ্বর প্রভু করুণা আধার । দেখা যাক কোন্ দিন করেন উদ্ধার ॥ এই পে কারাবদ্ধ হল্যে বেনজির । বদ্ত্রম্ুনির হল্যে। অত্যন্ত অস্থির ॥ পরল্পর ছুই মনে প্রেম হল্যে পর । একের অসুখে হয় অপরে কাতর ॥ সেখানে তাহার যত্ত ছুঃখ ভোগ হয়। এখানে ইহার তত শোকের উদয়
১৩১
১৩২ মীর হসন্ক্কৃত
সেখানেতে প্রাণ যত হয় ওক্ঠাখত। এখানে ইহার মন ব্যাকুলিত তত ॥ -
কয় দিন না আসায় রাজার কুমার । সুন্দরীর চক্ষু সদ! দেখে অন্ধকার ॥ নজ্সুন্নেসাকে করোযে প্রিয় দত্তাবণ | বদ্রেষুনির বলে এ সপ বচন ॥
ফি স্বটন] ঘটিয়াছে বন্ধুর উপর ।
কে আর জানিবে তাহ জানেন ঈশ্বর ॥ এই কথা শুনে বলে মন্ত্রীর সম্ততি। কর্তিতৃমি পাগলিনী হয়্যেছ সম্প্রতি ॥ তোমার উপরে সেত প্রমাঁসক্ত নয়। কাঁষেই বলিতে হয় তাহার কি ভয় ॥ সেকি কাঁষ্যে আছে তাহা জানেন ঈশ্বর । ভাল নয় তুমি হও এ ৰূপ কাতর ॥
“ থেক্যে থেক্যে সে তোমার হরিতেছে মন। বৃথায় ব্যাকুল তুমি হক্স্যো না এমন ॥
তার সঙ্গে ছন্দ কর ঘবন্দ্ী যেই হয়।
তাঁর সঙ্গে প্রেম কর যে করে প্রণয় ॥
গণন। করিয়। কর ভাল মন্দ'জ্ঞান । আপনা আপনি তুমি হও সাবধান ।
মস্ন্বি। ১৩৩
মন্ত্রীর কন্যার মুখে শুনে এই কথা । সুন্দরী নিরব হল্যো মনে পেয়ে বাথা ॥ মনে মনে অতিশয় হইল কাতর । তাহার কথায় কিছু দিল ন1 উত্তর এ কপে কয়েক দিন গত হলে পর। ক্রমেতে লাবণ্য হীন হয় কলেবর ॥ পাগলের ন্যায় হযে চারি দিকে যায় । গড়াগড়ি দেয় গিয়ে বৃক্ষের তলায় ॥* প্রণয়-বিরহে প্রাণ হয জ্বালাতন । ভয়ঙ্কর স্বপ্ন কত করে দরশন ॥ মনেতে করিল ঘর বিরহের স্বর | মুক্ত! তুল্য অশ্রু পাত হয় নিরস্তর ॥ অত্যন্ত বিরক্ত জ্ঞান আগ্রন জীবনে | ছল করো সর্বদাই থাকিত শয়নে ॥ বিয়ে গ-স্বরের তাপে কাপিতে কাপিতে । একাকিনী সুখ ঢেক্যে লাগিল কাদিতে ॥ নাই আর হাস্যালাপ পুর্ধের মতন । নাই সেই পান ভোগ নাই সে ভোজন ॥ ষে খানেতে বস্যে আ'র উঠিতে না চায়। দিব। নিশশী হয় ক্ষীণ প্রণয়-চিন্তায় |
ড
৩৪ মীর হসন্ কত
উঠ ওগো ঠাঁকুরাণি ! কেহ ঘদ্ধি বলে | চল ভবে যাই বল্যে উঠে শীন্ঘর চলে ॥ (কেহ বা জিজ্ভাসা যদি করিত এমন । কি প্রকার অবস্থায় রয়েছ এখন ॥ যুবতী বলিত তায় এ ৰপ বচম।
যেমন দেখ্যেছ ভূমি, রয়্যেছি তেমন ॥ কেহ যদি কোন কথা করিত প্রচার । তবেই উত্তর কিছু করিত তাহা ॥ দিবসের কোন কথা জুধাইলে পর । বলিয়। রাত্রির কথ! করিত উত্তর ॥ কেহ যদি স্থধাইত করিবে ভোজন । তবেই বলিত কিছু কর অনৈয়ন ॥
কেহ যদি সুধা ইত করিবে ভ্রমণ | বলিত বেড়াতে আর নাহি চায় মন ॥ পান করাইয়া দিলে হৈত জল পান । ফলত পরের বশে ছিল তার প্রাণ ॥ মনেতে প্রেমের ঢেউ উঠে বার বার ॥ পান ভোঁজনের জ্ঞান ছিল না তাহার। কুহ্থমের কেয়ারিতে শ্রন্ধা'নাই আর । করিত ন। পুষ্প শ্রতি অপাঙ্গ বিস্তার ॥
সস্নবি | ১৩৫
সেই প্রিয় বান্ধবের প্রির কলেবর | নয়নের অগ্রে যেন ছিল নিরন্তর ॥ . তটাহারি সঙ্গেতে যেন হইত সম্তাষ। সর্বদা! শোকের পুঁথি সম্মুখে প্রকাশ ॥ কবিতা পাঠের ষদি হৈত আলাপন । হসনের এই পদ্য পড়িত তখন ॥ “বিপদ্ ঘটায় এ ষে কেমন প্রণয় ! আমা হৈতে হরোযে লয় আমার হৃদয় ॥ মনচেোর মিলাইয়া দ।ও পরমেশ !। নতুবা আমার প্রাণ হয় বুঝি শেষ ॥ নয়নে যে বহে নীর দোষ নাই তার। আমাকে ডুবাল্যে কিন্ত মানস আমার ॥ সে কপ হীসায় নাই বত গ্রহ গণ। যার পরিবর্তে এত কাদায় এখন ॥ বিপক্ষের দোষ নাই শুন হে হসন্ | আমাকে আমার বন্ধু করে জ্বালাতন ॥ গজল্ রোবায়ি কিন্বা ফর্দ যদি হয়। মিষউভাষে এ.সকল পড়িবে নিশ্চয় ॥ চর্চা যদি হয় তবে কছ্ব্যো৷ অধ্যয়ন । নতুবা তাঁহার পাঠে নাই প্রয়েজন ॥ ২ড
১৩৬ .. মীর হসন্ক্কৃত :
যে হেতু মনের মধ্যে সকল ব্যাপার । মনোযোগ না থাকিলে কি কল কথার ॥ নিজ প্রাণ ব্যাকুলিত হয যে সময় । রোবাযি গজল্ আদি কোথার বা রয় ॥ ৮ ্পটিও (১০৫ বদ্রেমুনির বিরহে ব্যাকুল হইবা হসন্বাইকে আব্বান করে, তাহার বৃতীন্ত | কলির বৌতল ভুমি আনিয়। ত্বর য় । কেতকীর মদ্য সাঁকি দাও হে আমায় ॥ পুষ্পপাত্রে দ1ও মদ অহে প্রিয় জন। স্গর'পানে সুখী হয়ে দেখি উপবন ॥ বিশেষ বৃভ্ভান্ত বাল শুন অতঙ্পরে । সুখ ছুঃখ দুই আছে সংসার ভিতরে ॥ --এক দিন নিদ্রা শেবে সকাঁতির মনে । সুন্দরী বলিল আমি যাৰ উপবনে | তাহার স্রন্দর শোভা করো দরশন । পুষ্পের কলির ন্যায় ফুটে যদি মন ॥ যেহেতু দারুণ শোক হয়্যেছে উদয় । অত্যন্ত কাতর হল্যো ভাহাতে হৃদয় ॥
মস্নবি | ১৩৭
পু্প হতে আসিতেছে বন্ধুর আত্রাণ | এই হেতু তথা যেতে ইচ্ছ৷ করে প্রাণ ॥ তদন্তর হস্ত ম্বুখ কর্যে প্রক্ষালন। বিকালে সুন্দরী যায় করিতে ভ্রমণ ॥ পান্নায় নির্মিত মোড়া ছিল পুম্পৰনে | সুন্দরী তথায় গিয়ে বসিল যতনে ॥ জান্ুমধ্যে এক পদ করিয়। স্থাপন । মোড়াতে ঝলায়্যে দিল অপর চরণ ॥ রক্তবর্ণ পদতল অতি চমৎকার । মেহদির রক্ত রস তুল্য নয় তার ॥, স্থবর্ণের মল শোভে স্থচারু চরণে |: তরুণ অরুণ যেন জ্ঞান হয় মনে ॥ অঙ্ুলিতে স্তুবর্ণের অঙ্গুরী ভূষণ। : মখ্মলের ধারে যেন জরী সুশোভন ॥ তখনি জাগ্রত হয়্যে এসেছে তথায় । নিদ্রায় নীরস মুখ তাও শোভা পায় ॥ নরনে নিদ্রার ঘোর আলস্য সঞ্চার । শরীরে যৌবন শে(তা অতি চমৎকার ॥ বিধিমতে সুগ্রকাশ যৌবন সময় ।
মনোহর *্পয়োধর হৃদয়ে উদয় ॥ ২০ ড
১৩৮ মীর হসন্ ক্কৃত
স্থৰূণে হইয়া মত্ত করোয অহঙ্কার । আপনার অবয়ব দেখে বার বার ॥ দাড়াইয়! ছিল দাসী হ্ঁকা লয়ে করে। লালাকুল ছিল সেহ স্থকার ভিতরে ॥ কাচের নির্টিত হুক! তাহে রত্রময় | সুন্দর জরীর নল শোভা অতিশয় ॥ নলের সুন্দর পাক শোভে এ প্রকার | অন্য শোভ। তুচ্ছ হয় নিকটে তাহার ॥ স্ুখনল মুখে দিয়ে করে ধুম পান ।
সেই ধুঁয়া দরশনে হয় এই জ্ঞান |
বিরহ অনলে জ্বলে জীবন তাহার |
সেই ছলে তার ধুয়। করে পরিহার ॥ থেক্যে থেক্যে ৰপব্ৃতী চারি দিকে চায় । রয়েছে তথায় যেন কারে। অপেক্ষায় ॥ সুন্দরীর চারি দিকে থেকে দাসী গণ । আপন আপন কন্ধম করে সম্পাদন ॥ ময়ুরছল্ ধরোযে কেহ, কেহ পিকৃদান। কারে। হস্তে পুম্পপাত্র কারে হস্তে পান ॥ স্বতাৰবত সকলেই প্রকুলপ অন্তর |
বেশ ভুষা সমুদয় ছিল মনোহর ॥
মঙ্নবি 1 ১৩৯
লজ্জিতের ন্যায় হয়ে বিনত নয়নে | বিধিমতে দ্ীড়াইয়৷ ছিল দ।শী গণে ॥ ভঙ্গিভাবে তারা যাকে করে দরশন। একেবারে বিমোহিত হয় তার মন ॥ চৌকীর উপরে বস্যে সহচরী গণ। সুন্দরীর চারি দিকে কর্যেছে বেষ্টন ॥ তাহাতে যে কপ শোতা বল। নাহি যায়। নক্ষত্রের মাঝে যেন শশী শোভা পায় ॥ তাহার বিচিত্র ৰপে শোতে উপবন। তাহাই দেখিছে যেন যত পুষ্প গণ ॥ উদ্যান উজ্জ্বল কপ ধরোযেছে তাহায়। শোভ] পায় কলি আর পুষ্প সমুদায় ॥ আতরেতে পরিপুণ ছিল অবয়ব তাহাতে দ্বিগুণ ম্্রাণ ধরে পুম্প সব ॥ ব্যাপিল নারীর ৰূপ উপবন ময়।
তাহা দেখ্যে লালীফুল হীনবর্ণ হয় ॥ গোলাব্-ফুলের ন্যায় হল্যে লালাফুল। মল্লিকার ন্যায় হল্যো গ্রোলাপের কুল ॥ রৃক্ষেতে ৰকপের জেশাতি পড়িল যখন । ধরিল দ্বিগুণ কপ যত পত্র গণ ॥
১৪০ মীর হসন কৃত
সুন্দরীর অধিষ্ঠীনে উপবন ময়।
অতি অপৰপ শোভা হইল উদয় ॥ উপবন সেই শোভা! দেখিয়া নয়নে | দ্নেখিতে না চায় যেন নিজ পুষ্প গণে ॥ একত্র হইয়া বূলে পুষ্প সমুদয় । উদ্যানের প্রাণ ইনি এই জ্ঞান হয় ॥ তথ।কার দ্বার ভিত হইল বিস্ময় । সেই কৰপ সকলের হল্যে মনোময় ॥ ইতিমধ্যে পবতী ভাবি কিছু মনে । বলিল এবধপ কথা সহ্বর-বচনে ॥ কোথ। দাসি! শীঘ্র তথা করিয়া গমন । হসন্বাইকে হেথা কর আনয়ন ॥ উত্তম সময় এ যে শোভা অতিশয় । করুক সঙ্গীত চর্চা! এমন সময় । অত্যন্ত বিরক্ত ভাবে রয়্যেছি এখন | তাহ হল্যে যদি কিছু সুস্থ হয় মন ॥ কোন মতে সুস্থ নয় আমার হৃদয় । থেক্যে থেক্যে প্রাণ যেন জ্বলে অতিশয় ॥ ইহ শুনে এক দাসী করিয়া গঙ্গন। হসনবাইকে শীঘ্র ডাকিল তখন ॥
সস্নবি।
আসিতে লাগিল বাই এমন শোভায়। সকল লোকের প্রাণ মুগ্ধ হয় তায় ॥ মাদকেতে মত্ত হয়্যে কর্যেছে গমন । রীতিমত ভুমিতলে পড়ে না চরণ ॥ মাদকের মত্ততায় উষ্ণতা উদয়। তাহাতে হয়েছে মুখ রক্তবর্ণ ময় । চিকুর পড়েছে তার মুখের উপর । শশাঙ্গের চারি দিকে যেন জলধর ॥ রে উপরে শোভে স্রন্দর মঞ্জন। দাথুলে তাহার শেভা যুদ্ধ হয় মন ॥ কাণে তর কাণবাল। রয়েছে কেবল । অবিকল তাহা যেন চন্দ্রের মণল ॥ মনোহর পেশ্ওয়।জ পরিধেয় তার। নর্ণেশ্ কুস্থমের শোভা ময় হার ॥ কিম্খাব্ বস্ত্রেতে তার আবৃত চরণ। তাহার শৌভায় পদ অতি সুশোতভন ॥ বেঁধেছে চুলের কটি মস্তক উপরে । পীতবর্ণ শাল কিবা শোভে কলেবরে ॥ কঝঁপাইয়া কটিদেশকরোযেছে গমন | গতির ভন্গিমা আর না দেখি তেমন ॥
ছি চে
২৪২. মীর হসন্ কৃত
শব্নমের ক্াঁচলিতে শোভে পয়োধর। জরী যুক্ত ধার তার অতি মনোহর ॥ মেহদি রঞ্তিত ছিল যুগল চরণ।
তে ড়া ছড়া অলঙ্কার তাহে স্গুশোভন ॥ এক এক পদে আছে ছুই ছুই মল । স্বর্ণ নিশ্মিত তাহা সহজে বিমল ॥ তলে ধর্যে পেশ্ওয়।জ্ ভ্রতগতি য়ে ॥ মলে মলে যোগ হয়ে শব্দ হয় তায় ॥ তাহাতে তাহার শোভা হইল এমন ॥ দ্ষ্ট মাত্রে মুগ্ধ হয় জগতের মন ॥ অপর কয়েক নারী সুন্দর আকার । নিজ নিজ সাজ লয়্যে সঙ্গে যায় তার ॥ এই বে ভঙ্গিভাবে যাইয়। ত্বরায় । সারি সারি হয়ে সবে দায় তথায় ॥ আসন পাতিত ছিল তাহার সম্মুখে । বসিল তথায় সবে মানসের মুখে ॥ গৌরী গাইবার আজ্ঞা হইল যখন। নিজ নিজ সাজ সবে করিল ধারণ ॥ পরে তব্লার তুর বাধিল এমন । প্রত্যেক চাঁপড়ে তায় হরে? লয় মন ॥
০০
মস্নবি। ১৪৩
গাইতে লাগিল টউপ্্পা এপ বিধানে । হরো লয় প্রাণ তার এক এক তাঁনে ॥ সঙ্গীতের ভাব আর তাহাদের বেশ। অপর সে আরামের শোভা সবিশেষ ॥ তাহার বুভ্তস্ত আমি কি বলিৰ আর। সে সময়ে হল্যো কিবা শোভা চমত্কার ॥ চারি দণ্ড দিন মাত্র থাকিল বখন।
তখন হইল হ্রাস সুষ্যের কিরণ ॥
কোন স্থানে তরুছায়া শোতভার আকর। কোন স্থানে কিছু কিছু দিবাকর-কর ॥ কোথাও ধানের তরু চারু ভুশোভন। সর্ষপের ফুল কিব! হরিতেছে মন ॥ পাদপের অবয়ব স্থব্ণ মণ্ডিত।
কোন কোন তরুদেহ রজত রঞ্জিত ॥ প্রস্ফুটিত লালাকুল শোভে অতিশয় । হাজারা ফুলের কপ বর্ণন না৷ হয় ॥ তথাকার যাবতীয় ভিত আর দ্বার । হয়েছে হয়েছে সব আরক্ত আকার ॥ অন্তগামী আদিত্যের আরক্ত কিরণ । তাহার আভায শোভে বত তরু গণ ॥
১৪৪ মীর হসন্ কৃত
অতিশয় শোভ। পায় ফোয়ারার জল। বৃক্ষেতে বসিয়। ডাকে বিহঙ্গ সকল .॥ কোন স্থানে ঝাউ গাছ কোথাও লহর । লহরে জলের ঢেউ বহিছে সুন্দর ॥ ধারে ধারে নওবৎ বাজে নানা মত । দ্র হৈতে তার শব্দ হয় কর্গণত ॥ স্বন্দরী কামিনী বত নাচিছে সেখানে | উঠিছে মধুর স্তর তাহাদের গানে ॥ হৈতেছে গৌরীর তান অতি পরিপাটি । মাঝে মাঝে চলিতেছে তব্লার চাটি ॥ নাচিতে নাচিতে তার। করে দিয়ে কর। মর্দন করিছে যেন লোকের অন্থর ॥ তালে তালে পদাদ্বাত করিছে এমন । থেক্যে থেক্যে ছ্ুলে ছুলে উঠিছে দামন ॥ এব প মধুর ভাব করো দরশন |
কেবল মোহিত নহে মানুবের মন ॥ পশু পক্ষী আছি যত জন্ত সমুদয় | সকলেই হইতেছে মোহিত হৃদয় ॥ সঙ্গীত শ্রবণে হয়্যে বিমোহিত কয় । যে ষথা দড়ায়্যে ছিল রহিল তথায় ।
মস্নবি | ১৪৫
যে জন যে খানে থেক্যে শুনিল সঙ্গীত । সে খানে রহিল সেই হইয়! মোহিত | পশ্চাতে যে জন ছিল পশ্চাতে সে রয়। অগ্রেতে যাইতে তার শক্তি নাহি হয় ॥ যেখানে যেবস্যেছিল রহিল তথায় । এমন না ছিল শক্তি উঠ্যে চল্যে যায় ॥ নর্গেস্ ফুল যেন মীলিয় নয়ন । তথাকার চারু শোভা করে দরশন ॥ কুস্থম সকল যেন তুল্যে নিজ কাণ। মনোযোগ করো সুখে শুনিতেছে গান ॥ ছুলিতেছে তরু যেন সঙ্গীতের ভাবে। দাড়াইয়। আছে ঝাউ অচল স্বভাবে ॥ রুক্ষের উপর হৈতে পক্ষীগণ যত। ক্রমে ক্রমে ভূমিতলে পড়ে অবিরত ॥ তথাঁকার সমুদায় দ্বার আর ভিত । স্থির তাবে আছে যেন হইয়া মোহিত ॥ যাবতীয় কুম্রি পাখী প্রফুল অন্তরে | সঙ্গীত অ্রবণে সবে সুখে রব করে ॥ বুল্রুল্, গানের ভাবে করিছে ক্রন্দন । সেই জলে পুর্ণ যেন হল্যো উপব্ন।
1৪
১৪৬ মীর হসন কৃত
লহরের ধারে ছিল শিলা সমুদায়। দ্রব হয়ে তার! যেন জল হয়্যে যায় ॥ সঙ্গীতের ভাবে যেন হইয়া বিহ্বল । উথল্যে উঠিল সব ফোয়ারার জল ॥ জগতের মধ্যে গান কিবা মধুময় | বাহার মধুর ভাবে শিল জল হয়॥ সঙ্গীতের সদালাপ হইল এমন । বিস্ময়ে নিমগ্ন হল্যে সকলের মন ॥ বদরেমুনির হয়্যে বিরহে কাতর । হায় হায় এই শব্দ করে নিরন্তর ॥ "মরণ করিয়া মনে নিজ জ্রিয় জন। বদনে বসন দ্য়। করিল রোদন ॥ সঙ্গীতের সমীরণ বহিল এমন । দ্বিগুণ জ্বলিল ভাঁয় বিরহ দহন ॥ বলিতে লাগিল পরে সখেদ বচনে । রুথায় আমোদ করি এসে উপবনে ॥ হায় হায় কাছে নাই সেই জ্রিয় জন। স্মরণ মঙ্গল তার হইল এখন ॥
সেই জানে যেই জন কর্যেছে প্রণয় । শ্রিয় না থাকিলে বন অগ্নিতুল্য হয়॥
মস্নবি | ১৪৭
বিরহ ভাবনা যার পিছে পিছে রয় । কখন কি তাঁর মন সন্ভোধিত হয় ॥ দুঃখের দারুণ শুল থাকে যদি মনে । কণ্টক সমান জ্ঞান হয় পুষ্প গণে ॥ যার মনে প্রিয় জন সদা দীপ্তি পায়। সেও কি মোহিত হয় রুন্ষের শোভায় ॥ “আপনার প্রেমিকের তত্ব নাই যার । সে জন পুষ্পের শোভা কি দেখিবে আর ॥ এই বল্যে তথ! হৈতে করিয়া গমন। ,পধ্যঙ্ক উপরে গিয়ে করিল শয়ন ॥ গমনের পরে তার যত দাসী গণ | কে কোথায় একেবারে করিল গমন ॥ _-এ সকল দেখ্যে আমি হয়েছি বিস্ময় । একেবারে বুদ্ধিহীন হয়্যেছে হৃদয় ॥ অহে জগদীশ ! এই সংসার উদ্যান. কর্যেছ করেছ তুমি কেমন বিধান ॥ ক্ষণে ক্ষণে রীতি সব পরিবর্ত হয় । এখনি যা হয় তাহা পরে নাহি রয় ॥ ক্ষণে শীত ক্ষণে হয় ধসন্ত সময় দিব! রাত্রে সংসারের এক রীত নয় ॥ ২
১৪৮ মীর হসন্ কৃত
বেনজিরের বিরহে বদ্রেমুনির যেৰপ ব্যাকুলিতা হয়, তাহার বণন। স্পা টরিটি৩০৮
অহে সাকি ! মদ্য দাঁও হইয়ে সত্বর | রজনীর ব্যবধানে গেল দিবাকর ॥ বিরহের নিশি ক্রমে হইল উদয় । বিরহীগণের যেন ঘটিল প্রলয় ॥ সুন্দরী শয়ন করো পত্্যন্ক উপরে । বলিল সকলে যাও গৃহের অন্তরে ॥ বিরহ চিন্তায় হয়্যে ব্যাকুলিত মন | একা কিনী হয়ে করে অত্যন্ত রোদন ॥ ক্রমে ক্রমে হল্যে। তার এত অশ্রপত ॥ সেই জলে মুখ ধৌত করিল প্রভাত ॥ -প্রভাতেঞ্জধ মদ সাকি ! দাও হে এখন কেদে কেঁদে করিলাম যামিনী ষাঁপন ॥ শোঁককপ দিবাকর হইল উদয় । ওদাস্যের দিন ক্রমে প্রকাশিত হয় ॥ --পরে সেই বকপবতী লইয়া দর্পণ । বদনের প্রতিবিষ্ব দেখিল ষখন ॥
সস্নবি | ১৪৯
একেবারে অভিভূত হইল হৃদয়। চিত্রের সমান থাকে হইয়া বিষ্ময় ॥ দেখিল সমস্ত দেহ হর্যেছে এমন ॥ কেহ যেন করিয়াছে ইহা নিম্পীডুন ॥ পরেতে গগণে করো নয়ন নিৰেশ। বিলপ করিয়! মনে স্মরে পরমেশ ॥ এই ৰপে মনে মনে কর্যে অনুযোগ । এ দিক ও দিকে পরে করে মনোযোগ ॥ বদন হইতে হর বচন প্রকাশ । কিন্ত তার নিরন্তর অন্তর উদাস ॥ ভাল্নন্দ বিবেচনা ছিল না তাহার । স্বভাবে অভাব যেন উন্মাদ আকার ॥ নাহি দেখে এক বার আপন শরীর । বেশ হীন হইয়াছে মুখ আর শির ॥ শিরে নাই-আবরণ দুঃখ নাই তায়। সুমলিন কুর্তি আছে কাচলি কোথায় ॥ দুদিন দিয়েছে মিশি দাতে আছে তাই। নাই নাই সে কেশের কিছু বেশ নাই ॥ সুচারু হৃদয়ে তার নাই আবরণ। বোধ হয় বুক যেন হল্যো বিদারণ ॥ ৩ড
১৫০ মীর হসন্ কৃত
অতিশয় স্খময় প্রভাত সমর | তাহার পক্ষেতে যেন হল্যো শোক ময় ॥ অগ্রনের আবশ্যক ছিল-ন' তাহার । নয়নাগ্রে শোক-সন্ধ্যা সদ।ই প্রচার ॥ স্থন্দরী গণের একি ভাব মলোহর । ছুঃখেও দ্বিগুণ শোভা? ধরে কলেবর ॥ এ ৰপেও ৰপৰতী বপহীন নয় ।
মন্দ হয়ে থাকিলেও ভাল জ্ঞান হয় ॥ সেৰকপবিৰপ নয় হছুঃখের সময় । ভালোর সকলি ভাল জানিবে নিশ্চ্ ॥ শোকে তার কপালের মাংস সমুদায়। কুঞ্চিত হইয়া? যেন তাঁও শোভ। পায় ॥ এমন শ্রন্দর শোভা হইতেছে তায় । মদের নদীতে যেন ঢেউ চল্যে যায় ॥ শোঁক-জলে পরিপুর্ণ নয়ন যুগল |
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুক্ত যেন আছে অবিকল ? বিরহের জ্বরে গাল হয়েছে এমন । বিকালে যে ৰপ হয় লালাফুল গণ ॥ আবরণ দেওয়া নাই বুকের উপরে । তাহাতে হৃদয় যেন চারু শোভা করে ॥
মস্নবি । ১৫3
এ প্রকার পরিষ্কার ছিল সে হৃদয় । সুখের প্রভাত যেন হয়েছে উদয় । কুশতায় পীতবর্ণ হয়েছে বদন । ভাবনার দীর্ঘ শ্বাস বহে প্রতি ক্ষণ ॥ তাহ।তেও চারু শোভা হয়েছে এমন | জ্যোতন্নায় বহিছে যেন শীতল পবন ॥ উপ বেনজিরের অদশনে বদরেমুনির ব্যাকুল! হয় এবং নজ্মুননেসা তাহাকে প্রবোধ দয় তাঁহার বণ্ণন। আহে সাকি ! শুন তুমি আমার বচন | সত্বরে উত্তম মদ্য কর আনয়ন ॥ _-পরে সেই ৰপবতী বদ্রেমুনির | বিরহের ফাঁদে পড়ে হইল অস্থির ॥ একে অপৰপ ৰূপ তাহাতে বৌবন। তাহাতে এ কপ শোক হইল ঘটন ॥ এমন যাঁতনা দেখো দেহ ভয় ভেদ । কি খেদ কি খেদ ইহ] কি খেদ কি খেদ ॥ বসিবার কালে হয়ো অত্যন্ত কাতর । অন্ুধে নিশ্বাস ত্যাগ করে নিরন্তর ॥
১৫২ মীর হসন্ কৃত
তাহ! দেখ্যে এই ৰপ হৈত নিকপণ । ন্ধুখের শরীর তাই হৈতেছে এমন ॥ স্দণে ক্ষণে অতিশয় করিত রোদন । অন্যকে দেখিব। মাত্র মুছিভ নয়ন ॥ আপনার সব্িগণে ভুলাইয়! ছলে । একাকিনী বস্যে গিয়ে পাঁদপের তলে ॥ সন্ধ্য। কালে বেনজির কর্যে আগমন । যে বৃক্ষের অন্তরেতে হৈতেন গোপন ॥ দিবসের শেষ ভাগে তথায় যাইয়া | সারার পর্যন্ত নিত্য খাকিত বসিয়া ॥ এই দ্ধপে এক মাস হইল যাপন ।
দৃষ্টি গত হইল না সেই প্রিয় জন ॥ ক্রমে ক্রমে কপ হীন হল্যো কলেবর । মনের অস্গখে বস্যে কাদে নিরন্তর ॥ সময় বাপন হয় সকাতর মনে । বিরক্তি প্রকাশ করে শয়নে ভোজনে ॥ প্রেমের মত্ততা ক্রমে হইলে উদয় । উন্মাদের ন্যায় হলো তাহার হৃদয় ॥ নিকট হইতে লজ্জা করিল প্রস্থান | প্রেমেতে বুদ্ধিতে হল্যো সমর বিধান ॥
মস্নবি | ১৫৩
সর্ধবদ। নিরব হয়ে রহিল তখন!
দিন দিন ভুর্ববলত!| করে আক্রমণ ॥ এপ অবস্থা তার দেখিয়া নয়নে । মন্ত্রীর তনয়। তারে বলিল বনে ॥ বদ্রেমুনির ! তুমি ছিলে গো এমন | করিতে সকল জনে বুদ্ধি বিতরণ ॥
এখন কোথায় গেল সেই বিবেচনা । মুগ্ধ হয়ে কেন কর এপ শৌচনা ॥ বিদেশীর সঙ্গে কেহ করে কি প্রণয় । যোগী কি কখন কারো প্রিয় জন হয় ॥ তাঁহার! ছু চারি দিন থাকে প্রেমময় । প্রথমেতে করে প্রেম শেষেতে ন। রয় ॥ এক স্থানে নাহি থাকে নানা স্থানে যায়। যখন যে খানে বম্যে তখন তথায় ॥ ওগো দিদি! কি কথায় এত ভুলে রও | পাঁগলিনী কেন হও নিজ তত্ব লও । ওগে। প্রণয়িনি ! আমি বলি শুন তবে। যেজন আমার প্রতি প্রেমাসক্ত হবে ॥ প্রথমেই সেই জন অতি অকপটে । দ্রবেই আপন মন আমার নিকটে ॥
১৫৪ মীর হসন্ কৃত
সে আসক্তজন যদি না হয় আমার। আমিও ভাহার চেক্টা করিব না আর ॥ পরীকে লইয়! সুখী হবে সেই জন। * বৃথা তুমি বস্যে আছ তাকে দিয়ে মন ॥ যদি.সেই প্রিয় জন চাঁছিত তোমায় ।
তবে কি অদ্যাপি তাকে দেখা নাহি যায় ॥ ' বদ্রেমুনির পরে বলিল এমন । নজ্মুননেসা! শুন আমার বচন ॥
না কর কাহারো নিন্দা কাহারো গৌোচর। যেহেতু মনের কথা জানেন ঈশ্বর ॥
সে জন উত্তম লোৌক উত্তম অন্তর ।
জানি না কি ঘটিয়াছে তাঁহার উপর ॥ এত দিন গত হল্যে। এল্যো না যখন । তখন আমার মন ভাবিছে এমন ॥ কারাগারে বদ্ধ বুঝি হয়্যেছে তথায় । কিম্বা কোন কারণেতে আসিতে না পা ॥ দিবা নিশি এই ভয় হৈতেছে আমার ।
সে পরী না পেয়ে থাকে এই সমাচার ॥ বিপদে না৷ ফেল্যে থাকে সেই:প্রিয় জনে । কারাতে না রেখ্যে থাকে নিগুঢ় বন্ধনে ॥
মস্নবি | ১৫৫
কোপ যুক্ত হয়্যে পরী আপন অন্তরে । তাহাকে না ফেল্যে থাকে কোহকাফ্ ভিতরে । পরেন্তান্ হৈতে সেই প্রিয়কে আমার । বাহির না করো থাকে কর্যে তিরস্কার ॥ এ প্রকার ভয়োদয় হয় ক্ষণে ক্ষণে । নিক্ষেপ না করো থাকে দৈত্যের বদনে ॥ সহিতে পারিবু আমি তার অদর্শন ৷ প্রাণে যেন বেঁচে থাকে সেই প্রিয় জন ॥ এই বপে বহু খেদ করিয়া তখন । করিতে লাগিল পরে অত্যন্ত রোদন ॥ তাহাতে এ ৰপ অশ্রু পড়ে বার বার। গাথিতে লাঞ্চিল যেন মৌক্তিকের হার ॥ পরিশেষে বদনেতে দিয়ে আবরণ পধ্যঙ্কের এক ধারে করিল শয়ন ॥ স্পট (১৬০ কুপস্থিত বেনজিরকে বদ্রেমুনির স্বপ্সে দর্শন করে এবং নজ্মুন্নেসা যোগিনী হয়ঃ তাহার বৃত্তান্ত। মদের পিয়াল" সধকি কর আনয়ন । প্রকাশ হউক যত গুগু বিবরণ ॥
১৫৬ মীর হসন্ কৃত
সন্তোবে অন্যের কর্ম কর সমাধান । পরিশেষে এ সংসার স্বপ্পের সমান ॥ --সে ৰবপসী নিদ্বাগত হইল যখন বিপদে পড়েছে প্রিয় জানিল তখন ॥ ঈশ্বর-ইচ্ছায় স্বপ্ন দেখিল এমন |
শত্রও না দেখে যেন তেমন স্বপন ॥ এপ প্রান্তর এক দেখিল নয়নে | রোৌস্তম যাঁহাকে দেখ্যে ভীত হয় মনে ॥ নাই কোন পশু তথা নাই কোঁন নর। কেবল রয়েছে এক প্রকাণ্ড প্রান্তর ॥ কিন্তু এক কুপ আছে তাহার ভিতর । নিশ্বাস্র ধুঁয়। তায় বহে নিরন্তর ॥
তার মুখে দেওয়ীছিল এমন পাবাণ। লক্ষ লক্ষ মোন হবে তার পরিমাণ ॥ তাহ! হৈতে এই শব্দ হৈতেছে বাহির | কোথায় রহিলে তুমি বদ্রেমুনির ! ॥ তোমার বিরহ-কুপ অতি ভয়ঙ্কর । আবদ্ধ হয়েছি আমি তাহার ভিতর ॥ ক্ষণেও তোমাকে আমি ভুলি-নাই প্রাঁণ !। কি করি হয়েছে বড় বিপদ বিধান ॥
মস্নবি । ১৫৭
কারাগারে থেক্যে করি তোমাকে স্মরণ । সদ ভাঁবিতেছি আমি তোমার মিলন ॥ দেখাও যদ্যপি তুমি আপন বদন ৷ এ কারা বন্ধন তবে হয় বিমোচন ॥ কিছু মাত্র ভীত নই আপন মরণে। সংবাদি ন! পাবে তুমি এই'খেদ মনে ॥ তোমার দর্শন যদি পাই এ সময় | আমার পক্ষেতে তাহণ হয় সুখোদয় ॥ তোমার সাক্ষাতে হল্যে সৃত্যু সংঘটন। সেই মৃত্যু, মৃত্যু নয় তাহাই জীবন ॥ বৃথা আমি করিতেছি এপ মনন । মরণ না হল্যে পর ন। হ্ৰ মিলন ॥ দুই এক দিনে হবে মরণ বিধান । কুপেই বাহির হবে আমার এ প্রা ॥ বদ্রেমুনির শুনে এ কপ বচন । উত্তর করিতে তাঁর করিল মনন ॥ সিদ্ধ না হইল আশা! বিণ ঈশ্বর ॥ নাহি শুনাল্যেন তাকে তাহার উত্তর ॥ ইতিমধ্যে নিদ্রাভঙ্গ হইল তাহার । নয়নেতে অশ্রুপাত হয় বার বার ॥
ণ
১৫৮ মীর হসন কৃত
সেই কুপ সেই বন্ধু দেখিতে ন৷ পায় ।
সে ছঃখের কথ! আর শুনা নাহি বায় ॥ আপন বন্ধুর কথা শুনিয়া স্থপনে।
উঠিল ন্ষিপ্ডের ন্যায় অতি ছুঃখ মনে ॥ বলিল না কারো কাছে এই বিবরণ। প্রভাতের চন্দ্র তুল্য হইল বদন ॥ নয়নেতে অশ্রুপাত হইল এমন | জ্যোৎস্না ময় রাত্রে যেন শোতে তারা গণ ॥ চন্দ্রতুল্য মুখ হল্যে পীতবণ ময়।
সমস্ত শরীর যেন শোকের অয় ॥
বার বার শ্বীস ত্যাগে দেহ হল্যে। ক্ষীণ | ক্রমে ক্রমে সুখ শুক্ষ হয় দিন দিন ॥
এপ অবস্থা তার কর্যে দরশন।
চিত্রের সমান হল্যো যত দাসী গণ ॥ সঙ্গিনী গণের কাছে করিতে গোপন । করিল সে ৰপবতী অধিক যতন ॥ গোপন করিতে কিন্তু পারিল না তায়। যত্ব করো কখন কি অগ্নিঢাকা যায় ॥ কারে সঙ্গে কারে! হল্যে এণর স্থাপন । তাহার বিরহ যদি জে করে গোপন ॥
মস্নবি | ১৫৯
ভাহাতে তাহার ক্লেশ দূর নাহি হয়। দ্বিগুণ আগুণ তাঁয় জ্বলেই নিশ্চয় ॥ বিশেষ স্েহের পাত্রী বত সহচরী । যাহার! করিত সেব। দিবস-সর্বরী ॥ তাহাদের নিকটেতে করিয়৷ রোদন । প্রকাশ করিল সব স্বপ্ন বিবরণ ॥ শোকের পুস্তক পাঠ করিয়া যতনে । তাহাদিগে কাদাইল সখেদ বচনে । নজ্মুন্নেনা তাহা শুনিল যখন । শোকেতে হইল তার অস্থির জীবন ॥ বলিতে লাগিল আর করো না রোদন । সহিব সকল ছুঃখ তোমার কারণ ॥ সন্ধ।(ন করিয়। তাকে আনিতে সত্বরে । এই জন্য চলিলম প্রান্তরে প্রান্তরে ॥ যদ্যপি আমার দেহে থাকে এ জীবন । তবে এস্যে পুনর্ববার দেখিব চরণ ॥ তোমার বাঁল।ই লয়্যে যদি মরোয যাই। যায় যাবে এই দেহ তায় ক্ষতি নাই ॥ বলিল রাজার কন্যা"করোযে সম্বোধন । আঁমিত শে।কের কুপে ডুবেছি এখন ॥ ২৭
১৬০ মীর হসন্ কৃত
বৃথা হাঁরাঁও ন! প্রাণ অহে সহচরি !।. তুমি হল্যে নর জাতি সে ষে জেতে পরী ॥ কি ৰপে তোমার হবে তথা অধিষ্ঠীন । আমাকে ছেড় ন! তুমি হে আমার প্রাণ! ॥ জীবিত রয়েছি আমি এই গুত্যাশায়। নিকটে থাকিলে তুমি শোক দুরে যায় ॥ তা না হল্যে কেদে কেদে মরিব নিশ্চয় ।
এ ৰূপ যাতিন! পেল্যে জীবন কি রয় ॥
সে বলিল তবে আর কি করি উপায়। হঠাঁৎ বিপদ্ এসে পড়্যেছে মাথায় । জানি না এ প্রেমে হবে এত অমঙ্গল।, তোমার চিন্তায় আমি হৈতেছি পাগল ॥ তোমার এমন ক্রেশ দেখ! নাহি যায়। ধৈধ্য না ধরিতে পারি এ ৰূপ চিন্তায় ॥ এই বল্যে কেঁদে কেঁদে ফেলিল ভূষণ । পেশ্ওয়াজ খণ্ড খণ্ড করিল তখন ॥
অঙ্গ হৈতে অঙ্রাঁখা করিয়া মোচন ।
খণ্ড খণ্ড করোযে ভূমে করিল ক্ষেপণ ॥ কিঞ্চিত চেতনো দয় হল্যে তার পরে । যে।গিনীর বেশ ভূষা পরিধান করে ॥
মস্নবি | ১৬১
দেহে দিয়ে আবরণ গেরুয়ার খেষ। গমন ইচ্ছায় ধরে যোগিনীর বেশ ॥ কয় সের মুক্ত ভস্ম করিয়। সত্বরে। তস্ম বিলেপন করে নিজ কলেবরে ॥ জরীর লহেগ। পরে করিয়া যতন । করিল নিন্মল দেহ তাতে আচ্ছাদন ॥ জরীর চাদর বাধি হৃদ উপরে । ভদন্তরে আবরণ দিল পয়োধরে ॥ পান্নার ভূৰণ এক পরিল শ্রবণে। তৃণ আর পুষ্প যেন শোতে উপবনে ॥ 'অনেক বিচিত্র মাল! পরিল গলায় । আলু থালু করে পরে কেশ সমুদায়॥ জরীর বেষ্টন বস্ত্র দিল শিরোদেচশ | তাহাতেই অতিশয় শোভ?। হল্যে। কেশে ॥ পাক দেওয়া কেশ পড়্যে ক্কন্ধের উপরে । অশ্বের বল্গার তুল্য চারু শোত1 করে ॥ চিন্তা-মদে ছুই চক্ষু করিল লোহিত । নেত্রে যেন প্রকাশিত মনের শোণিত ॥ পান্নার জপের মাল” নিল নিজ করে। ভুলিয়া রাখিল বীণ ক্ন্ধের উপরে ॥
৩ ৭
১৬২ মীর হসন্ক্কৃত
মনের ইচ্ছার মাল! ছিল মনোহর । যতনেতে তাহা যেন পরিল সত্বর ॥ আপনার বেশ ভূষ। দেখায়্যে সকলে । যোণিনী হইয়! পরে বাহিরেতে চলে & দগ্ধ হইতেছে মন মুখেতে প্রকাশ । ধুনা পৌঁড়। ধুয়া যেন প্রকাশিছে শ্বাস ॥ দর্পণের ন্যায় তার নিম্মল আকার । তাহার বর্ণনা আমি কি করিব আর ॥ তাহাঁতে করিলে পরে ভস্ম বিলেপন। ঝল্মল কর্যে তাহা হইল শোভন ॥ বিৰপ করিতে ৰপ পারে কে কোথায় । ধূল। দিয়ে কখন কি চন্দ্র ঢাকা যায় । গরোপন্ম করিতে যত করিল উপায়। তাহাঁতে তাহার কপ আরো শোত। পায় ॥ মুক্তামালা সে শরীরে শোভিছে এমন | অন্ধকার রাত্রে যেন শেভে তারা গণ ॥ জরীর বেষ্টন বস্ত্র ধরোযেছে মাথায় ।,
' রূজনীতে কেউ যেন বনেটি যুরায় ॥ এবপ বিদ্যুৎ আর এই কাল ঘন। অবশ্য কাদিবে দেখ্যে প্রমাসক্ত জন ॥
মস্নবি 1 ১৬৩
পান্নার শ্রবণ-ভূষা অতি চমৎকার ।
কর্ণে যত শোত পায় কি বলিব আর ॥ শরীরের ভস্মে আর শ্রবণ-ভূষায়। তাহাতে ৰপের ক্ষেত্র আরো শোভা পায় ॥ তাকে দেখ্যে তৃণঃ পুষ্প? হয়্যে অচেতন । দাস হয়্যে আছে যেন তাহার! ছুজন ॥ শ্রবণের নির্মীলতা৷ করোযে দরশন।
পানা যেন প্রেমে তথা করেছে গমন ॥ কেন না হইবে বৃদ্ধি পান্নার সম্মান। যেহেতু এমন কাঁণে হল্যে অধিষ্ঠান ॥ রত্বের সুন্দর মালা প্রবালের হার । মলিকা গোলাব্ যেন শোতে চমত্কার ॥ আরক্ত নয়ন তার চারু দীপ্ডিমান্।
লালা যেন নিজ বর্ণ করোছে প্রদান ॥ সিন্দুরের ফৌট। আছে মন্তক উপর । আলোকে পড়েছে যেন মাণিকের কর ॥ আসক্ত পুরুষ তাহা দেখিলে অস্থির । কেঁদে কেঁদে নেত্রে করে শোণিত বাহির ॥ স্কন্ধের উপরে বীণ চারু শোভা পায়। বোতল লইয়া ষেন ম[তালেতে যায় ॥
১৬৪ মীর হসন্ কৃত
প্রেমের নগরে তাহা মহার্ঘ নিশ্চয় । আমোদের ঝাগি সেই বীণ বীণ নয় ॥ সে বীণ রাখিয়। স্কন্ধে চলিল এমন | কারুর লইয়া বেন করিছে গমন ॥ কেবল আসক্ত নয় মনুষ্য সকল ।
যোগ তার যোগ দেখ্যে হইল পাগল ॥ একপে যোগিনী-বেশ ধরিল যখন । শিরে করে শিল্াঘাতি যত সখী গণ ॥ এবপে যখন হয় গমনে বাহির । কাদিতে লাগিল শোকে বদরেমুনির ॥ কেঁদে কেঁদে ছুই জনে মিলিল এমন । শপ্ৰবণের সঙ্গে যথা ভাদ্রের মিলন ॥ তাহাতে অশ্রুর ধারা পড়ে এ প্রকার । পড়ে গেল যেন সব ভিত আর দ্বার ॥ যোগিনীর চারি দিকে লেক ছিল যত ! কীদিতে লাগিল শোকে সবে অবিরত ॥ কেদে কেদে হল্যেো সবে এক্ধপ আকার । গুদ্পের উপটে যেন পড়্যেছে নীহার ॥ না দেখিতে পেয়ে কেউ অপর উপায় । পরিশেবে সকলেতে বলিল তাহায় ॥
মস্নবি।
করিলাম সমপণ তোমাকে ঈশ্বরে | বিদায় হইয়। তুমি-গতি কর পরে ॥ স্পৃষ্ঠ দেখাইয়। তুমি করিলে গ্নমন | মুখ দেখাইয়। পুন দিও দরশন ॥
কেহ বলে দেখ্যে দেখ্যে৷ ভুল না আমার। সমর্পণ করিলাম ঈশ্বরে তোমায় ॥
সে বলিল আমি অদ্য হৈলাম বিদায় । পুনশ্চ আসিব হেথা যদি পাই তায়। আমি যাহ বলি তাহ? ক্রুর প্রণিধাঁন। তোমাকেও করিলাম ঈশ্বরে প্রদান ॥ ভাল মন্দ যাহা কিছু বল্যেছি তোমায়। কপা কর্যে ক্ষমা কর তাহা সমুদায় ॥ ক্রন্দন-কারিণী গণে ত্যাগ করো পরে। ভবনে বিমুখ হয়ে চলিল সত্বরে ॥ মঙ্গল কি বুধবার না করিয়া জ্ঞান । নগর হইতে করে অরণ্যে প্রস্থান ॥ এমন কাহারে! যদি দেখ পায় বনে । পাওয় যায় যার গুণে সেই প্রিয় জনে ॥ ধুলায় ধূসর কার নিজ কলেবর ।
বাণ লয় এই জন্য ভরমে নিরন্তর ॥
৬৫
৬৬ মীর হসম্ কৃত
যোগিনী যে খানে বস্যে বাজাইত বীণ | শুনিতে আমিত তথ! চীনের হরিণ ॥ যোগিনী বসিয়া যথা ফোগিয়া বাজায়! ধুনি ভেলে বস্যে তথা লোক সমুদয় ॥ তাছা শুনে প্রকুলিত হইল কাঁনন। তার শব্দে শব্ধ করে ঘত রুক্ষ গণ ॥ স্বরৰপ পুষ্পপাত হইত বিস্তর |
অঞ্চলে করিয়া! তাহা লইত প্রান্তর ॥ কোন স্থানে দলে দলে একাকী কোথায় । চারি দিক হৈতে শুনে রুক্ষ সমুদায় ॥ যত্তই উত্তম কপে সে বীণ ৰবাজিত। বনের কন্টক তৃণ ততই শুনিত ॥
তথা ক।র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যত বৃক্ষ গণ । আপন ইচ্ছায় বাণ করিত শ্রবণ ॥
কোন কালে দেখে নাই তেমন ঘটন । বিস্ময়ে প্রান্তর যেন হল্যে! অচেতন ॥ সেই স্থানে ছিল যত পদচিক্তু সব। কাণ পেতে তার। যেন শুনিছে সেরব॥ সে বীণের রাখৰপ পুষ্প শোভ। পায় । তাঁর অগ্রে বনপুম্প কণ্টকের প্রায় ॥
মস্নবি | ১৬৭
উত্তম সঙ্গীত তাঁর করিতে শ্রৰণ। স্থিরভাবে বস্যে যেন আছে গিরি গণ ॥ শুনিয়া বীণের রব হহয়া অস্থির | আপনার গতিরোধ করিতেছে নীর কেবল জলের গতি ছিল ন! এমন | মধুর রবেতে কুপ নহে স্থির মন ॥ কেবল কি বীণরবে কাদিছে নির্ঝর | ত! নয় নদীর ভাঁব হয়্যেছে প্রশর ॥ শ্রবণেতে প্রবেশিলে বীণের স্থুস্বর । 'নদ্রা যুক্ত রাগ যেন জাগিল সত্বর ॥ শুনিয়। বীণের শব্ধ যত নর গণ ।
মন হয়্যে নিজ বস্ত্র ছিড়িল তখন ॥ পুষ্প আর বুল্রুল্ স্থধু মত্ত নয়।
মত্ত হয়্যে পড়েছিল বৃক্ষশাখ! চয় ॥ বীণ শুনে হল্যো সবে আশ্চর্য্য অন্তর | যেহেতু মুখের কর্ম করিতেছে কর ॥ ফিরে ফিরে সে বনকে করে উপবন। বসাত্যে লাগিল বনে যত জীব গণ ॥ বীণের স্ুরবে আরু তাহার মনে । বিচিত্র বিচিত্র ভাব হল্যো বনে বনে ॥
১৬৮ মীর হসন্ কৃত
যে প্রকার দিবা নিশি ভ্রমে সমীরণ । সেই ৰপে লোক -তথ। করিত ভ্রমণ ॥ -”৮৮8৩৮৮ জেনের রাজপুত্র কিরোজ্শাহ যোগি- নীর প্রতি আসক্ত হয়? তাহার কথা । স্রন্দর আকতি সাকি! কোথায় এখন । বনে বনে ভ্রম্যে মন হল্যে। জ্বালাতন ॥ এমন স্ন্দর মদ দাও হে সত্বরে । উপস্থিত হই যাতে অভীষ্উ-নগরে ॥ এমন মদ্িরা পান করাও আমায় | হৃদয় সন্তোষ যুক্ত হয় যেন তায় ॥ রোগী বেন এ প্রকার আশ করে মনে । রোগ মুক্ত হয়্যে আমি থাকিব জীবনে ॥ ঈশ্বরের বৈভবাঁদি কর দরশন | তাহার শক্তিতে নাই কি আছে এমন! ॥ শ্বেত আর কৃষ্ণ বর্ণে তিনিই কারণ । করেছেন দিবা নিশি তিনিই হৃজন ॥ স্গখ, শোক, সম্মিলিত হয়ে নিরন্তর | সুই জনে রহিয়াছে সংসার ভিতর ॥
ম্স্নবি। . ১৬৯
কোথাও সুখের উবা হৈতেছে উদয়। কোন স্থানে শোকৰপ সন্ধ্যার সময় ॥ সংসারের ছুই রীতি আছেই প্রচার । ক্ষণে হেথা আলে হয় ক্ষণে অন্ধকার ॥ ঈশ্বর ইচ্ছায় এক উত্তম প্রান্তরে । যোগিনী বামিনী যোগে জবিশ্রাম করে ॥ পুর্ণিমার নিশি সে যে সহজে সুন্দর | সে ৰপসী তথ! বস্যে শোভে বহুতর ॥ চন্ড্রিকার চারু শোভ। চারি দিকৃ ময়। তাহ।ই চাহিতেছিল তাহার হৃদয় ॥ পতিয়া ঘৃগের চর্ম বীণ লয়্যে করে । দুই জানু পাতি বস্যে তাহার উপরে ॥ আপনার ইচ্ছা মত কেদাঁর। বাঁজায়। তাহার আমোদে সুখে তাল দেয় পায় ॥ কেদারা তাহার করে বাজে এ প্রকার । দায়ের! বাজায় শশী সঙ্গে যেন তার ॥ সেখানে এমন শেভ হইল যখন । নাচিতে লাগিল যেন স্থখে সমীরণ ॥ অতিশয় জ্যোৎস্না ময় নিরব প্রান্তর । সহজেই চারি দিকে শোভা মনোহর ॥ তি
১৭০ মীর হসন্ কৃত
উজ্জ্বল প্রাস্তরে বালি ঝল্মল্ করে। শশী আর তারাঁগণ চারু দীপ্তি ধরে ॥ ঝল্মল্ করিতেছে বৃক্ষপত্র চয় ॥ তৃণাদি কণ্টক সব অতি শোভাময় ॥ পত্রের অন্তর হৈতে প্রকাশে কিরণ । ঢালনী হইতে যেন আলোক পতন ॥ এমনি আশ্চধ্য ভাব হইল তখন । নিজ নাঁড় ভূল্েগেল যত পক্ষীগণ ॥ লেগে লেগে সমীরণ বৃক্ষের উপরে । প্রমত্ত হইয়া যেন ধন্যবাদ করে ॥ কেদারা এমন ভাবে বাজিছে তখন । চক্দরিকং পড়েছে যেন হয়ে অচেতন ॥ এখানে একপ রঙ্গ হৈতেছে প্রচার । ইহা ভিন্ন শুন এক কৌতুক ব্যাপার ॥ পরী জাতি এক জন চারু কলেবর। জেনেম্ রাজার পুজ্র স্বভাবে ছুন্দর ॥ পরিধেষ পরিপাটি অতি ৰকপবান্। কুড়ি কি একুশ্ বর্ষ বয়সের মান ॥ উড্ড়াইয়। শুন্য পথে নিজ সিংহাসন । করেছিল এক দিকে সত্বরে গমন ॥
মস্নবি | ূ ১৭১
চন্দ্রের কিরণ দেখ্যে চলে কুততৃহলে । তাহাকে ফিরোজ্শাহ। সকলেতে বলে ॥ সহসা সে বীণ বাদ্য করিরণ শ্রবণ | " সেই স্থানে নামাইল স্বীয় সিভাসন ॥ দেখিল ষোখিনী এক পরীর স্ববপ । বিশ্ব কভু দেখে নাই সেরূপ স্থুৰপ ॥ দেখিয়া তাহার ৰপ হারইল জ্ঞান ! একেবারে প্রেমাসক্ত হল্যো তার প্রাণ ॥ ভাবিল ধরেছে ছলে এপ আকার । বলিল অহে বোণিনি ! কুশল তোমার ॥ বল দেখি হয়েছে কি বিপদ্ পতন । কার জন্য যোগবেশ করেছ ধারণ ॥ কোথা হৈতে এলে তুমি যাইবে কোথায় । কিঞ্চিৎ করুণ! তুমি করিবে আমায় ॥ বোঁণিনী শুনিরা কথা ভাঁবিল এমন । আমাতে এ যুবকের হইয়াছে মন। এই অন্ুুতৰ কেন না হইবে তাঁর । মন যে জানিতে পারে মনের ব্যাপার ॥ প্রণয় তৃণের তুল্য ৰপ হুতাশন। এই ছুয়ে নিরন্তর আছেই মিলন ॥
২ তত
১৭২ মীর হসন্ কৃত
সঙ্গীত ইহার পক্ষে বায়ুর সমান । কাষেই ইহাতে অগ্নি হয় দীপ্তিমীন্॥ যোৌগিনী বলিল হেঁসে বল হর হর । যথা হৈভে আসিয়াছ তথ গতি কর ॥ পরী যুবা বলে পরে এ কপ বচন। আহা মরি ভাঁল বটে এই অ।চরণ ॥ তুমিত বিষম রাগী হুইল প্রচার
হে ঈশ্বর ! এ কেমন ভাব চমত্কার ॥ এবপ বিরক্ত তুমি হৈও না এখন । ক্ষণ কাল বীণ শুনে করিব গমন ॥ সে বলিল তোমার যে আছে প্রিয় জন। তার কাছে গিয়ে বল এ ৰপ বচন ॥ ককীরের সঙ্গে কেন রঙ্গ কথ! কও । চুপ কর্রে বস্য থাক স্থির হয়্যে রও ॥ ছুই জনে এই ৰূপ হল্যে আলাপন । উভয়েই প্রেমে যেন হল্যো অচেতন ॥ পরী যুব মুগ্ধ হয়্যে তাহার উপরে । সম্মুখেতে নিরাসনে বসিল সত্বরে ॥ ক্ষণে বীণ ক্ষণে ৰপ করে নিরীক্ষণ । সুন্দরীর প্রাতি কিন্ত বিমোহিত মন ॥
মস্নবি | ১৭৩
অবশ হইল যেন অঙ্গ সমুদায়। দেখিতে লাগিল নেত্র কেবল তাহায় ॥ শ্রবণ অনন্য ভাব করিয় ধারণ । কেবল তাঁহার বীণ করিল আবণ ॥ যোগিনীর মনে ছুঃখ ছিল নিরন্তর | যুবাও তাহার জন্য হইল কাতর ॥ গুহৃচিন্তা পথচিস্তা মনে অগ্রকাশ। কিঞ্চিৎ চেতন হল্যে ত্যাগ করে শ্বাস প্রভাত পর্য্যন্ত বীণ বাজাইল সুখে। অত্যন্ত ক(দিল যুবা তাহার সন্মুখে ॥ ও দিকে বীণের স্বর অতি চমত্কার | এ দিকে রোদন ধারা পড়ে বার বার ॥ সুন্দরী বীণের বাদ্য করো সমাপন । আলস্য ত্যজিয়! সুখে উঠিল যখন ॥ পরী যুবা তার হস্ত ধরিয়া যতনে | শীন্ তকে বসাইল নিজ সিংহাসনে ॥ ভূমি হৈতে গণীণেতে উড্ভিল যখন । সে তখন না না বল্যে করিল বারণ ॥ পরী যুবা মানিল ন*তাহার কথায় । পরেন্ত।নে লয়্যে গিয়ে বসাইল তায় ॥ ৩ত
৭৪ মীর হসন্ কৃত
পিতৃ সন্নিধানে পরে করিয়া গমন ।
বলিল আমার এক আছে নিবেদন ॥
সুবিজ্ঞা যোগিনী এক এন্যেছি এখন |
কিঞ্চিৎ ইহার বীণ করুন অবণ ॥
ইহার গুণেতে মন হবে সন্তোষিত |
শুনিলে ইহার বীণ হইবেন প্রীত ॥
সে বলিল বটে বাপু ! ভাল অভিপ্রায় !
সঙ্গীত শুনিতে মন সর্বদাই চায় ॥
পরে বলে হে যোগিনি ! বস এক বার!
চরণে পবিত্র কর আলয় আমার ॥
পিত। প্র উভয়ের সৌভাগ্য এখন |
আমাদের শিরে রাখ আপন চরণ ॥
এই ৰূপ বহুবিধ করিয়া সম্মান |
থাকিবাঁর জন্য তাকে দিল দিব্য স্থান ॥
স্থতীতীড০ ফিরোজ্শাহ। সভার আয়োজন করিয়া যোণিনীকে আহ্বান করে, তাহার প্রসঙ্গ | প্রণয়ের মদ সাকি দাও হে আমায় । সমুদায় দিন গেল অতিথি সেবায় ॥
মস্নবি। ১৭৫
যে।ণিনী বসিয়া আছে বিরাগ-হ্দয়। যামিনী যোণিনী হয়্যে এল্যো এ ময় ॥ ভস্ম বিলেপন যুক্ত ষেন কলেবর। মাথার বেষ্টন যেন হল্যো নিশাকর ॥ গলায় তারার মাল কর্যে পরিধান । ক্রমে ক্রমে পরেস্তানে হল্যো অধিষ্ঠান ॥ মনোহর সেই নিশি উজ্জল এমন ।
দিন যেন তাঁর ৰপে হইল গোপন ॥ --পরেস্তানে রাজা করো্যে সমাজ বিধান । যোগিনীকে ডাকাল্যেন করিয়া সম্মান ॥ যোধিনীর চারু শোভা করিতে দর্শন | উপস্থিত হল্যো তথা যত পরী গণ ॥ যথার্থই সে যোগথিনী চারু বৰপ ধরে। স্বরে সভায় এল্যে বীণ লয়্যে করে ॥ বিনয় করিয়া রাজ? ডাকিয়ে তাহীায় ! সমাদরে বসাল্যেন আপন সভায় ॥ বলিলেন অব্ণাথে কিছু গান গাও । বীণের কেমন গুণ কিঞ্িৎ দেখাও ॥
সে বলিল বাদ্য কর! কর্ম নহে ফলে। কেবল হরের নাম লই কোন ছলে।
১৭৬ মীর হসন্ কৃত
আদেশে বিরক্ত হয় উদাসীন জন।
কি করিব বন্দী তুল্য হয়েছি এখন ॥ রাজ। বলিলেন বল এ কেমন কথা 7 যোগণিনি ! তোমার দয়া আছেই সর্ববথ। ॥ ইচ্ছা দি হয় তবে কষ্ট দিতে চাই । নতুবা যা ইচ্ছা! বল আমি করি তাই ॥ দে বলিল এই ভাবে বলিলে আমায় । তবেই আমাকে কিছু পাইবে সেবায় ॥ এই বল্যে বীণ লয়্যে স্কন্ধের উপরে 1 বাজাতে লাগিল বাণ সুধুর স্বরে ॥ ভিত দ্বার স্তব্ধ যেন হইল'তখন | তথ।কার সকলেই করিল ভ্রন্দন ॥ মোমের বাতির তুল্য গলে গেল মন । তাই বেন নেত্র দিয়ে ভৈতেছে পতন ॥ এ ৰপে বীণের তারে অঙ্কলি চালায় । সকলের প্রাণ যেন হর্যে লয় তায় ॥ বিমে।হিত হয়ে গেল সকলের মন ॥ বীণের ভাবেতে সবে করিল রোদন ॥ আসক্ত ফিরোজশাহ। বিষ-আকর । যত কষ্ট হৈতে হয় হইল তাহার ॥
মস্নবি। ১৭৭
-কখন সম্মুখে এসে করে দরশন |
কখন কখন দেখে হইয়া গোপন
কখন দাড়ায়্যে থেক্যে থামের অন্তরে । কাদিতে কাঁদিতে তারে দরশন করে ॥
এ দিকৃ ও দিকে ক্ষণে বেড়াইয়া পরে | সুখের বালাই তার লয় সকাতরে ॥
সে কিন্ত শৌনে না কথা কিছু নাহি বলে। মাঝে মাঝে আড়ক্ষে দেখে কুতুহছলে ॥ যুবক তাহাকে যদি দেখিত তখন ।
অমনি সে অন্য দিকে কিল্নাত নয়ন ॥
এ ভাঁবে ফিরোজ্শাহ। থেক্যে সেই স্থানে । ক্ষণে ক্ষণে শ্বাস ছাড়ে সকাতর প্রাণে ॥ যদ্যপি প্রশংসা তার করে কোন জন। তোর কি বলিয়া তাকে বলে কুবচন ॥
ফলে সে সভার শোতা কি বলিৰ আর। তার ইচ্ছা যোগিনীকে.দেখে বার বার ॥ সে সভায় এ প্রকার বাঁজাইল বীণ।
দোষ দর্শীরাও হল্যো মোহের অধীন ॥ প্রশংসা করিয়া! রাজ বলিলেন পরে। করিলে অত্যন্ত দয়া আমার উপরে ॥
১৭৮ মীর হসন্ কৃত
হে যোঁণিনি ! এই ৰপে প্রত্যেক নিশায় । স্বর্গ তুল্য কর এসে আমার সভায় ॥ আমার সন্তোষ লাভ শ্রেন্ঠ জান তায়! তোমার দর্শন-প্রিয় জীনিবে আমায় ॥ আপনার জাঁন তুমি এই ঘর দ্বার।
আজি হৈতে দাস আমি হৈলাম তোমার ॥ করোযো না করো না মনে কিছু লজ্জা ভয় | তাহাই গ্রহণ কর যাহ? ইচ্ছা হয় ॥
সে বলিল কিছুতেই নাই প্রয়েজন !
তব পক্ষে শুভ হৌক ক্ষোমার ভবন ॥ আমি কোথা তুমি কোথা হল্যো যে মিলন এ সকল কাধ্য মাত্র দেবের ঘটন ॥
এই কথা বল্যে উঠে যোগ্নিনী সত্বরে গমন করিল পরে নিজ বাসা ঘরে ॥ করিতে লাগিল তথা সময় বাপন।
মনে মন্দ বিবেচনা করিল এমন ॥
মনকে বলিল মন ! কর হে শ্রবণ আপনার মনে চিন্তা করোযো না এখন ॥
যে ঘটন। ঘটিয়াঁছে আমার উপর !
দেখ হে ইহাঁতে কি বা করেন ঈশ্বর ॥
মস্নবি। ১৭৯
কলত সে এই ৰূপে থাকিয়া তথায় । রাজার সমাজে বার প্রত্যেক নিশার ॥ মুখে করো গান বাদ্য মিউ আলাপন | প্রহর যামিনী তথা করিত যাপন ॥ বাণ বাদ্যে সন্তে।ষিত করোযে সর্ব জনে। প্রহর বাজিলে পরে আসিত ভবনে ॥ ফিরোজ্শাহের কথা কি বলিব আর। দন দিন ছুরবস্থা হইল তাহার | ইহ পর কাল চিন্তা ভুলিল তাহায়। দিবস বামিনী যায় তাহারি চিন্তায় ॥
সে দীপের কাছে সদা ঘুরিয়া বেড়ায় ।
তাহাতেই পড়ে যেন পতঙ্গের প্রায় ॥
কন্ম করিবার ছলে সমস্ত সময় | যোগিনীর কাছে থেক্যে সম্ভতোধিত হয় ॥ যোগিনীও রঙ্গ করে তাহার সহিত । আপনার প্রেমে তাকে করিত মোভিত॥ ইঙ্গিতে জানিলে তার প্রেমের আভাস । অমনি অত্যন্ত ক্রোধ করিত প্রকাশ ॥ যুবা যদি কোন কথা বলিত গোপনে । পাগল করিত তাকে অন্য আলাপনে ॥
১৮০ মীর হসন্ কত
কখন সন্তোষ মন কখন ওুদাস। ক্ষণে দুরে থাকে ক্ষণে কাছে করে বাস ॥ কখন কুদৃষ্টি যোগে করে জ্বালাতন | কখন স্রমিষ্ট বাক্যে সুগ্ধ করে মন ॥ কখন কুবাক্যে করে আঘাত বিধান | কখন সস্ভেষ মনে করিত আহ্বান ॥ কখন সহাস্যে ছেখে করো সন্ভোবষিত | কখন চিন্তিত হয়ে করিত চিন্তিত ॥ কখন দেখায় সুখ কখন লুকায়। কখন মারিয়া ফেলে কখন বাচায় ॥ কখন ঝুলায়্যে কেশ ঝুলাইত মন | কখন ঝাড়িয়া কেশ করিত ক্ষেপণ ॥ সর্বদা করিত বটে রোবে দরশন। কিন্তু দৃষ্টি যোগে মন করিত হরণ ॥ চতুরতা হীন যুবা পরীকুলে জাত। মন্ুষ্যের স্তুকৌশল কিসে হবে ভ্ঞাত ॥ এই পে কিছু দিন গত হল্যে পর । যুবার দেহেতে হল্যে। প্রণয়ের স্বর ॥ হ্ৃদের শোণিত যেন চক্ষু দিনে ক্ষরে | মন যেন গল্যে গেল ভিতরে ভিতরে ॥
মস্ৃনবি। ১৮১
ভিতরে হইতে মন বলিল এমন | ধৈষ্য ধর] এত দিনে হল্যেো সমাপন ॥ বলিতে য' হয় তাহা বল এই ক্ষণে । যেহেতু অত্যন্ত ক্রেশ হইতেছে মনে ॥ যদি পার অবিলম্বে হও সাবধান । নতৃবা এখনি আমি করিব প্রস্থান ॥ এখনি মর্দন কর বিলাপের কর $ মান লজ্জা লর্যে তুমি থাক নিরন্তর ॥ মনের এ কথা শুনে হইয়া বিধুর । লজ্জ/কে বলিল তুমি শীস্র হও দুর ॥ কিছু ক্ষতি নাই তায় বায় যাক মান। না বিলে কোন মতে নাহি থাকে প্রাণ ॥ এক দিন এই কথা ভেব্যে নিজ ষনে। সময়ের প্রতীক্ষায় রহিল যতনে ॥ কোন ক্গণে সর্ব জন হল্যে অবসর । কেবল যোগিনী হলো দৃষ্টির গোচর ॥ একাকিনী দেখ্যে তাকে হইয়া কাতর । অমনি পড়িল তার পায়ের উপর ॥ এ পে পড়িল যদি তাহার চরণে । সে বলিল এই কথ! সহাস্য-বদনে ॥
থ
১৮২ মীর হসন্ কৃত
অদ্য এ কি বিপরীত দেখি আচরণ । চরণে পড়িলে কেন হারায়্যে চেতন ॥ কেহ কি ফেল্যেছে ছুঃখে তোমারে এখন + কেহ কি তোমার মন করেছে হরণ ॥ হয়্যেছে কি ছুঃখ এত আমার থাকায় । বপদে কি পড়িয়াছ আমার লেবাজ ॥ ফকীরের প্রতি ভ্রাগ কেন কর আর । ভাল আনি যাই, হৌক কুশল তোমার ॥ আম! হৈতে এত কষ্ক পাইতেছ মনে । বিদার করিছ বুঝি পাড়য়া চরণে ॥ কাঁদিয়া ফিরেজ্শাহা বলিল তখন । তাল ইহ! ন। বলিয়ে কি বল এখন ॥
এই যে বুঝেছ তুমি ছুঃখ হয় তায় । সম্প্রতি একপ কথা সহ নাহি যায় ॥ ছুৎখী জনে কেন আর এত দুঃখ দাও । বিদগ্ধ যে মন তাকে কেন বা পোড়াও ॥ আসক্ত হয়েছি আমি লয্ব্যে খন প্রাণ । আশমার এ ক্রেশ তুমি না করিলে জান ॥ আপনার ন্যায় স্রস্থ বুঝেছ আমায় ।
এ স্কলে কি কথা লোকে বলিবে তোমায় ॥
মস্নবি। ১৮৩
নির্দয় নিষ্ঠুর নাই তোমার সমান 1 ফলে নিজে বট তুমি অতি সাবধান ॥ যোগিনী এ কথ শুনে হয়্যে হাস্যানন। বলিল কি বল দেখি নিজ বিবরণ ॥ আমার চরণে তুমি দিয়ে নিজ শির । পদতলে পড়্যে কেন হইলে অস্থির ॥ বলিল ফিরোজ্শাহ। কর হে অব? | কতই মনের কথা করিব গোপন ॥ তোমার বিরহে কত থাকিব ওদস। প্রিয়সি" আমাকে তুমি কর নিজ দাস ॥ হাস্য কর্যে সেবলিল এৰূপ বচন । সাবধানে শুন বলি নিজ বিবরণ ॥ করতে যদ্যপি পার বাসনা পুরণ । বৌধ হয় পুর্ণ হবে তোমার মনন ॥ সে বলিল শীঘ্র বল বিলম্ব না সয় | আমা হৈতে যাহ! হবে করিব নিশ্চয় ॥ যোগিনী বলিল তবে শুন উপাধ্যাঁন। সরনদিপ নগরেতে আছে এক স্থান ॥ মস্যুদ্শীহী নামে রশজা তথাকার । তাহার সন্ততি এক চন্দ্রের আকার ॥ তথ
১৮৪ মীর হসন্ কৃত
বদ্রেমুনির ন।ম বিখ্যাত ধরায় । নিয়ত নিযুক্ত আমি তাহার সেবায় ॥ কর্যেছেন তিনি এক পৃথক্ উদ্যান। সহজে তাহার শোভা স্বর্গের সমান ॥ পিতা হৈতে ভিন্ন হয়ে থাকেন সেখানে । সর্ধদ! ভ্রমণ কাষ্য বিবিধ বিধানে ॥ নজ্মুননেস। আমি মস্্রিকন্যা তার । সখী বটি জানি সব গুগু সমঢার॥ তাহা ভিন্ন এক দিন করি নাযাপন। নিদ্রিত না হল্যে তিনি না করি শয়ন ॥ কেবল সন্তে'ষ তথা নাই ছুঃখ-লেশ | প্রফুল উদ্যান ভুল্য সন্তোষ বিশেষ ॥ কোন ৰপে কোন চিন্তা নাহি ছিল মনে । কেবল সন্তোষ বৃদ্ধি হৈত ক্ষণে ক্ষণে ॥ এক দিন শুন তথ! আশ্চর্য্য ঘটন। নিশিষেগে উপস্থিত হল্যো এক জন ॥ অতি বড্ড তার কথা কত বালি আর। সে নর সামান্য নয় পরীর আকার ॥ বাজার কন্যার মন হল্যো ভ্রেমময়। যুগ, মিলনে হল্যো গোপনে প্রণয় ॥
অস্নবি | ১৮৫
কিন্ত তার প্রেমে মুগ্ধ হয়্যে এক পরী । প্রেমেই থাকিত মত্ত দিব্স সর্ধরী ॥ সেখানে সে এসে যায় শুনে তার পর। কোথ।য় ফেল্যেছে তাকে জানেন ঈশ্বর ॥ কারাগারে রেখ্যেছে কি করেছে সংহার। বহু দিন হৈতে তার নাই সমাচার ॥ যোণিনী হয়েছি আমি তাহার সন্ধানে । ছুঃখিনীর বেশে তাই এসেছি এখাঁনে ॥ পরী মধ্যে এক বট তোমরা সকলে । যদি তার তত্ত্ব তুমি কর এই স্থলে । তারে যদি পাওয়া যায় তোমার কূপায়। আমার বাসনা তবে পুর্ণ হয় তায় ॥ যুড়াবে আমার প্রাণ সুস্থ হবে মন। এ কর্্দে তোমার কর্্ম হইবে সাধন । 'সে যুবা বলিল তবে নিজ হস্ত দাঁও। অঙ্গুষ্ঠ দেখায়ে নারী বলে এত চাও ॥ যুবা বলে এ কি কথা বল এ সময়। হাপসিয়। বলিল নারী তা নয় তা নয়॥ এই কথা শুনে যুবা ডাকি জাতিগণে | সত্বর করিয়া সবে বলিল যতনে ॥
৩খ
১৮৬ মীর হসন্ কৃত
এক নর কারাবদ্ধ আছে পরেন্তানে ক্রুটি না করিও যাঁও তাহার সন্ধানে ॥ তে।মাদের ষে আনিবে তার সমাচার | রুত্বের পাঁলখ দিব পাখাতে তাহার ॥ প্রভূর এপ কথা শুনে পরী গণ | করিতে লাগিল সদা তার অন্বেষণ ॥ যেখানেতে সেই নর ছিল কারাগারে । সেই স্থানে এক জন গেল একেবারে ॥ সে নর কীদিতে ছিল কুপের ভিতর | সেই রব হল্যে তার শ্রবণ গোচর ॥ পরে সে বলিল বুঝি হইল সন্ধান 1 এখানেতে আসিতেছে মানুষের ভ্রাণ ॥ স্থানে স্থানে দৈত্য ছিল প্রহরি তাহার । তাহা দিগে জুধাইল এ শব্ধ কাহার ॥ শুনি বাক্য দৈত্য গণ বলে পরিশেষ মাঁহরোখ. পরীকন্য। সুন্দরী বিশেষ ॥ তার বন্দী এক জন যুবা মনোহর ।, ছট্ফট্ করিতেছে কুপের ভিতর ॥ সে তাহার তন্তু লয্্যে পেয়ে অন্বেষণ । নগরের দিকে উদ়্্যে করিল গমন ॥
মস্নবি। ১৮৭
ফিরোজ্শাহাকে গিরে নমন্কার করে। বাহা দেখ্যেছিল তাহা শুনাইল পরে ॥ বিনয় বচনে বলে তার বিদ্যমান। স্বীকার কর্যেছ যাহা কর তাহ। দান ॥ পরীরাজ জ্ঞাত হয়্যে সব সমাচার । রত্বের পালখ তারে দিল পুরস্কার ॥ ফিরোজ্শাহ্ মাহরোখ পরীকে সংবাদ প্রেরণ করেঃ তাঁহার বর্ণন। সরি কাকি
এপ সংবাঁদ পরে করিল প্রেরণ । মাহরোখ্ তুই কেন হারাবি জীবন। চুরি কর্যে এনেছিস্ নর এক জন । করিস্ তাহাকে লয়ে ঘরে নিধুবন ॥ যদ্যপি পিতাকে তোর লিখি এ লিখন | বল্ দুষ্টা তোর দশ! কি হবে তখন ॥ কেন তুই ন! চাহিস্ বাচিতে জীবনে । কেন তোর জীবনের আঁশা নাই মনে ॥ আমি যদি মনে ইচ্ছা! করি এক বার । ক্ষণ মাত্রে পরেস্তান করি ছারখার ॥
১৮৮ মীর হসন্ কৃত
ইহাতে কি লঙ্জাযুক্ত নহে তোর মন; তোকে কি মিলেন। হেথা পরী কোন জন ॥ ভুলে গিয়েছিস্ তুই আমার শাসন | মানুষের প্রতি তোর গেল দরশন ॥
কুপ মধ্যে বদ্ধ করো রেখেছিস্ যায় । ভাল যদি চাস্ তবে বার কর্ তায় ॥
স্থির চিন্তে দিব্য তুই কর্ এ প্রকার | বাঁচিবি না প্রাণে, পুন নাম নিলে তার ॥ এই ৰূপ আভ্ভাপত্র পাইল যখন |
ভয়ে মাহরোখ্ হল্যো সচিন্তিত মন ॥ বল্যে পাঠাইল পরে এই নিবেদন | আমার ত অপরাধ হয়েছে এখন ॥ আদেশ করিয়া দাও কোন জনপ্রতি । হেথা হৈতে লয়্যে যাক তাকে শীন্রগতি ॥ তাহাকে বদ্যপি আমি চাই পুনর্ধবার | তবে তুমি পরেস্তান করোযো ছারখার ॥ কিন্তু এই কৃপা তুমি করিবে আমায় । পরেন্তানে ইহা যেন প্রকাশ না! পায় ॥ পিতার গোচর যেন ইহ। নাহি হয়।
তা হল্যে দুয়ের বার্ হইব নিশ্চয় ॥
মস্নবি। ১৮৯
শুনিয়া ফিরোজশাহা! এপ উত্তর । আপনি চলিল তথা যথা সেই নর ॥ ক্রমে উপস্থিত হয়্যে কুপের উপরে | আপনার সঙ্গি গণে বলিল সত্ব্রে ॥ কিৰপে উঠান যাবে দারুণ প্রস্তর । রয়্যেছে আমার যেন বুকের উপর ॥ পর্বত সমান ছিল বত দৈত্য গণ । তাহারা আপন শুক্ষ করিয়া হাপন॥ পর্বতের তুল্য সেই রোধক প্রস্তরে ! অতি দুরে তৃণ তুল্য ফেল্যেদিল পরে ॥ মেঘের গর্জন তুল্য শব্দ হল্যো তার। শশী তুল্য সুপ্রকাশ সে কুপের দ্বার । অন্ধকার কুপে তার চারু কলেবর। কণীমণি ভুল্য হল্যে! নয়ন গোচর ॥ কষ্টেতে ছিলেন তিনি কুপেরে ভিতরে । বলিল সে পরীরাজ আপন কিস্করে ॥ ইহাকে বাহির কর হয়্যে সাবধান । সৃণনাভি হৈতে যথ! লওয়া যায় ভ্াণ। নিজ নেত্রতার! তুল্য জ্ঞান ক'র মনে। যত্বেতে ইহাকে রক্ষা করো সর্ব জনে ॥
১৯০ মীর হসন্ কৃত
বেনজির কুপ হইতে বহির্থত হয়েন, ভাহার বর্ণন। 82
মদ্যপুর্ণ পাত্র সাঁকি ! দাও এ সময় | কুপ হতে ইউসফ্ বহির্গত হয় ॥ গিয়েছে শীতের দিন মধু অধিষ্ঠান | লাঁল মদ্য দিয়ে তুমি দেখাও উদ্যান ॥ উপস্থিত ছিল তথ দৈত্য এক জন । সন্বরে সেকুপ মধ্যে করিল গমন ॥ নির্বিত্বে আনিল তকে করিয়। বাহির । ফোক়ারা হইতে যথা বার্ হর নীর ॥ তমো! হৈতে বহির্গত আলো দ্রীপ্গিমান্ । অক্ষর হইতে যথা হয় মন্দ জ্ঞান ॥ জীবিত ছিলেন কিন্তু অস্থিচন্ম সার । মরণের পুর্বে বথা রোগীর আকার ॥ উপরে উঠিতে সদ? চিন্তা ছিল ভার । তাই যেন উর্ধশ্বাস হয়্যেছে সঞ্চার ॥ বে প্রকার ধুলা থাকে ভূমির উপর ॥ ধলায় ধূসর তথ তার কলেবর ॥
মস্নবি। ১৯১
ভূমির ভিতরে থেকে পুতুল প্রোথিত । সে যেমন ভ্রউ ৰূপে হয় প্রকাশিত ॥ জ্যোতি হীন নেত্র আর ক্ষীণ কলেবর | শুদ্ধপুষ্প বে প্রকার উদ্যান ভিতর। রক্তদেহ পীত বর্ণ কর্েছে ধারণ। নীলবর্ণ হইয়াছে হরিত বসন ॥
শিরের উপরে তার স্ুকুঞ্চিত কেশ।
সে সময় তাও যেন বিপদ বিশেষ ॥ 'অস্থিচর্্ সার মাত্র তার কলেবর।
ছিল না রক্তের নাম দেহের ভিতর ॥ দেহ ময় প্রকাশিত শির সমুদয় । নীলবণ সুত্র সব যেন গ্রন্থি ময় ॥
এ কপ ফিরোজশীহ। দেখিয়! নয়নে । কীদিতে লাগিল শোকে মলিন বদনে ॥ নিজ সিংহাসনে তাকে লয়্যে সাবধানে | ফোগিনী যথায় ছিল আইল সেখানে ॥ সাবধানে সিংহাসন করিয়। গোপন্ম। নজ্মুন্নেস! বল্যে ভাকিল তখন ॥ বলিল এখন চল এনেছি তাহায়।
শুনে বাক্য সে বলিল কৈ সে কোথায় ॥
১৯২ মীর হসন্ কৃত
তার নাম লয়্যে হল্যে। পাগলের শপ্রয় | শির পদ অনারত'হক্স্যে যেতে চায় ॥ বলে চল কোথা তিনি শীতন্ত্র বল্যে দাও । একবার তার ৰপ আমাকে দেখাও ॥ যুবা বলে ধীরে চল ব্যস্ত ভাল নয়। হর্ষের বিবয় বড়, বিপদ্ না হয় ॥ তুমি যার তত্ত্ব কর সেই এই জন। সে বলিল সত্য বটে বুঝেছি এখন ॥ কথা শেষে পরী যুবা করে ধরি কর । যোগিনীকে লর্যে তথা গেল শীন্রতর ॥ সিংহাসনে বস্যে পরে দেখাইয়। নরে | বলিল যোগিনি! দেখ স্ুশ্থির অন্তরে ॥ গিনী শুনিয়ে বাক্য কাছে গিয়ে ভার । বলিল হে পরী যুবা সর একবার ॥ ইহার চৌদিকে আমি ভ্রমিয়া বেড়াই । মনের ইচ্ছায় লই ইহার বালাই ॥ হেঁসে সে বলিল ভাল কর দরশন । আমারো বালাই লও ইহার কারণ ॥ সে বজিল দেখাইয়া! পদ আজ্ছাদন। ওহে দৈত্য ক্ষিপ্ত কেন হইলে এখন ॥
মস্নবি। ১৯৩
ফলত সে পরীযুব! নামিয়া সত্বরে | সে খাটের এক পাশে দাড়াইল পরে ॥ যোগিনী তাহার পাঁশে ভ্রমিতে ভ্রমিতে | বালাই লইয়। তার লাঞ্সিল পড়িতে ॥ ধরিয়! তাহার গলা করিল রোদন । মোহিত হইয়া গেল পরাণ আর মন ॥ বেনজির দেখিলেন মিলিয়া নয়ন । নজ্মুননেসা কাছে হয়্যে উচাটন ॥ বলিলেন তুমি হেথা কিসের কারণ । কার জন্য যোগবেশ করেছ ধারণ ॥ তোমার এ কলেবর সহজে সুৰপ। তে'মার এমন বেশ এ কি অপবৰপ ॥ সে বলিল ক্ষিগড হয়্যে তোমার চিন্তায় | ছাড়িয়া আপন দেশ এসেছি হেথায় ॥ উভয়ে উভয় গলা করিয়া ধারণ । কাদিতে লাগিল পরে শোকে বহু ক্ষণ ॥ নিজ নিজ ইতিবিত্ত বলিল যখন । পড়িল নয়নজল মুক্তার মতন ॥ মন্ত্িকন্যা আদ্যোপান্ত বলে বিবরণ । বলিল এসেছি হেথা তোমার কারণ ॥ দূ
১৯৪ মীর হসন্ ক্কৃত
বেনজির এই কথ' আবণের পরে 1
সে দিন হইতে সুখী হল্যেন অন্তরে ॥ সেই দিন সেই স্থানে অবস্থান হয় । পরদিন চলিলেন সন্ধ্যার সময় ॥
চির অভিলাষ ছিল তাদের যথায় । সিংহাসনে উঠে পরে চিল তথায় ॥ যোনী, কিরোজ্শাহ1, আর সেই নর । সিংহাসনে বস্যে চলে শ্ন্যের উপর ॥ বদ্রেষুনির বস্যযে ভাবিছে বখায়। মক্সিকন্যা তাকে লয্্যে আসিল তথায় ॥ নামাইল সিংহাসন সেই তরুতলে ॥ ফলিল তরুর ভাগ্য পুর্ববপুণ্য-ফলে ॥ যেখানে বসিয়। আছে ৰদরেমুনির | শোঁকের সহিত যেন হক! অস্থির ৪ মন্ত্রিকন্যা অবতীণ্। হয়ে তার পরে । একাঁকিমী সেই স্থানে চলিল সন্বরে ॥ হঠাঁছু যেমন আদি পল্ডিল চরণে । তাহাতে রাজার কন্যা ভয় পেল্যে মনে ॥ পরে দেখে সে ফোগিনী এসেছে এখন । যোগবেশ ধরেছে যে আমার কারণ ॥
মস্নবি 1 ১৯৫
বলিল তাহাকে দেখে এ প বচন । তুমি কি নজ্মুন্নেস। আমার জীৰন & এসে! এসে কাছে এসো! প্রিয় সহচরি : 1 তোমার বালাই লয়্্যে আমি যেন মরি ॥ কখন ছিল না আশা তোমার মিলনে | হয়েছি নিরাশ আমিশআপন জীবনে ॥ দ্ড়াইতে বনু চেষ্টা করিল কৌশলে । দাড়াতে দাড়াতে কিন্ত পড়িল ভূতলে ॥ বলিল শোকের ভাঁরে নাহিক নিস্তার । প্রিয় সখি! কি করিব শক্তি নাই আর ॥ নজ্মুন্নেসা লয়্যে বালাই তাহার । উবার বাঁযুর ন্যায় ভ্রমে বার'বার ॥ রাজকুমারের কষ্ট ছিল তার জ্ঞান । দেখিল ইহার কষ্ট তা হৈতে প্রধান ॥ পরে দেখে ছিন্ন ভিন্ন ভিত আর দ্বার অতিশয় তক্ষবেশ যতেক আগার ॥ ৰবপবতী দাসী যত ছিল সনিধানে | মলিন বেশেতে তারা আছে স্বানে স্থানে ॥ কেশের সে বেশ নাই, নাই সে বিন্যাস ।
তুরা যে ছিল সেও হয়েছে ওঁদান্স ॥
২ দূ
১৯৬ মীর হসন্ কত
সহজে তাহার! ছিল সুন্দর আঁকার | বপের সে ৰপ নাই হয়্যেছে বিকার ॥ পরম্পরে পরিহাস নাই সে প্রকার । গীত বাদ্য হাস্য ধনি কিছু নাই আর॥ সকলের ক্ষীণ দেহ শোঁকেতে মোহিত । মন প্রাণ স্থির নয়, নয় সন্ভোবিত ॥ বিলে রোদন করে উঠিলেও ক্রেশ ৷ উঠিতে বসিতে হয় অসুখ অশেষ ॥ ছন্ন ভিন্ন সমুদয় পুম্পের কানন ।
পুষ্প বৃক্ষ শোভা হীন বেঁপের মতন ॥ নিজে সে রোগীর মত বিশীর্ণ আকার । দর্পণের পীতবণ প্ যে প্রকার ॥ কোন কিছু শক্তি নাই চেতন বিহীন । উদাস্য ছুঃখিত দেহ অতিশয় ক্ষীণ ॥ নজ্মুননেস! ইহা করো দরশন |
ভুঃখে দীপ তুল্য স্বল্যে করিল রোদন ॥ যে সময় আবার সমাচার তার ।
সেই স্থানে একেবারে হইল প্রচার ॥ দীপের নিকটে এস্যে পতঙ্গযেমন | সেই ৰপে তার কাছে এল্যে দাসী গণ ॥
মস্নবি। ১৯৭
পরস্পর এ সংবাদ করিয়। শ্রবণ । সকলে কুশলপ্রশ্ন করিল তখন ॥ . কেহ হল্যো এপ্রকার প্রফুল হৃদয় । প্রষ্পের কলিকা যথা প্রকুলিত হয় ॥ কেহ এসে দ্রতবেগে প্রফুল্ল অন্তরে | তাহার সহিত স্থখে কোলাকুলি করে ॥ বালাই লইল মুদ্রা ঘুরার্যে মাথায় । রুটি স্পর্শ করাইয়। কেহ শুভ চায় ॥, বাভির হইতে কেহ এস্যে সনিধানে । তবন হইতে কেহ এস্যে সেই স্থানে ॥ এ দিক্ হইতে কেহ করে আগমন । ও দ্রিক হইতে তথা এস্যে কোন জন ॥ কেহ বা সুধায় এস্যে সব বিবরণ । কেহ বা আসিয়া করে তত্ত নিৰপন ॥ এমনি জনত। হল্যো চারিদিকে তার। তাহাতে সে সসম্তমে করে নমস্কার ॥ বলিল হে সখীগণ ! বিনতি আমার । কল্য সব বিবরণ করিব প্রচার ॥ পথের যে পরিশ্রম অস্যন্ত দুষ্কর । অদ্য আমি সেই জন্য রয়োছি কাতর ॥ ৩ দ্
১৯৮ মীর হসন্কৃত
ব্রমেতে জনতা শুন্য হুল্যো যে সময় । নজ্মুন্নেসা দেখ্যে চারিদিক ময় ॥. বলিল গো কিকরিছ বাজার সন্ভতি ! । কেন নাহি কর ভূমি এ দ্িকেতে গতি ॥ চল গিয়ে শ্রান্তি দুর করি এক বার ॥ শুন তবে বলি আমি কিছু সমাচার ॥ যখন নিজ্জনে গেল বদ্রেসুনির |
বলিল এনেছি আমি তব বেনজির ॥ বিশ্ময়ে রাজার কনা বলিল তখন । সত্য কি বলিছ ভুমি এগ বচন ॥ অথবা আমাকে তমি করো পরিহাস । একপ আশ্বাস বাক্য করিছ প্রকাশ ॥ সে বলে প্রাণের দিব্য জানবে আমার । অসত্যবাদিনী নই বলিতেছি সার ॥ অতিশয় সন্ভোবের বার্তা সমুদয় ।
হঠাঙ কাশ করা উচিত ন। হয় ॥ রাজকন্যা বলে ভাকে আনিলে কেমনে । সে বলিল এই ৰপে এনেছি নে জনে ॥ এই বলে আদি অন্ত যত বিবরণ ।
ক্রমে ক্রমে লমুদ্দীয় করিল বণন ॥
১9]
মস্নবি। ১৯৯
রাজকন্যা বলে তবে কোথ। দে দুজনে । সে বলিল তরুতলে রেখ্যেছি গোপনে ॥ মুক্ত কর্যে আনিয়াছি তব প্রিয় জনে। অন্য জনে আনিয়াছি প্রণয়-বন্ধনে ॥ শুভক্ষণে হয়্যেছিল আমার গম্ন। দিলাম মিলন করো্যে এনে প্রিয়জন ॥ কিন্ক এক অনুপায় হইল এখন । পড়িলাম এ বিপদে তোমার কারণ ॥ তোমার বধুকে আমি আনিগে হেথাঘ় । আর যাকে আনিয়াছি ফাকী দিই তায় ॥ ইহা শুনে রাজকন্যা হেঁস্যে খল খল। বলে হে নজ্মুননেশ। ! কেন কর ছল ॥ তুমি এক জন বট চতুরা প্রবল । কোথাও অমৃত তুমি কোথাও গরল ॥ যাও আর চাতুরীতে নাই প্ররোজন। শীঘ্র গিয়ে তাহাদ্িগে কর আনয়ন ॥
সে বলিল বান্ধবের বিনা অন্ুমাতি।
কি পে পরীকে দেখা দিবে গো যুবতি! ॥ বলিল রাজার কন্যা'তিনি ক্ষিগু নন।
এ কথায় তাহার কি হইবে না মন।
০ মীর হসন্ ক্কৃত
তোমার ইহাতে যদি হৈতেছে সংশয় কাছেই আছেন তিনি দূর কিছু নয় ॥ একথা তাহাকে ভুমি সুধাও না তবে । পরীর সম্মুখস্থিত হবে কি না হবে ॥ ইহ শুনে মন্ত্রিকন্যা করিয়া গমন ! চুপে চুপে ৰেনজিরে ডাকিল তখন ॥ পুর্ববাবধি বসিবাঁর স্থান ছিল যথ।। গে(পনে তাহাকে লয়্যে ৰসাইল তথা ॥ ন্জ্মুননেসা বলে অহে বেনজির !।
বল ত চলিয়া এসে বদ্রেমুনির ॥ বেনজির বলিলেন একি হে কামিনি! | ভ্রাতার নিকটে কোথা লুকাঁয় ভগিনী ॥ আমার জীবন ধনে পরীযুব' স্বামী । তাহার কারণে দেখ বেচে আছি আমি ॥ পেয়েছি জীবন আমি তাহার কৃপায় । তাহার কপায় আছি এসেছি হেথায় ॥ সর্বদা তাহার সহ বন্ধুতা আমার 1 , তাহাকে গোপন আমি করিব কি আর ॥
০ ০
মস্নবি। ১
বেনজরের সহিত বদরেমুলিরের মিলন এবং বদ্রেমুনিরের পিতাকে বিবাহ-বিষয়ক পত্র লিখন ।
অঙ্কে সাকি ! মদ্য এনে দাও দাও মুখে । চন্দ্র সুর্য সংমিলন হইতেছে সুখে ৪ রাজকন্যা! সেই কথা শুনে তাঁর পরে । চল্যে এল্যো সেই স্থানে সহ অন্তরে ॥ লজ্জাবেশে প্রিয়-কাছে বসিল বখন। পুনর্ধবার প্রাণ যেন পাইল তখন ॥ নয়নে নয়নে ছুয়ে হইলে মিলন । মুক্তা তুল্য প্রেম অশ্রু হইল পতন ॥ ছুই নেত্রে অশ্রপাত হয় যখোচিত। উভয়ে উভয় শোকে হইল মোহিত ॥ নাই সে পুর্ধবের ৰপ উভয়ে অন্তুখ। কেঁদে কেদে 'পীত দেহ রক্তবর্ণ মুখ ॥ হেমন্তে যেমন হয় পুষ্পের কানন। রোগ্ীতে রোগীতে বেন হইল.মিলন ॥ তখন উভরে হল্যো :অপুর্ব্ব ঘটন। কোন কালে হয় নাই মিলন তেমন ॥
২০২ মীর হসসন্ কৃত
নজ্মুন্নেসা আর কিরোজ্শাহ পরে । লজ্জা ভরে অখধোমুখ হল্যো পরস্পরে ॥ কছিতে লাগিল পরে অতি ভুংখমনে । আক্ষেপ করিল বনু সেৰপ দর্শনে ॥
এক দিকে রাঁজপুজ্ হয়্যে খেদ-মন | রুমালে ঢাকিয়া মুখ করেন রোদন ॥ সহজেই সকাতরা বদ্রেষুনির ।
শ্বাস ত্যাপ্ন করে শোকে হইর1 অস্থির ॥ সে দিক্ হইতে মুখ করিয়া গোপন । কেঁদে কেঁদে ভিজাইল সমস্ত বসন ॥ ইতিমধ্যে আলাপনে শোকের বচন । এৰপ কাদিল হিক্কা উঠিল ভখন ॥
বছু ক্ষণ কাঁদলেন করো্যে অনুরাগ । অশ্রজলে ধৌত হল্যে। বিরহের দাগ ॥ শেবেতে নজ্মুন্নেস্া বলিল তখন | বদরেমুনির ! শুন আমার বচন ॥ আরো কি বিচ্ছেদ শোক প্রকাশিতে চাও । অধিকেতে কায নাই ভুমি ক্ষমা দাও ॥ 'অপ্প কি কেঁদেছে প্রিয় তোমার কারণে । কেঁদে কেদে আর কেন ক্রেশ দাও মনে ॥
অস্মবি। " ২৯৩
হৈতে দাও দেহে কিছু শক্তির সঞ্চার | কাদিবার শক্তি কোথ! এখন ইহার ॥
এ স্কৃতকে আনির়াছি ইহারি কারণে । ষদি শীঘ্র বেঁচে উঠে তোমার দর্শনে ॥ করি নাই সেখানেতে ওষধ ইহার | ইহার চিকিৎসালয় শ্রিয়ার আগার ॥ ইহাকে প্রেমের ধ্যান হেথা! আনিয়াছে। মিলনের আশাতে এ বেঁচে মাত্র আছে।॥ ইহাকে মিলনৌষধি খাওইয়। দাও। কোন মন্তি তুমি এই মরাকে বাচাও ॥ ক্ষন্ত হয়ে সুখালাপ কর অতঃপর । আর যেন ন! কাদান তোমাকে ঈশ্বর ॥ মুখ ফুলাইয়া শোকে কাদ ছুজনায়। কাছে এস্যে এ প্রকার ভাল না দেখায় ॥ . উভয়ে হাসেন শুনে একপ বচন । কাননে ফুটিয়া উঠে কুম্থুম যেমন ॥ আরম্ত হইল পরে হান্য পারহাস। উথ্ুল্যে উঠিল ক্রমে মনের উল্লাস ॥
অগ্ধ রাত্রি গত হল্যে পাচকের। জুখে। রাখিল ভোজন দ্রব্যতাদের সম্মুখে ॥
২০৪ মীর হসন্ কৃত
ভোজ্য দ্রব্য লয়্যে পরে মিলিয়! সকলে । ভোজন করেন সুখে অতি কুলে ॥ ভিন্ন হয়ে পরস্পরে ভোজনের পরে। শয়ন করেন গিয়। শয়নের 'ঘরে ॥ কষ্টভোগ করোযেছেন যে জন যেমন । এই স্থুখ ভোগে তাহা হইল স্বপন ॥ ভিন্ন ভিন্ন হয়্যে শুর্যে সুন্দরী সুন্দর | অদ্ভুত প্রণরালাপ হইল বিস্তর ॥ অতীত ছুঃখের কথ। করিয়। স্মরণ । _ নরনে রুমাল দিয়ে করেন রোদন ॥ কুপ মধ্যে হয়্যেছিল যে সকল ক্রেশ। বলিলেন রংঃজপুজ্র ক্রমে সবশেষ ॥ অঙ্ধকারে কীদিয়াছি হইয়! অস্থির | নিমগ্ন করেছি কুপে আপন শরীর ॥ উপস্থিত না হইল ভ্রাতা কৌন জন | ছট্ফট্ করে মন ঘণ্টার মতন ॥ সেই অন্ধকার ঘর হল্যে। বাস ঘর। “সর্বদা রহিল বুকে দারুণ প্রস্তর ॥ আমাকে আমার প্রেম মজঙল্যে এমন । কবরেতে রহিলাম থাকিতে জীবন ॥
মস্নবি। ২০৫
ভূমি হৈত বাহিরের প্রত্যাশা কোথায়। নিরাশ করিল মন গ্রহ সমুদায় ॥ জীবিত ছিলাম তথা হইয়া! বিন্ময়। তোমার বিরহে সদা জ্বল্যেছে হৃদয় ॥ কবর হইতে পুন বাঁচায়্যে আমায় । মিলায়্যে দিলেন পরে ঈশ্বর তোমায় ॥ রাঁজকন্য। কেদে কেদে বলিল ভখন 1 এক রাত্রে দেখিয়াছি আমিও স্বপন ॥ তোমাকে স্মরণ কর্যে আপনার চিতে। এক রাত্রে শুইলাম কাদিতে কীদিতে ॥ স্বপ্নে দেখিলাম এক প্রকাণ্ড প্রান্তর | কুপ এক রহিয়াছে তাহার ভিতর ॥ তাহ! হৈতে এই শব্দ হৈতেছে বাহির | এই দিকে এস তুমি বদরেমুনির ! ॥ তোমার সে বেনজির হইয়। কাতর । কারা বদ্ধ রহিয়াছে ইহার ভিতর ॥ চেষ্টা করিলাম আমি কথা কহিবার। কিন্ত বলিবার শক্তি হল্যো না আমার ॥ সেই দ্বিকে চল্যে গেক্স আমার হৃদয় । নিদ্রা ভঙ্গ হয়্যে গেল এমন সময় ॥
ধ
২০১ মীর হসন্ কৃত
তখন অধৈর্ষ্য আমি হৈলাম এমন | বিদীর্ণ হইল যেন প্রাণ আর মন ॥
সে দিন হইতে হল্যে ভুর্দশ বিশেষ । লইয়া! তোমার নাম ভুগিল্াাম ক্রেশ ॥ কেহ দের নাই নাথ! সংবাদ তোমার । তব দুঃখে মনে দুঃখ হৈত বার বার ॥ সেখানে তোমার ছুংখ হইত সন | জাঁলিতাম আমি তাহ অন্তরে তখন ॥ বলি নাই মনোছুঃখ কারো সন্গিধান । দিব! নিশি পুড়িতাম দীপের সমান ॥ অতি কন্টে করিয়াছি জীবন ধারণ। জীবন জাবন নয় মৃতের মতন ॥
দিব রাত্রি এই চিন্তা করিতাম মনে | পরমেশ মিলাবেন তোমীকে কেমনে ॥. আমার এপ দশা কর্যে দরশন ।
সে ৰপে নজয়ুননেসা করিল গমন ॥ তার পর জান তুমি সব বিবরণ | « 'ুজনে মিলন হল্যো-তাহারি কারধ ॥ পরস্পরে মনোছুঃখ করিয়! বর্ণন। একেবারে করিলেন উভয়ে রোদন ॥
মস্নবি | ০
শয়ন হইয়াছিল বলিবারে ক্রেশ | উভয়েই উঠিলেন বলা হল্যে শেষ ॥ বিচ্ছেদের পরে হল্যে যুগল মিলন । প্রমালীপে কিসে হবে নিদ্রা আকষ্ণ ॥ এদিকে নজ্মুন্নেসা আর সেই পরী । কর্ধয় কথায় শুয়ে পোহায় সব্বরী ॥ কেবল প্রণয়ালাঁপে যামিনী যাপন । দেখিতে দেখিতে হল্যো৷ উষা আগমন ॥ নিশ।কর ঢাকা দিল আপনার সুখে । শয়ন হইতে সুষ্য উঠিলেন স্থখে ॥ মদ্যপান জন্য ক্ষ্য উধার সময়। রক্তমদ্য লয়্যে যেন হল্যেন উদয় ॥ দিবাকে লইয়া সঙ্গে আসিয়। ভুবনে । জাগ।ইতে লাগিলেন নিদ্রাগত জনে ॥ হল্যে পর সকলের নেত্র-উন্মীলন। নিশ। গেল দিবসের হল্যে। আগমন ॥ ক্রমেতে উবার গ্রন্থি খুলে গেলে পর। বাহিরে এলেন সবে প্রফুল অস্তর ॥ তাহারা উভয় দলে উঠে কুতুহলে। একে একে স্গানাগারে গেলেন সকলে ॥ ২ধ
২০৮ মীর হসন্ কৃত
নব বেশ রাজকন্য। করিল যতনে ৮ নুতন বসন্ত যেন হল্যো ভউপবনে ॥
ছিল যে নজ্মুন্নেসা ফোগিণীর বেশে । ধূলা মূলা সমুদয় ধৌত করে শেষে ॥- সানান্তে বিচিত্র পে হইল উদয়;
খণি হৈতে হীরা যথা প্রকাশিত হয় ॥ নানান্তে তাহার ৰপ হল্যো শোভাকর | মেঘান্তে অকাশ যেন দ্িবাকর-কর ॥ আবার আগুণ তায় লাগাল্যে এমন । পরিল লালার তুল্য লোহিত বসন ॥ পোড়াতে আসক্ত জনে দেখাইতে ৰবপ। পরিল লোহিত যোড়! অতি আপৰপ তাষামির সন্জ।ক্ চারু স্ুশ্দোভন | ঝল্মল্ করিতেছে স্বর্ণের মতন ॥ সেইব্ধপ অপৰপ নব পরিধান । অতিশয় রক্তবণ হয় অনুমান ॥
রক্তব্রণ কলেবর হইল তাহাঁয়।
তাহাতে মুখের জ্যোতি অতি দীপ্তি পায় ॥ হ্ুতাশন.হছৈতে যেন স্ষুলিঈ সকল । বোধ হয় প্রকাশিত হয় অবিকল ॥
মস্নবি। ২০৯
মনোহর উচ্চতর হৃদয় তাহার | যৌবন গর্ষবেতে করে চরণ সঞ্চার ॥ কুরতির চাক বুকে গল! পরিষ্কার । কাচলি বন্ধন'তার অতি চমত্কার ॥ লাল লাল পয়োধর তাঁহার ভিতরে । রওক্জর। কুম্কুমা যেন শোভা করে ॥ পয়োধর কাল দ্'গ বদনেতে ধরে । রক্তবর্ণ মুখে যেন ভিল শোভ1 করে ॥ শশ্শ আর রবি ষেন ঢাকিয়!.বদন | আরক্ত মেঘের মধ্যে হয়োছে গোপন ॥ কিম্খাবের জাম। পদে অতি সুশোভন । বাণারসী উত্তরীয় শুধ্যের মতন ॥ বন্ত্রমর রত্ব সব চারু শৌভা ধরে । শিশিরের বিল্ছ ষেন পুম্পের উপরে সোভাময় ছুই ভুরু চিকুর টাচর। সমুদ্দার অবরব অতি মনোহর ॥ খেজুরী বিনান চুল জরি তার পরে । ধুয়ার পরেতে যেন স্ফুলিঙ্ষ বিহরে ॥ এইবপে সজ্জা কর্যে পরে কপবতী। * ফিরোজ্শাহার কাছে এল্যে! শীত্রগতি ॥ ৩ধ
১৬ সার ভস নফস
কেন কথা বলিল না কর্যে লজ্জা ভতগ! প্র(ণের সভিভ কিন্তু আসক্ত হ্ৃদর ॥ এব্পে সকলে বস্যে একতব্রেতে তথ! | গ্রকশে করেন জুখ্গে মনোগত কথা ॥ সন্তোষে প্রফুল হল্যেো মন আর ও্রাণ | একত্রে করেন সবে জখে দিদ্ধি পান ॥ একভ্রে ভোজন পানে আহ্লাদ বশে । শোক চি সমুদ্র ভয়ে গেল শেব্॥ য'দও (মলনে হল্যো সন্ভেষ হ্ধদন। তথাপিও মচশোমধ্যে বিরহের ভয় ॥ পরী আর বেনজির এপ বচন | সনে মনে বিবেচন। করেন তখন ॥ আর বেস নাহি হয় বিরহের দার । করিতে হইবে নি হার উপান ॥ হল্যে গুগু অবস্থান | অবশ্য হইতে পারে দুঃখের নিদান ॥ আগর কত দিন ইহা থাকিবে গোপন ।' প্রকাশ ভইয়া থাকা উচিত এখন ॥ - এত দুঃখ ভোগ করি সুখের কারণ । নতুবা এছুঃখ ভোগে কিবা প্রয়োজন &
/
মস্নবি। ২১5
ভগ্যেতে বদ্যপি হল্যে। এপ উল্লাস। বিবাহ না করি কেন হইয়া প্রকাশ ॥ ছোট বড় সকলেই জানেন আমায় । শাহ! বেনজির নাম বিখ্যাত ধরায় ॥ উভয়ের এই যুক্তি হল্যে পর স্থির । উজ্জয়ে মিলিত হয়্যে হল্যেন বাছির ॥ বদ্রেষুনির আর মন্ত্রির সন্থতি।
কোন এক ছল কর্যে ছুই বুদ্ধিমতী ॥ মাতৃ পিতৃ ঘরে গিয়ে থাকিল তখন । বলিল যে তোমাদের দেখিব চরণ ॥ এদিকে ফিরোজ্শাহা! আর বেনজির | অতিশয় হর্ষ যোগে ছইয়। বাভির ॥ কোন এক নগরেতে হইয়া প্রকাশ । সৈনিক পুরুষ গণে রাখিলেন দাস। রাজ ব্যবহার দ্রব্য করিয়া! সঙ্গতি । সেখানে এল্যেন পুন অতি শীঘ্রগতি ॥ তথাকার নরপতি বিখ্যাত ভূতলে । মস্যুদ্শ হা ষাকে সর্ব জনে বলে। তাহাকে এপ পত্র লিখিলেন দ্রুত | - রাজার প্রধান তুমি জম্শেদের মত ॥
২১২ মীর হস্্ন্ কৃত
সেকেন্দর ভূল? তুমি ফেরেছুর ন্যায় ॥ সকলের বাঞ্ পুর্ণ তোমার কৃপায় & হাতেমের মত তুমি দানকার্য্যে রত | অতিশয় স।হশিক রোস্তমের মত ॥ কোন এক স্থান হতে এসেছি হেধাঁয়। এখানে আমার ভাগ্য এনেছে আমায় ॥ কিঞ্চিৎ করুণ? ভূমি করিয়া প্রকাশ | আমাকে জামাতা করোযে কর নিজ দাস ॥ রাজায় রাজায় হয় সম্পর্ক সঙ্গত । সংসারের রীতি ইহ] আছেই নিয়ত ॥ সংসারে আমার নাম আছে স্প্রচার, | রাজার কুমার আমি রাজার কুমার ॥ এই পে ইতিবৃত্ত করিয়া বর্ণন।
সৈন্য সম্পত্তির কথা করেন লিখন ॥ অনেক বিনয় নতি করিয়া বিশেষ | এপ কথাও এক লিখিলেন শেষ ॥
যেই জন কন্ম করে শাস্ত্র বিপরীত ৷ আপনি আপন শক্র সে হয় নিশ্চিত ॥ তাল চাঁও যদি তবে মান এ বচন। নতুবা জানিৰে আমি এসেছি এখন ॥
মস্নবি | ২১৩
মস্যুদশাহের কাছে গেলে এ লিখন। পাঠ করো বুঝিলেন সব বিবরণ ॥ মর্শ বুঝে মনে মনে করেন বিচার । বহু সৈন্য বু লোক যদি আছে তার ॥ বড় যুদ্ধ হবে তবে যুদ্ধ হল্যে পর। কি রঙ্গ ঘটিবে তাহা জানেন ঈশ্বর ॥ সংসারের রীতি ইহা চির বিদ্যমান । অবশ্য করিতে হয় কন্য। সম্প্রদান ॥ তখনি লেখেন লিপি ইহারি করণে | অণ্পকে অধিক বল্যে জানে বিজ্ঞ জনে ॥ ঈশ্বরের মহিমার করিয়া বণন। মহম্মদের স্তব করিয়া লিখন ॥ তদন্তরে লিখিলেন এপ উত্তর ৷ তোমার পত্রের মন্ম হইল গোচর ॥ শান্ত্রমতে হইল।ম আমি অন্ুপায় | নতুবা আমার সাধ্য আছে সমুদায় ॥ যদি আমি করি নিজ মহিমা প্রচার । গ্রাহ্া নাহি করি তবে রাজত্ব তোমার ॥ গৃহ হৈতে আসিয়াছ, শিশুর সমান । ভাল মন্দ বিবেচনা কিছু নাই জ্ঞান ॥
২১৪ মীর হসন্ কৃত
এই ধন কারো কাছে সর্বদা! না রয়। কাগজের নৌক। দেখ সর্বদা না বয় ॥ বিয়ে ছেওয়া রীতি আছে কি করিব আর। তা নহিলে দেখিতাম কি গর্ব তোমার ॥ মহুম্মদের আজ্ঞা প্রামাণ্য আমার । সেই জন্য কন্যাদাঁনে হৈলাম স্বীকার ॥ তার আজ্ঞ। বিপরীত করে যেই জন। নিস্ত।র ন। হয় ভার স্বকপ বচন ॥ শুভন্ষণ নিক্ষপণ করিয়া তরায়।
আজ্ঞ। করিলাম আঁমি আসিবে হেথায় ॥ এদিকে রাজার পত্র ভৃত্য লয়্যে যায়। হর্ষের সংবাদে ব্যাগু দিক সমুদায় ॥
পত্রে সমাচার শুনে রাজার তনয় । হইলেন একবারে সন্তোষ হৃদর ॥
চিন্তা গেল চিন্তে হল্যে। হর্ষ অনুরাগ । সেদিন হইতে হল্যে কত রঙ্গরাগ ॥ মনোডুঃখ দুরে গেল দেখিতে দেখিতে । বিবাহের আয়োজন লাগিল হহঁতে ॥ জ্যোতিবকে বয়োমান বলিয়া? সত্বরে | বিবাহের দিন স্থির করিলেন পরে ॥
মস্নবি। ২১৫
বেনজিরের সহিত বদ্রেমুনিরের বিবাহ
এবং তাহার ঘটার বর্ণন।
কপবান্ সকি তুমি কোথা হে এখন |
হল্যো আজ বিবাহের লগ্ন নিৰপণ ॥
স্রন্বর গায়কগণে ডাক কুতৃহলে।
নিজ নিজ সাজ লয়ে আস্কক সকলে ॥
বিবাহের আয়োজন হউক এমন |
করিতে না হয় যেন আর আয়োজন ॥
-ক্রমে সে হর্ষের দিন আসিল ষখন।
রাজপুত্র করিলেন অশ্থে আরোহণ ॥
আবঢ় ভইবামাত্র অশ্বের উপরে ।
বাজিল বিয়ের বাদ্য স্থুমধুর স্বরে ॥
কি ৰপে তাহার ঘট। হইবে বর্ণিত।
যে হেতু তাহার শোভা বচন অতীত ॥
সে সময় হল্যে! তথা জনতা এমন ।
দেখিতে আইল বত ছে বড় জন ॥
দ্রুত বেগে কেহ করে অশ্ব আনয়ন ।
হস্তিকে বসায়'কেহ করিয়া যতন ॥
কেহ বা কাহাকে বলে এ দিকেতে আয় ।
এ দিকে আমার রথ আন্রে ত্বরায়।
২১৬ মীর হসন্ কৃত
কেহ বা কাহাকে ডেক্যে কাছে আপনার । মেয়ীনা ন। পেল্্য তাঁকে করিল প্রহার 1 পাল্কি আরোহণে কেহ করিল গমন। তার অগ্রে অগ্রে যায় পদাতিক গণ ॥ অবশিষ্ট গাড়ি নাই করো দরশন |
মেগ্যে যেচ্যে কারো কাছে বস্যে কোন জন ॥ ঢল আর করবালে চারু শব্দ হয়। লাকাতে লাণিল যত আরোহীর হয় ॥ নওবতে বাঁজে বাদ্য শব্দ অতুলন।
ধাঁমসার বাদ্য যেন মেঘের গর্জন ॥ শনাইয়ের শব্দ হয় যুড়ায় জীবন ! অআবণের বাঞ্। হয় করিতে শ্রবণ ॥ তাঁমামীর তক্তরয়া কত শোভা পায় । অসহ্খ্য নর্ভকী গণ নাচিতেছে তায় ॥ তবলার বাদ্য আর গান মনোহর । নর্তকীর! গাইতেছে ভাঁল বটে বর ॥ আৰঢ় হয়্যেছে বর অশ্বের উপর ।
মুক্তার মুকুট শিরে শোভিছে সুন্দর ॥ অতিশয় ধীরে ধীরে গতি করে হয় । হোনার মরুরছল ছুই দিকৃ ময়।
মস্নবি | ২১৭
অগ্রেতে ফানুষ্ যত পান্নাময় সব। তাহাতে মিনার কন অতি অসম্তুষ ॥ দুদিকে আলোর টাটি পথের উপরে । আহ্নাদে পতঙ্গগণ নিজ রব করে ॥ আলোকের ঘড়ীখান! স্থানে স্থানে রয়। কাছে কাছে বাজারের কলরব হয় ॥ কেহ পান বেচে কেহ বেটিছে খেলনা । দালমোট বেচে কেহ কেহ বা সলনা ॥ দ্রুতগতি এন্যে তথ। দর্শক সকল | . প্রদীপে যেমন পড়ে পতঙ্গের দল ॥ নওবতের শব্ধ হয় বাদ্যের সহিত । ডঙ্কার সহিত বাদ্য হৈতেছে শ্ার্জ্িত ॥ ছুই দিকে বরযাত্র চলে ঝাঁকে ঝাঁক। হৈতেছে শানির শব্দ বাজিতেছে শাক ॥ নান] বর্ণে ফুলছড়ি শোভিছে এমন | ছুইটি হস্তির ছবি দৈত্যের মতন ॥ অভ্রের গুন্বজ্ আর ঝাড় মনোহর | তৃনের অন্তরে যেন রয্যেছে ভূধর ॥ ঝাড়ের বাগান লয়্যে ছুই দিকে যায় । বুক্ধ আর পমকুল শোভা পায় তায়॥ ন
২১৮ মীর হসন কৃত
কমল, মোমের বাতি আর দীপ যত । উজ্জ্বল ৰপেতে স্বলে শোভা করে কত ॥ নুর্বাগ নামে এক আছে উপবন । জ্বলিতেছে লাল ফুল তাহাতে এমন ॥ যেপধ্যন্ত হল্যো তাহা দৃষ্টির গোচর । বেধ হল্যে! ফুল যেন টড উপর ॥ ভূমিট্টপা উঠিতেছে ফুটিছে আনার । পট্কা ফুটে তারা ছুটে শোভা চমত্কার ॥ গুগুমাশণিকের আলো! বার বার হয়।
ক এক বর্ণে তায় শোভার উদয় ॥
ঘা সব লুকাইল আলোর ভিতর ॥ যামিশীর জন্ধকার হইল অন্তর ॥
চারি দিকে মস্ালের ঝাড় দীপ্তিমান্। আলোর পর্বত যেন হয় অনুমান ॥ জরীর বসন পরো লেক সমুদদায় 1দকে ও দকে ভ্রমে চপলার ন্যায় ॥ নিকটে কি দুরে সব আলোক প্রকাশ । আলোকেতে পুর্ণ বেন ভূুতল আকাশ ॥ যখন এল্যেন বর কন্যার তৰনে | তখন যেৰপ শোভা বলিব কেমনে ॥
রত
নি
মস্নবি । ২১৯
স্বগখয় সমীর যেন বহিছে তথায় 1 স্থানে হানে গন্বদ্রব্য চারু শোভা পায় ॥ বাদল।র তান্বু বত রয়েছে লম্বিত | তাহার জুন্দর জ্যোতি অতি মনোনীত ॥ তামামীর শব্যা পাড়া অতি মনোহর । উত্তম মস্লন্দ এক তাহার উপর ॥ বেলোরের দীপদান ছিল বহুতর । চারি চারি মোম্বাতি তাহার ভিতর ॥ নান! প্রকারের ঝাড় নুতন সুতন। চারি দিকে রহিয়াছে হইয়া শোভন ॥ দর্শকের সমাগম হল্যো এ প্রকার । আগে পিছে লোকারথ্য স্কান নাই আর ॥ জরীর কাপড় পরো বন্যেছে সকলে । সন্তোবের মদা-পান করে কুতুহলে ॥ বর এস্যে মস্লন্দে বস্যেন যখন । নিকটে বসিল বত পারিষদূথণ ॥ হাব ভাবে দেখাইয়। বছন-মগ্ডল। নাচিতে লাগিল যত নর্তকী সকল ॥ সে রাগের সে নাচের কি করি বর্ণন। তেমন অপুর্ব আর না আছে এখন ॥. ২ন
২২০ মীর হসন্ কৃত
পরস্পরে নর্তকীর। হইয়া মিলিত | রাগালাঁপ করিতেছে অতি মনোনীত ॥ তান্পুরা লর়্যে সবে মিলাইয়ে সুর ইমন্ রাগিণী গায় অতি সুমধুর ॥ তাহাদের এক বালা উঠিয়া প্রথমে । নিজ গুণ প্রকাশিত করে ক্রমে ক্রমে ॥ উত্তরীয় বন্দরে তাল দেয় ক্গণে ক্কথে। মধুর ঘুঙ্গুর কিবা বাজিছে চরণে ॥ নেচ্যে নেচ্যে ভূমে পড়্যে উঠিতেছে তাক্স | চপল ভুূতলে পড়্যে যেন উঠে যায় ॥ কখন পর্মেলু নাচে শোভা হয় তায়। ভূমির উপরে যেন বিদ্যুৎ খেলার ॥ কখন বা গত্শ্রী নাচ নাচিছে এমন | আসক্তেরা তাহ দেখ্যে হারায় চেতন ॥ এ দিকেতে সেই বাঁল। প্রকাশিয়া বেশ। এই ৰপে তালে তালে নাচিছে বিশেব ॥ দলের গ্রাচীন। বাই থাকিয়া অন্তরে ॥ ও দিকে বসিয়া জুখে বেশ ভূবা করে॥
' পরে দ্বাড়াইয়া করে ত।ম্কুট-পান। ওষ্ঠকে আরক্ত করে" চিবাইয়া পান ॥
মস্নৰি। ২২১
অন্নুরীর দর্পণ সে ধরিয়। সম্মুখে । নিজ মনোহর ছবি দেখে মনোস্ুখে ॥ আস্তিন উল্টিয়! দিয়া পরিল বতনে। কাচলি বাধিল পুন সুদৃঢ় বন্ধনে ॥ চিকুর আঁঢুড়ে করে ভুরু পরিষ্কার | দ[মন্ ঝাড়রা হল্যো সুন্দর আকার ॥ চাদর উল্টিয়! দিয়া মস্তক উপরে | একঁপে প্রকাশ হল্যো সভার ভিতরে ॥ কাণ ছুঁয়ে ঘুক্ুর সে লইয়া! যতনে । মন্তকেতে ধরোযে পরে পারিল চরণে ॥ ক্কন্ধেতে রাখিয়া! হাত স্বদল সহিত। চল্য চল্যে নেচ্যে নেচ্যে করিল মোহিত ॥ কেহ বা ফতেটাদের হাতের মতন । সঙ কারর়াছে এক অতি স্ুশো তন ॥' কেহ বা কর্যেছে সঙে সুন্দরী এমন | লঙ্জ।য় সে রহিয়াছে নামায়্যে বদন ॥ কখন কখন নাচে কখন বা গায়। কখন সন্তোষভাবে লাকণ্য দেখায় ॥ সুস্থরে থেয়াল্ গায় মতি কুতুহলে। বার বার নিজ গুণ দেখায় নকলে ॥ ৩ন
২২ . মীর হসন্ কৃত
বিবাহের সভা আর সংগীতের র । মনের সন্তোব আর প্রাণের তরঙ্গ ॥ বাছূলার হার আর পুষ্পের ভূষণ। সারি সারি বস্যে আছে যত নারীগণ ॥ পতিত পানের পাতা যথায় তথায় । দেখলে মনের ছুংখ দুর হয়্যে যায় ॥
এ দ্িকেতে এইকপে সভা শোভা পায়। ও দিকে সোহাগ, ঘোড়ি অন্তঃগুরে গায় ॥ বিবীভের বড় ধুম বাজে বাদ্য চয়। সন্তোবে সলনা টোনা গায় মধুময় ॥ বৈবাহিকা নারীণণ নেম্যে নেম্যে যায় । উদ্য(নে প্রফুল্ল ফুল যেন শোভাপায় ॥ পর্ম্পরে হেঁস্যে হেস্যে মালা পরে গলে পরস্পরে ফুলছড়ি মারে কুতুহলে ॥ স্থসজ্জিত। হয়্যে সবে লাবণ্য দেখায় । যথারীতি স্ুখ।লাপ কথায় কথায় ॥ খল্খল্ করো্যে হেস্যে দের করতালি । মিউ মিষ্ট নব নবু দের গালাগালি ॥ ফলে কি বলিৰ আমি সাধ্য শ্বাই আর 1 আর ন! দেখিবে কেউ এৰপ ব্যাপার ॥
মস্নবি ! ২৩
বরযাত্রদিগকে মাল! ও তাশ্বুল বন্টন করে, তাহার বর্ণন। অত্যন্ত নেশায় আমি হয়্যেছি চঞ্চল। শরবৎ দাও সাকি ! মদের বদল ॥ | কাহীরেো। উপরে ষেন আসক্ত না হই। তোমার গ্লেতে যেন হার হয়্যে রই ॥ _ বিবাহের বাক্য পাঠ হইল যখন । সেসময় মালা পান করিল বন্টন ॥ তদন্তে করিল সবে শরবৎ পান । সকলের কাছে এন্যে দিল পানদান ॥ বিবাহ হইলে পরে উঠ্ভিলেন বর 1" ভূত্যগণে লয়্যে যায় পুরীর ভিতর ॥ কন্যার নিকটে বর যান হৃষ্উমনে | বুল্রুল যায় বথ পুম্পের কাননে ॥ গমনের কালে কত হল্যো কৃতুহল ৷ লক্ষ লক্ষ তুক্ করে রমণী সকল ॥ বর কন্যা একান্রিত হল্যে। যে সময় |. তখন দ্বিগুণ শোভা ভ্বইল উদয় ॥ কন্যার বিবাহ ভূষা আর রক্ত-বাস । মেহ্দিরু বান তায় কুস্থমের বাস ॥
২২৪ মীর হসন্ কৃত
সোহাগ্র আতোর আছে রক্তবস্ত্র ময় । উভয়ের হইয়াছে সৌভাগ্য উদয় ॥ কোরান্ দেখায়্যে অগ্রে রাখিল দপণ । ক'রল অঞ্চল দিকে শির আচ্ছাদন ॥& একপ ছিল না মনে হইবে মিলন | করিলেন পরমেশ এপ ঘটন ॥ ঈশ্বরের স্ুমহিমা কি আশ্চর্য ময়। দর্পণ তাদিগে দেখ্যে হইল বিন্ময় ॥ বাঁড়িল বিরের শো। জুলুয়া হল্যে পর ॥ দম্পতির মভোৎসব হইল বিস্তর ॥ সরটঁজ আনিয়। কেহ বরকে পেশার । জেন্যে শুন্যে কোন জন গালি দিয়ে যায় ॥ 'গীলে কিছু দিয়ে যায় এস্যে কোন জন। কন্যার পাত্ুকা কেহ করায়স্পর্শন ॥ মিছরির খণ্ড ছিল কন্যার শরীরে । তুল্যে লইলেন বর তাহ ধীরে ধীরে ৪ একপে লইতে তাকে বলে নারী গণ । ক্রমে তায় হল্যো তার লোভযুক্ত মন ॥ কন্যার সর্ব ঙ্গ তার ছিল মনোনীত । সর্বত্র হইতে মিষ্ট ভুলেন ত্বরিত, ॥
মস্নবি। ২২৫
নগ্ন হইতে মিক্ট তুলেন এমন | স্থমিন্ট বাদাম যথা খায় সর্ব জন। এক গড ছিল যাহা ওত্ের উপরে । মুখ দিয়ে তুলিলেন প্রফুল্ল অন্তরে ॥ ই, হু, কোন কিছু না বলে বচন । মধ্যস্থল ভৈতে পরে করেন গ্রহণ ॥ চরণ হইতে নিছে হল্যো অস্বীকার । না, ই[য়ের শব্দ তায় হল্যো বার বার ॥ মৌখিকে বিতণ্ড। এত আন্তরিক নয় । যে হেতু তাহার পদে ছিলই জুদয় ॥ বহ্বিধ রঙ্গ রস বিচিত্র ঘটন। * তাতিশয় সুমধুর কথোপকথন ॥ বিবাহের রীতি নীতি হল্যে সমাপন । বিদায়ের আয়োজন হইল তখন ॥ প্রভাত হইলে হল্যো টোনার সময় । বিদায়ী রোদন-গ্বনি বিধিমতে হয় ॥ দ[ড়ায়্যে সকল লোক শোকাকুল মন। পরস্পরে পরস্পরে কুরে বিলোকন ॥ এজপ বচন সবে বলে পরিশ্ষে। সংসার মকলি মিথ্যা ওহে পরমেশ !॥
২২৬ মীর হসন্ কত
কাঁদিতে কাদিতে কন্যা হইল বিদায় । জনক জননী কীদে কাদে সমুদায় ॥ দান দ্রব্য সমুদায় হয় বহির্ণত।
নেত্র হৈতে জল ঘথা পড়ে অবিরত ॥ কন্যার বিদায় দেখ্যে ভাবে বিজ্ঞগণ | এক দিন এইৰপে যাইবে জীবন । অধীর না হয় ধীর ভুঃখের সময় । অস্থখ হইতে করে সুখের সঞ্চয় ॥ পরে বর ক্রোড়ে লম্্যে আপন জায়ায়। মহাকার ভিতরেতে সত্বরে বসায় ॥ বাহকে মহাকী। লয়্যে চজিল বখন। জুদ্বিক হইতে মুদ্রা পড়ে অগণন ॥
, দাড়ায় দড্ডায়্যে যারা করিল রোদন ॥ তাহারা করিল যেন মুক্তা বরিষণ ॥ সেহর। দুদিকে চিরে ধরিয় ডুকরে | বেনজির টাদমুখ দেখাহয়া পরে ॥ আরোহণ করিলেন অশ্থের উপর । প্রভাতে উদয় যেল হল্যেো দিবাকর" ॥ দেখাঁইয়ে চলিলেন নিজের বিভব । নওব্্ৎ নিশান আদি সঙ্গে বায় সব ॥
মস্নবি। ২২৭
পশ্চ£তে মহাফা মধ্যে বদ্রেমুনির | আগে আগে অশ্বোপরে যান বেনজির ॥ আপ্ন ভবনে ত্রমে হয়্যে উপাস্থিত। দারা লয়্যে অন্তঃপুরে গেলেন ত্বরিত ॥ এৰপে বিবাহ কর্যে প্রফুলিত মনে। উভয়েতে উপাস্থিত বিলাস-ভবনে ॥ পূর্বাপর রীতি নীতি হল্যো বখোচিভ । প্রকাশ্যে একপ করা অবশ্য উচিত ॥
এ বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে পরীর বিবাহ । চতুর্থ দিনের দিনে হইল নির্বাহ ॥ নজমুন্নেসা ছিল সন্ততি মন্ত্রীর ৷
ভাভার পিতার কাছে গিয়ে বেনজির ॥ সবিনয়ে বলিলেন শুন গুণধাম।
ভাই এক আছে মম ফিরোজ্শাহ নাম ॥ তোমার নিকটে আঁছে এই প্রয়োজন । কন্যা দয়ে তারে কর আপন নন্দন ॥ এইবূপে বল্ল কয়্যে করায়োয স্বীকার । আবদ্ধ করেন তাকে জালে আপনার ॥ ছিল যে ফিরোজ্ম্পহ! পরীর কুমার । তার সঙ্গে দেন বিয়ে নজ্মুন্নেসার ॥
২২৮ মীর হসন্ কৃত
সেই সমাঁরোহে আর সেই সৈন্য জনে | সে কপ ঘটার আর সেই আয়োজনে ॥ আপন বিবাহে ঘট। হয়্যেছিল যত । রীতি শীতি সফ্ুদায় হল্যো সেই মত ॥ অহোরাত্র সে বিবাহে হয়েছিল যাহা ॥ এ বিবাহে কিছু মাত্রত্যজ্য নহে তাহা ॥ একপে বিবীহ তার কর্যে সমাপন্। করিলেন সমুদয় প্রতিজ্ঞা পালন ॥ ঈশ্বর ইচ্ছায় কন্ম হইল সফল ।
সিদ্ধ হল্যো সকলের বাসন সকল ॥ সঙ্গে সঙ্গে ছুই বিয়ে হল্যো সমাপন । ক্রমে ত্রমে চারি জনে হইল মিলন ॥ পুনর্ব।র ভাগ্যকফলে হুল্যো শু ভক্ষণ | বিরহী বুল্রুল্ গুন পেচ্যে উপবন ॥
ধন প্রাণ লয়্যে পরে হয়্যে হৃক্ট মন । নিজ নিজ দেশে সবে করিল গমন ॥ নজ্সুননেসা আর পরী তার পরে । , আদেশ গ্রহণ কর্যে তাহার গোচরে ॥ চন্দ্র আর সুষ্য তুল্য চলিয়া গণণে। পরেনস্তানে গতি করে সন্কেোষিত মনে ॥
মস্নবি। ২২৯
স্বদেশ গমনে হয়োযে প্রফুল্ল হৃদয়। এপ প্রতিজ্ঞা পরী করে সে সময় ॥ যদিও ও দিকে তুমি গেলে মহীশয় | ইহাতে করোযে। না তুমি বিরহের ভয় ॥* যদিও এ দিকে হল্যে। আমারু গমন । ইহাতে হৈও ন]] তুমি ভুঃখযুক্ত মন ॥ এ চিন্তার চিন্তা নাই*.জানিবে নিশ্চিত | সর্বদা করিব দেখা তোমার সহিত ॥ একপে বুঝায়্যে করে ও দিকে গমন । এ দিকে চলেন তিনি লয়্যে সৈন্যগণ ॥ চিহিহাততর বেনজির বদ্রেমুনিরকে আপন বাটাতে লইয়! যান ও পিতৃ-মাতৃ-সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পুস্তক সম্পূর্ণ হয়, তাহার প্রসঙ্গ । এক পাত্র মদ্য সাকি ! দাও পরিশেষ । সমাপ্ত হৈতেছে গণ্প দেখ সবিশেষ ॥ _্বীয় নগরের কাছে গিয়ে বেনজির । স্থাপিলেন তথা এক সুন্দর শিবির ॥ প্রজাবর্গ সুসন্ধান লয়্যে ধীরে ধীরে । স্বচক্ষে দেখিল সবে সেই বেনজিরে ॥ প
২৩০ মীর হসন কত
নগরেতে জনরব হল্যে। এ প্রকার । অনুর্দেশ রাজপুন্র এল্যেন আবার ॥ জনক জননী করো্যে এ কথা শ্রবণ । বিস্ময়ে হল্যেন তারা আত্ম-বিস্মরণ ॥ সম্পূর্ণ নিরাশ ছিল স্াহাদের মনে । হস্ত পদ কেঁপে উঠেন্এ কথ! শ্রবণে ॥ উভয়ে রোদন কর্যে বলেন তখন । . প্রত্যয় না হয় কিন্ত একপ বচন ॥ আমার কপাল নয় সাপক্ষ এমন | মিলাইয়ে দিবে পুন আমার নন্দন | আসিয়াছে কোন শক্র লইতে নগর। কিআর করিব আমি সহজে কাতর ॥ শেষে কেহ প্রভু নাই এ ধনে আমার । সেই লয়্যে যাক ইহ বিবাদ কি আর ॥ সকলে বলিল পরে চল হে রাজন! | নিশ্চয় বটেন তিনি তোমারি নন্দন ॥ বার বার পুভ্র-নাম করিয়। আ্ববণ। অনার্ত পদে যান করিয়া রোদন ॥
এ দ্রিকেতে বেনজির এস্যেন্* যখন । হঠাৎ পিতার প্রতি পড়িল নয়ন ॥
সস্নবি |
445 ক টা?
চল্যে আসিছেন পিতা দেখেন যখন । অমনি বিনতশিরে চলেন তখন ॥ পিতার চরণে পড়ে বলেন বচন । দেখাল্যেন জগদীশ তোমার চরণ ॥. সন্তানের রব হল্য শ্রবণ-গোচর | শ্বাস ত্যাগ করোযে পিতা হল্যেন কাতর ॥ চরণ হইতে তুলে লইয়! নন্দন । বুকে রেখ্যে করিলেন বহু আলিঙ্গন ॥ কেঁদে কেঁদে হন ক্ষণে অচেতন-প্রায় | চক্ষুর সলিল যেন সৈন্য চল্যে যাঁয় ॥ এয়াকুবে ইয়ুসফে মিলেছিল যথা । তাদের উভয়ে হল্যে সম্মিলন তথা ॥ উভয়ে প্রফুল্ল পুষ্প হর্ষ অনুকুল । তিনি যেন বুল্রুল্ ইনি যেন ফুল ॥ ছেটি বড় সকলের আনন্দ অপার। মাঁনীলোক, মন্ত্রীগণ দেয় উপহার ॥ সন্তোষের মদে মস্ত সকলের মন। নগরের ভার্ব যেন হইল নুতন ॥ ' অতিশয় ধুমে আর অতিশয় সাজে । মনোহর ধনিষেোগে নওবছৎ বাজে ॥ ২প
২৩২ মীর হসন্ কৃত
বিরহে ব্যাকুল ছিল যেই উপবন * তথার গেলেন পরে নৃপতি-নন্দন ॥ বনিতার বান তথা নামাইলে পর । 'অত্তি যে ধরিলেন জিয়সীর কর ॥ আপনার প্রিয়সীকে লইয়া সহিত । গুহের ভিতরে গতি করেন ত্বরিত ॥ ইতিমধ্যে সম্মুখেতে পড়িল নয়ন । পথেতে দাড়ক্যে মাত! দেখেন তখন ॥ অশ্রুপাত হয় বন্ধু যুগল নয়নে । নক1তরে পড্ডিলেন মাতার চরণে ॥ জননী, সন্ভানে করোয গ্লাড় আলিঙ্গন | কেঁদে কেঁদে করিলেন অশ্রু বিসঙ্জ্ন ॥ বধু আর পুজ্রে লয়্যে হৃদয় উপরে । ভয়ের কর দিয়ে উভয়ের করে ॥ প্রাণের সহিত লর্যে তাদের বালাই । মাথায় ঘুরায়্যে জল পান করে তাই ॥ শোকের দুঃখের দাগ ছিল যত মনে । সেসব বিরহ-দীপ নিভাল্যে মিলনে ॥ পরস্পর সবে হল্যে। অতি কুতুহল | উদ্যানে সে পুঙ্প পুন হাসে খলখল ॥
মস্নবি। ২৩৩
অন্ধনেত্র। দৃ্টিস্শক্তি পাইল তখন । প্রকুল্প হইল পুন শুষ্ক উপবন ॥
মা-বাপের ইচ্ছা ছিল দেখিতে বিবাহ । পুনশ্চ পুত্রের বিয়ে করেন নির্বাহ ॥ বিবাহের ঘটা যদি লিখি সমুদয় |
তবে আর এই গম্প সাঙ্গ নাহি হয় ॥ ভাগ্যে তার যাহা ছিল হইল সকল। মাত।-পিতা করিলেন বাসন! সকল ॥ বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল সেই উপবন । পুনর্বার সেই স্থানে এল্যো সর্বজন ॥ অস্তঃপ্ুর মধ্যে হল্যো আনন্দ অপার । শুক্ক পুষ্প লহ লহ করে পুনর্ববার ॥ ঈশ্বরের কপা হল্যো নগরের প্রতি। সেই রাজপুজ আর দেই নরপতি ॥ সেই সব প্রজা আর সেই আচরণ পুনর্ধবার সুখভোগ পুর্ধবের মতন ॥ সেই বুলবুল আর সেই ্টপবন।
ফুটিল কুনুর্ম সব জুটে বন্ধুগণ ॥ তাহাদের শুভদিনহল্যে যে প্রকার । সেকপে সুদিন হৌক তোমার আমার ॥
২৩৪ মীর হসন্ কৃত
ঈশ্বর! নবির মান রক্ষার কারণ, ।
কর তুমি সকলের বিচ্ছেদে মিলন ॥ তাহারা সন্তোষ যুক্ত হল্যেন যেমন । আমিও সেৰপ যেন হই হর্ষ-মন ॥ আপনার দেশ মধ্যে প্রাণ হয়ে মান। নির্ব্িত্বেতে স্থুখে যেন করি অবস্থান ॥ করুন নওয়াব আলি সুখে অধিষ্ঠান। আস্ফদ্দওল। ধার খ্যাত অভিধ।ন ॥ সন্তেবিত হৌক তার সরল অন্তর | শুভ আশা দীপ যেন জ্বলে নিরন্তর ॥ হসন্ আর হোসেনের পরম কপান্। এ দাসের দিন যেন স্রখ-ভোগে যায়॥ বিবেচক গণ দেখ করিয়া বিচার | কবিতার নদী আমি করোেছি প্রচার ॥ এই গণ্পে করিয়াছি আয়ু নিঃশেষিত। মুক্তাময় পদ্য তাই হল্যে প্রকাশিত ॥ যুবত্বে প্রবীন আমি হয়েছি বখন | তবে এ অত্রল্য পদ্য হয়্যেছে রচন | ইহা৷ এক ফুলছড়ি মস্নবি নয়।
সুন্দর রচন। যুক্ত হার মুক্তা ময় ॥
মস্নবি। ২৩৫
নুতন রচন1 ইহা নুতন বচন | মস্নবি নয় ইহা যাদুর বণন ॥ ইহাতে আমার নাঁম সংসারে থাকিবে | এই গ্রন্থ বিশ্বমধ্যে বিখ্যাত হইবে । প্রত্যেক কথায় শ্রম করিয়াছে মন। তবেত এমন পদ্য হয়্যেছে লিখন ॥ বুঝে দেখ এ পদ্যের তুল্য আর নাই। যত পুরস্কার দিবে অপ্প হবে তাই ॥ যে স্তন শুনিল ইহা বলিল এমন । ধন্য ধন্য ধন্য তুমি হে মীর ইসন্!। বিজ্ঞগণ এ পুস্তক করিয়ে শ্রবণ। হইবেন তারা সবে সন্তোধিত মন ॥ তাহাদের মুখে হবে এ কথা প্রচার । হয় নাই এ প্রকার হইবে না আর ॥
সমাপ্ত ।
“এ $ 11৮